মানবদেহের অণ্ডথলি
অণ্ডথলি | |
---|---|
![]() বামে পুরুষ মানষের ঝুলে থাকা অণ্ডথলি, ডানে সংকুচিত অণ্ডথলি। | |
বিস্তারিত | |
পূর্বভ্রূণ | labioscrotal folds |
ধমনী | Anterior scrotal artery & Posterior scrotal artery |
শিরা | Testicular vein |
স্নায়ু | Posterior scrotal nerves, Anterior scrotal nerves, genital branch of genitofemoral nerve, perineal branches of posterior femoral cutaneous nerve |
লসিকা | Superficial inguinal lymph nodes |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | Scrotum |
মে-এসএইচ | D012611 |
টিএ৯৮ | A09.4.03.001 A09.4.03.004 |
টিএ২ | 3693 |
এফএমএ | FMA:18252 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
অণ্ডথলি (ইংরেজি: Scrotum) হচ্ছে মানব দেহে পুরুষাঙ্গের গোড়ায় দুই উরূর মধ্য বরাবর ঝুলন্ত থলে জাতীয় উপাঙ্গ যা অণ্ডকোষ ধারণ করে। এটি পুং জননতন্ত্রের একটি অংশ।
অণ্ডথলির বর্হভাগ ত্বকে আবৃত। ত্বক কোঁচকানো। ত্বকের ওপর রোম থাকে। ত্বকের নিচে পাঁচ ধরনের পেশীস্তর ক্রমান্বয়ে বিন্যস্ত থাকে। সবকটি স্তর মিলিত হয়ে যে ব্যাবধায়ক নির্মাণ করে সেটি অণ্ডধলির গহ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করে। প্রত্যেক ভাগ একটি করে শুক্রাশয় ও তার এপিডিডাইমিস এবং শুক্রাণুর কিছু অংশ ধারণ করে। এটি শুক্রাণু উৎপন্নের অণুকূল তাপমাত্রা রক্ষা করে। এছাড়া শুক্রাশয়কে চাপজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। চাপের মুখে শুক্রাশয় থলির ভেতর সহজেই পিছলে যেতে পারে। লিঙ্গ উত্থানের সময় এবং ঠান্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে অন্ডকোষ সাধারণত শক্ত হয়ে যায়। প্রভাবের ক্ষেত্রে সংকোচন এড়াতে একটি শুক্রাশয় সাধারণত অন্যটির চেয়ে সামান্য নিচে থাকে। [১]
অণ্ডকোষটি জৈবিকভাবে মহিলাদের ল্যাবিয়া মেজোরার সাথে সমতুল্য। যদিও বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে উপস্থিত থাকে, বাহ্যিক অণ্ডকোষটি সুগমিত সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন তিমি এবং সীল,[২] পাশাপাশি স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিছু বংশে, যেমন আফ্রোথেরিয়াস, জেনার্থান, বাদুড়, ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গের অসংখ্য পরিবারে অনুপস্থিত। [৩][৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Bogaert, Anthony F. (১৯৯৭)। "Genital asymmetry in men" (পিডিএফ)। 12 (1): 68–72। ডিওআই:10.1093/humrep/12.1.68
। পিএমআইডি 9043905। ২৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ William F. Perrin; Bernd Würsig; J.G.M. Thewissen (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। Encyclopedia of Marine Mammals। Academic Press। আইএসবিএন 978-0-08-091993-5।
- ↑ "Scrotum"। National Institutes of Health। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১১।
- ↑ Lovegrove, B. G. (২০১৪)। "Cool sperm: Why some placental mammals have a scrotum"। Journal of Evolutionary Biology। 27 (5): 801–814। এসটুসিআইডি 24332311। ডিওআই:10.1111/jeb.12373। পিএমআইডি 24735476।