মাধুরীলতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মাধুরীলতা
Rangoon Creeper
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
বিভাগ: Magnoliophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Myrtales
পরিবার: Combretaceae
গণ: Quisqualis
প্রজাতি: Q. indica
দ্বিপদী নাম
Quisqualis indica

মধুমঞ্জরি / মধুমালতী (ইংরেজি: Chinese honeysuckle বা Rangoon creeper) লতানো গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Quisqualis indica, পরিবার Combretaceae। মাধুরীলতার হিন্দি নাম রঙ্গন-কা-বেল, বোম্বে অঞ্চলে বারমাসী, লাল চামেলীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Quisqualis indica বৈজ্ঞানিক নামের এই ফুলটির নামকরণ করেন মধুমঞ্জরি[১]

বিবরণ[সম্পাদনা]

কুঁড়ি ও ফুল

লতা খুব শক্ত, কয়েক বছর হয়ে গেলে মোটা হয়। তখন হয় মোচড়ানো, ধূসর রঙের। গর্ভকাষ্ঠ বা মাঝখানে ছিদ্র হয়। পাতা বিপরীত দিকে সাজানো থাকে। পাতা আয়তকার, ডিম্বাকৃতি ও আগা সরু; কিনারা হালকা ঢেউ খেলানো এবং একটু খসখসে। মাধুরীলতাকে অনেকে '"মাধবীলতা" বলে ভুল করেন। কিন্তু মাধবী ও মাধুরীলতা দুটি সম্পূর্ণ পৃথক প্রজাতির লতা গাছ। মাধুরীলতার ফুল গন্ধে ভরপুর। ফুল গুচ্ছবদ্ধ, সাদা-লাল-কমলা রঙে মেশানো। পাপড়ি ৫ টি। ফুলের গন্ধ "মাধবী"র থেকে একটু কম। ফুলের রঙ সাদা থেকে ধীরে ধীরে বদল হয়। রঙের জন্যও এই ফুল খুব সুন্দর।

চাষাবাদ[সম্পাদনা]

গ্রীষ্ম ও বর্ষায় এর ফুল বেশি হলেও সারা বছর কিছু দিন পরপর ফুল ফোটে। এজন্যে একে বারমাসী ফুল বলা হয়। লতা বড় হয়ে গাছ হলে দির্ঘজীবী হয়। গোড়া এবং শেকড় থেকেও লতা গজায়। কাটিং করে বা লতা কেটে মাটিতে পুঁতলেও চারা হয়। খুব ক্বচিৎ ফল হয়।

কুঞ্জ তৈরির জন্যে মাধুরীলতা আদর্শ গাছ। এর আদি বাসস্থান দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দো-মালয়েশিয়া। কেউ কেউ মনে করেন, এটি মালয় দেশের গাছ এবং এখানে এনে লাগানো হয়েছে।[২]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "রবীন্দ্রনাথের নাম রাখা ফুলগুলো"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৬ 
  2. "গাছপালা তরুলতা",বিপ্রদাশ বড়ুয়া, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।