মহামায়া আশ্রম (জিয়ালতলা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মহামায়া আশ্রম : বাংলাদেশের, খুলনা বিভাগের, খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায়, শোভনা ইউনিয়নে অবস্থিত। আশ্রমটির বর্তমান অধ্যক্ষ হলেন শ্রী শ্রী নারায়ণ গোস্বামী।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

হে গুরু গোসাঁই হে গুরু গোসাঁই গোপাল হালদারের হাতে লেখা পুঁথি

মহাত্মা শ্রীশ্রী হরিপদ গোস্বামী মহামায়া আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। হরিপদ গোস্বামী কালীমাতার সাধনা করতেন এই মহামায়া আশ্রমে। পরবর্তীতে তার পুত্র শ্রী শ্রী নারায়ণ গোস্বামী কালিমাতার সাধনার মাধ্যমে জগতের সকল বাধা বিঘ্ন দূর করে সকলের শান্তি এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শ্রী শ্রী জিয়ালতলা ধাম মহামায়া আশ্রমে প্রতি মঙ্গলবার অসংখ্য হাজার হাজার ভক্তের সঙ্গম হয় মায়ের কৃপা লাভের আশায় এবং শ্রীমৎ নারায়ণ গোসাই এর সান্নিধ্য লাভ করার জন্য।গোপাল হালদার এক সময় তার পেটে ব্যাথার জন্য সকল ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়ে যখন মুক্তি না পেয়ে তিনি শোভনা জিয়ালতলা ধামে হরিপদ গোসাঁই এর কাছে জান।তিনি তার মহামায়ের সাধনা দ্বারা পেট ব্যথা থেকে নিরাময় দেন এরপর গোপাল হরিপদ গোসাঁই সাথে সাধু সঙ্গে মগ্ন হয়ে যান।তিনি হরিপদ গোসাঁই জন্য একটি ভোজন তৈরি করেন পরে হরিপদ গোসাঁই সেটা গুরু বন্দনা হিসেবে ঘোষণা করেন হে গুরু গোসাঁই হে গুরু গোসাঁই নামে গুরু বন্দনা এখনো জিয়াতলা ধামে প্রতি মঙ্গলবার একই সুরে বেজে উঠে এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও এই গুরু বন্দনা গেয়ে হরিপদ গোসাঁই কে সরন করা হয়। এরপর গোপাল হালদার তিনি তার বাড়িতে কালী পূজার আয়োজন করেন সেখান থেকে প্রতি বছর শোভনা হালদার বাড়িতে কালী পূজা হয়ে থাকে সেটা হরিপদ গোসাঁই জিয়ালতলার পূজা গোপাল হালদারের বাড়িতে করতেন সেখান থেকে আজও জিয়ালতলার কালি পূজা গোপাল হালদারের বাড়িতে হয়ে থাকে।এর আরেকটি কারণ গোপাল হালদারের পেটে ব্যাথা সেরে গেলে সে কালি পূজা দিবে বলে মানদ করেছিলেন এই জন্য হরিপদ গোসাঁই বলেন আমার পূজাও এই হালদার বাড়ি হবে। এছাড়া তিনি ৪৪ টির ও বেশি সাধু সঙ্গের গান রচনা করেন যা এখনো বিভিন্ন সাধু সঙ্গে তার গান ভোজন করা হয়।সবার মধ্যে জনপ্রিয় গান বা গুরু বন্দনা হে গুরু গোসাঁই হে গুরু গোসাঁই।

গুরু বন্দনা[সম্পাদনা]

হে গুরু গোসাঁই হে গুরু গোসাঁই গোপাল হালদারের রচিত জিয়ালতলা ধামের গুরু বন্দনা
হে গুরু গোসাঁই হে গুরু গোসাঁই গোপাল হালদারের হাতে লেখা পুঁথি

হে গুরু গোসাঁই হে গুরু গোসাঁই

প্রনাম লহ দেব চরনে।

তুমি জিয়ালতলাতে হরিপদ নামে-

লহিলে জন্ম গ্ৰহনে।।

পিতা রমাকান্ত মাতা ফুলমনি

বয়স তখন পঞ্চবিংশ জানি।

তুমি রহিলে না ঘরে গেলে দেশান্তরে

মায়ের সাধনা করিলে।।

তুমি করিলে সাধনা না জানে এক জনা

মায়ের কৃপা লাভ করিলে

তুমি দেশেতে আসিয়া মায়ের নাম প্রচার করিলে

ঘরে ঘরে মায়ের মন্দির করিলে।।

হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলেরে তুমি দেখিলে সমান

ধনি আর গরিবের ভেদ না রাখিলে।

সকলের প্রেমের সূত্রে গাথিলে।।

বলে সুধন্য হলাম মোরা ধন্য

পেয়ে এমন সাধু সঙ্গ।

কাঁদে গোপাল চন্দ্র পেতে তোমার সঙ্গ

রাখিও তারে তুমি চরনে।।


গীতিকার: গোপাল হালদার

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]