মাজুলীর সন্ধি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মাজুলীর সন্ধি (১৫৬৩) কোচ রাজা নরনারায়ণ এবং আহোম রাজা চুখাম্‌ফার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। নরনারায়ণের ভাতা এবং কোচ সেনাপতি চিলারায়ের আহোম রাজ্যে চালানো আক্রমণে আহোমের রাজধানী গড়গাঁওর পতন হয়। স্বর্গদেউর এক ভাইকে ধরে আহোম কর্মচারীদের চক্রান্তে গড়গাঁও পতনের পরে স্বর্গদেব পলায়ন করেন। পরে আহোম রাজা তার মন্ত্রী আইখেক বুঢ়াগোহাঁইর মাধ্যমে শান্তি স্থাপনার জন্য কোচ রাজাকে আমন্ত্রণ জানান। শান্তি আলোচনার সময়ে নরনারায়ণ মাজুলীতে বহর পাতেন।[১] শেষে দুইপক্ষেরই মেনে নেওয়া শর্তসমূহ ছিল:[২]

  1. আহোম রাজা কোচ রাজার বশ্যতা স্বীকার করবেন।
  2. ব্রহ্মপুত্রর উত্তরপারে সোবনশিরী নদীর পশ্চিমে থাকা স্থানটি[১] কোচদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।
  3. আহোম কর্মচারীর পাঁচজন পুত্রকে বন্দীত্ব থেকে ছেড়ে দিতে হবে
  4. খামরিং নামের হাতী এবং পাকসিরাই নামের ঘোড়াটি দিতে হবে।
  5. আহোমদের যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসাবে এই বস্তুগুলি দিতে হবে- ষাটটা হাতী, ষাটজোড়া কাপড়, ষাটজন দাসী, তিনিশজন মানুষ এবং সোনা-রূপার সাথে একটি রঙীন রাজকীয় ছত্র।

এর সঙ্গে কোচ রাজা তিনজন কোচ কর্মচারীকে রাজখোয়া হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন - উজীর বামুণ, তপস্বী লস্কর এবং মালমূল্য লস্কর। নতুনকরে আহরণ করা অঞ্চলটির ভাগ-বাটোয়ারার জন্য নারায়ণপুরে একটি কোঠা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

পাদটিকা[সম্পাদনা]

  1. (Nath 1989, পৃ. 58)
  2. (Sarkar 1992, পৃ. 80)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Nath, D (১৯৮৯), History of the Koch Kingdom: 1515-1615, Delhi: Mittal Publications 
  • Sarkar, J N (১৯৯২), "Chapter IV: Early Rulers of Koch Bihar", Barpujari, H. K., The Comprehensive History of Assam, 2, Guwahati: Assam Publication Board