মাত্রিমোনিও আলইতালিয়ানা
মাত্রিমোনিও আলইতালিয়ানা | |
---|---|
![]() মার্কিন পুনঃমুক্তির চলচ্চিত্রের পোস্টার | |
পরিচালক | ভিত্তোরিও দে সিকা |
প্রযোজক | কার্লো পোন্তি |
চিত্রনাট্যকার | রেনাতো কাস্তেলান্নি তোনিনো গুয়েররা লিও বেনভেনুতি পিয়েরো দি বার্নার্দি |
উৎস | ফিলুমেনা মারতুরানো by এদুয়ার্দো দি ফিলিপ্পো |
শ্রেষ্ঠাংশে | সোফিয়া লরেন মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি আলদো পুগলিসি তেকলা স্কারানো মারিলু তোলো |
সুরকার | আর্মান্দো ত্রোভাজোলি |
চিত্রগ্রাহক | রবার্তো জেরার্দি |
সম্পাদক | আদ্রিয়ানা নোভেল্লি |
প্রযোজনা কোম্পানি | কোম্পাগনিয়া সিনেমাতোগ্রাফিকা চ্যাম্পিয়ন লে ফিল্মস কনকোর্দিয়া |
পরিবেশক | ইন্টারফিল্ম (ইতালি) এম্ব্যাসি পিকচার্স (যুক্তরাষ্ট্র) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০২ মিনিট |
দেশ | ইতালি ফ্রান্স |
ভাষা | ইতালীয়, নিয়াপলিটান |
আয় | $৪.১ million (US/Canada) (rentals)[১] |
মাত্রিমোনিও আলইতালিয়া (ইতালীয় ধরনের বিবাহ) ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালীয় চলচ্চিত্র। ভিত্তোরিও দে সিকা ছবিটি পরিচালনা করেন। চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন সোফিয়া লরেন, মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি ও ভিতো মোরিকোনে। [২]
লিওনার্দো বেনভেনুতি, রেনাতো কাস্তেলান্নি, পিয়েরো দি বার্নার্দি ও তোনিনো গুয়েররা এদুয়ার্দো দি ফিলিপ্পোর "ফিলুমেনা মারতুরানো" নাটক অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেন।
এর পূর্বে নাটকটি থেকে আর্জেন্টিনায় ১৯৫০ সালে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল।
কাহিনীসংক্ষেপ
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের কথা। ২৮ বছর বয়স্ক একজন সফল ব্যবসায়ী দোমেনিকো একদিন বাইরে বোমাবর্ষণের সময় নিয়াপলিটান গণিকালয়ে প্রবেশ করে ১৭ বছর বয়সী পল্লিনারী ফিলুমিনার সাথে দেখা করে। ২২ বছর ধরে এটা চলতে থাকে। শুরু থেকেই ফিলুমিনা দোমেনিকোকে গভীরভাবে ভালোবাসে। কিন্তু এর পরিবর্তে সে কিছুই পায় না। ফিলুমিমা যখন দোমেনিকোর জীবনের একমাত্র নারী হওয়ার বাসনা প্রকাশ করে, তখন দোমেনিকো তার সাথে একটি বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে রোজালিকে চাকরানি ও আলফ্রেদোকেও চাকর হিসেবে নিয়োগ দেয়। তারপর দোমেনিকো ফিলুমিনাকে উপপত্নী হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। সে বলে বেড়ায়, ফিলুমিনা কারমেলোর (দোমেনিকোর মার পুরাতন চাকরানি) ভাতিজি, যে তার মার যত্ন নিতে এসেছে। কিন্তু ফিলুমিনার অতীত দোমেনিকোকে তাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা থেকে বিরত রাখে।
ডোমেনিকোর বয়স এখন পঞ্চাশ। সে তার দোকানের বিশ বছর বয়সী ক্যাশিয়ারের প্রেমে পড়ে। কিন্তু ফিলুমিনা যখন অসুস্থতার ভান করে এবং বলে, সে মৃত্যুশয্যায় শায়িত ও তাকে বিয়ে করতে চায়। দোমেনিকোর মন দয়ার্দ্র হয়ে ওঠে। তাছাড়া তাদের বিয়ে আইনিভাবেও নিবন্ধিত হবে না। দোমেনিকো আর ফিলুমিনার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ফিলুমিনা সব সত্য প্রকাশ করে দেয়। দোমেনিকো মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হয়। ফিলুমিনা বলে, সে তার তিন ছেলে উমবার্তো, রিকার্দো ও মিচেলের জন্যই এ কাজ করেছে।
দোমেনিকো এই প্রতারণা মেনে নিতে পারে না। সে এই বিয়ে ভাঙার জন্য আদালতে মামলা করে। আদালত দোমেনিকোর পক্ষে রায় দিয়ে দেয়। ফিলুমিনা এ রায় মেনে নেয় এবং বলে, তার তিন ছেলের মধ্যে একজন দোমেনিকোর। কিন্তু কোনজন, সেটি সে বলতে চায় না, কারণ সব সন্তানকেই ফিলুমিনা সমান চোখে দেখে। ছেলের পরিচয় জানার জন্য দোমেনিকো পাগল হয়ে পড়ে। সে বারবার ফিলুমিনাকে চাপ দেয়, কিন্তু ফিলুমিনা তার অবস্থানে অনড় থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "All-time Film Rental Champs", Variety, 7 January 1976 p 50
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]