মানব-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে মানব-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের গতিপ্রকৃতি

মানব-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষ মানুষের সাথে বন্যপ্রাণীর এমন সম্পর্ককে বোঝায় যেখানে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলে মানুষ ও তার সম্পদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে; একইভাবে বন্যপ্রাণীদের অস্তিত্ব ও আবাস ঝুঁকির মুখে পড়ে। সাধারণত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বন্য প্রাণীরা তাদের বিচরণস্থল বা আবাস থেকে উচ্ছেদ হলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। মাত্র একটি পক্ষই এ সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয় বরং আবাসন সংকট বা সম্পদ সংকটে উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উভয় পক্ষই জীবন ও সম্পদ বা খাদ্য হারায়। বর্তমানে আধুনিক প্রাণিবিজ্ঞান এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নে মানব-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়।

সংঘর্ষের ফলাফল[সম্পাদনা]

যখন কোন অঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়ে যায়, তখন ঐ অঞ্চলে খাদ্যসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক এবং স্থাবর সম্পদের চাহিদা বেড়ে যায়। বাড়তি লোকের জন্য খাদ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে জমর প্রয়োজন পড়ে। তখন বন বা পতিত জমি পরিষ্কার করে চাষাবাদ শুরু হয়। আবার বনজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমেও খাদ্যের চাহিদা পুরণ করা যায়। কিন্তু এসব বনজ সম্পদ ও বন বন্যপ্রাণীদের আবাস এবং খাদ্যের উৎস। আবাস ও খাদ্য কমে যাওয়ার ফলে খাদ্যের খোঁজে বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। আবার কখনও কখনও বনে মানুষের উপর সরাসরি আক্রমণ করে। কারণ তখন মানুষ নিজেই বন্যপ্রাণীর চোখে খাদ্য। লোকালয়ে বন্যপ্রাণী প্রবেশ রোধে মানুষ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়। আবার বনে বন্যপ্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ বন্যপ্রাণী মেরে ফেলে। এভাবে দুই পক্ষই শারীরিকভাবে অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যায়।

মানব-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের ফলে যে ধরনের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তার কয়েকটি দেওয়া হল:

  • বন্যপ্রাণীর মৃত্যু
  • ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
  • সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি
  • বন্যপ্রাণীর আবাস ধ্বংস
  • মানুষের আঘাতপ্রাপ্তি
  • বন্যপ্রাণীর আঘাতপ্রাপ্তি
  • গৃহপালিত পশুপাখির মৃত্যু
  • মানুষের মৃত্যু (বাঘ বা হাতির আক্রমণে), ইত্যাদি।[১]

প্রতিকার ও প্রতিরোধ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rosie Woodroffe, Simon Thirgood and Alan Rabinowitz, সম্পাদক (২০০৫)। People and wildlife: Conflict or Co-existence?। Cambridge: Cambridge University Press। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]