মাঝারি পাতা-নাক চামচিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মাঝারি পাতা-নাক চামচিকা
মাঝারি পাতা-নাক চামচিকা, দক্ষিণ লাম্পুং, সুমাত্রা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: Chiroptera
পরিবার: Hipposideridae
গণ: Hipposideros
প্রজাতি: H. larvatus
দ্বিপদী নাম
Hipposideros larvatus
(Horsfield, 1823)
মাঝারি পাতা-নাক চামচিকার বিস্তৃতি

মাঝারি পাতা-নাক চামচিকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Hipposideros larvatus) মাঝারি আকারের বাদুড়। আইইউসিএনের লাল বইয়ে এর অবস্থান ‘অবিপন্ন’ হিসেবে। প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারণে এদের অবস্থান অবিপন্ন।[১]

বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]

আকার[সম্পাদনা]

পাতা-নাক চামচিকাদের অনেকটা পাতার মতো নাক থাকে এবং তার সামনে-পেছনে আড়াআড়ি ও লম্বা পর্দাসহ প্রতিটি পাতা-নাকে তিনটি করে উপ বা অধ নাক-পাতা থাকে। এ গণের আর কোনো প্রজাতিতে এদের মত বৈশিষ্ট্য নেই। এদের নাক ত্রিশূলের মত। এক চিমটি লেজ এদের পায়ের দিক থেকে আসা পর্দায় লুকানো। ৮ সেন্টিমিটার লম্বা দেহে লেজটি সহজে চোখে পড়ে না। ডানা ৬ দশমিক ৪ সেন্টিমিটারের মত। সারা দেহে বাদামি থেকে গাঢ় বা লালচে বাদামি পশম থাকে।[১]

নিবাস[সম্পাদনা]

পাতা-নাক চামচিকার বসতি বাংলাদেশ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চল হয়ে একেবারে ভিয়েতনাম পর্যন্ত। বসবাস বনে এবং এরা কিছুটা বিরল।[১]

স্বভাব[সম্পাদনা]

দিনের বেলায় গুহা, গাছের ফোকর বা অন্ধকার পুল বা কালভার্টের গার্ডারে ঝুলে থাকে। কখনো কখনো পরিচিত কোনো গাছের ডালে বা কালভার্টের নিচে বিশ্রাম নেয়।[১]

খাবার[সম্পাদনা]

রাতের বেশির ভাগ সময় এরা নিশাচর কীটপতঙ্গ, দেয়ালি পোকা ও মথ খেয়ে বেড়ায়।[১]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বিরল প্রজাতির পাতা-নাক চামচিকা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], রেজা খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ১৮, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯২