মল্লাদি সুব্বাম্মা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মল্লাদি সুব্বাম্মা

মল্লাদি সুব্বাম্মা (২রা আগস্ট ১৯২৪ - ১৫ই মে ২০১৪) ছিলেন একজন ভারতীয় নারীবাদী লেখিকা, মানবতাবাদী, নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং পত্রিকা সম্পাদিকা। তার সম্পাদিত পত্রিকার নাম ছিল "স্ত্রী স্বেচ্ছা"।

তিনি সমাজের অবহেলিত নারীদের শিক্ষায় মনোনিবেশ করে তাদের উন্নতির জন্য কাজ করেছিলেন। সুরা ও মাদক বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। তার নেতৃত্বাধীন এই আন্দোলন সফল হয়ে ওঠে এবং ফলশ্রুতিতে ১৯৯৪ সালে রাজ্যে অ্যালকোহল বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।[১] 'ইনস্টিটিউট অব এডভান্সমেন্ট অব উইমেনের' প্রধান হিসেবে তিনি নারীদের শিক্ষিত করার জন্য অনেক স্টাডি ক্যাম্প পরিচালনা করেন। মল্লাদি সুব্বাম্মা মানবতাবাদের একজন প্রবক্তা ছিলেন, এবং সারা জীবন মানবতাবাদ প্রচারের জন্য স্বামী এম ভি রামমূর্তির সাথে সারা দেশে পরিভ্রমণ করেছিলেন। মহিলাদের মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য মহিলা অভ্যুদ্যয়, অভ্যুদয় বিবাহ বেদিকা -ইত্যাদি সংস্থা চালু করেছিলেন মল্লাদি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মল্লাদির জন্ম ১৯২৪ সালের ২রা আগস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার রেপেলার পোথারধাকামে। তার চার সন্তান- এক মেয়ে ও তিন ছেলে। চার সন্তানের মধ্যে দুজন ডাক্তার এবং দুজন ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০১৪ সালের ১৫ই মে, ৯০ বছর বয়সে এই নিরলস মানবাধিকার কর্মী মৃত্যুবরণ করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মল্লাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছেন। তবে অন্ধ্রপ্রদেশে তার জনপ্রিয়তা শুরু হয় যখন তিনি 'সুরা ও মাদক বিরোধী' আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ১৯৯৪ সালে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী এন টি রামা রাও রাজ্যজুড়ে সুরা নিষিদ্ধ করেন। এছাড়া তিনি আন্ত-ধর্মীয় বিবাহে ইচ্ছুক বহু যুবক যুবতীকে সহায়তা প্রদান করেছেন বিবাহের জন্যে।

হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবদান[সম্পাদনা]

২০১২ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, তিনি তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে উপার্জিত মূল্য হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর উইমেন স্টাডিজের জন্য নিবেদিত ভবনে দান করে দেন। মল্লাদি সুব্বাম্মার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে সেন্টার অব উইমেন স্টাডিজ অ্যান্ড সোশ্যাল স্টাডিজের অধ্যাপিকা রেখা পান্ডে বলেন, “আমাদের বিভাগ একটি একক কক্ষে চলছিল কিন্তু যখন সুব্বাম্মা আমাদের বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং আমরা যেভাবে কাজ করি তা দেখেন, তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মহিলা অধ্যয়ন ভবনের উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থ দান করুন।”[৩]

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

তিনি প্রায় ১১০ টি বই এবং ৫০০ টি প্রবন্ধ লিখেছেন, প্রধানত মহিলাদের ক্ষমতায়ন অন্যান্য মহিলাদের সমস্যা নিয়ে। তার রচিত অনেক বই এবং নিবন্ধের মধ্যে, কয়েকটি বিশিষ্ট রচনা নিম্নরূপ:

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]