মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানি।

রাজকুমারী মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানি ( জর্জীয়: მარიამ ჯამბაკურ-ორბელიანი  ; ১৮৫২-১৯৪১) একজন জর্জিয়ান সম্ভ্রান্ত মহিলা, সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ, অসাধারণ বিখ্যাত ব্যক্তি ও নারীবাদী ছিলেন।[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

রাজকুমারী মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানি জর্জিয়ান জেনারেল কবি প্রিন্স ভেক্টাঙ্গ ওরবেলিয়ানী ও মাতা ইকতারিনে ইলিন্সকায়ার কন্যা। মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানির এক ভাই প্রিন্স নিকোলাই ওরবেলিয়ানি একজন আইনজ্ঞ ছিলেন। ১৮৭০ সালে মরিয়ম “তিবিলিসি মহিলা কোর্সে” পড়াশোনা শেষ করেন এবং স্কুল অফ নোবিলিটি কেয়ারটেকার সোসাইটিতে নির্বাচিত হন।

সামাজিক কাজ[সম্পাদনা]

১৮৭৯ সালে মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানি জর্জিয়ানদের মধ্যে সাক্ষরতার প্রচারের জন্য সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। ৩৩ বছর ধরে তিনি মহিলা শিক্ষক সমাজের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি নারী শিক্ষকের অধিকার রক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া উপর মনোযোগ দিতেন। মরিয়ম জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানি দেশে প্রথম জর্জিয়ান মহিলা স্কুল খোলার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত তিবিলিসি চাইল্ড কেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[২] তিনি মহিলা শিক্ষক বোর্ডের সদস্য ও মিউজিক্যাল স্কুল কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি শিশুদের জন্য প্রকাশিত ম্যাগাজিন জিজিলি ও নাকাদুলিকে সহায়তা করেছিলেন। চার বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর ১৮৯৪ সালে তার বাবার লেখা কবিতার পূর্ণাঙ্গ সংকলন প্রকাশ করেছিলেন। ওরবেলিয়ানি ১৯১৮ সালে তিবিলিসি স্টেট ইউনিভার্সিটি (টিএসইউ) প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী সদস্য ছিলেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত সহায়ক সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন।[৩] জর্জিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার অফ ম্যানুস্ক্রিপ্টস ওরবেলিয়ানির জীবন নিয়ে একটি আর্কাইভ চালু করে। সেখানে তার জীবনী, সামাজিক কাজ, সৃজনশীল কাজ এবং চিঠিপত্র সম্পর্কিত ১১২৩টি শাখা রয়েছে। দ্য সিটি কাউন্সিল “কাউন্টিস এম ভি ভি জাম্বাকুর-ওরবেলিয়ানির মহিলা শিক্ষকদের সম্পর্ককে সমর্থনকারী হিসাবে ‘সমাজের চেয়ার’ তৈরী করতে সমর্থন করে এবং ১০০০ রুবেল ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণ করে।

পরের বছরগুলোতে[সম্পাদনা]

জর্জিয়ায় রেড আর্মির আক্রমণ হলে এবং পরবর্তী ১৯২১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন জোরপূর্বক শাসনের পর তিনি সামাজিক কাজ সমূহ থেকে বিরত থাকেন। তবে শিক্ষা সংক্রান্ত ও অনুবাদের কাজ চালিয়ে যান। পরে সরকার তাকে ধীরে ধীরে সামাজিক সক্রিয়তা থেকে সরিয়ে দেয়।

যাদুঘর[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালে তার নামে কাসপি জেলার লামিসখানা গ্রামে একটি যাদুঘর তৈরী করা হয়। যাদুঘরটি এনএনএলএস বা কাসপি পৌরসভা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটা ইতিহাসমুলক যাদুঘর। এখানে ১৬৮৫টি আইটেম সংরক্ষিত আছে। যাদুঘরে সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে ১৮তম -১৯তম সিসির নৃতাত্ত্বিক উপকরণ। যাদুঘরটি রবিবার ও সোমবার ছাড়া সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং ফি ছাড়া প্রবেশ করা যায়। যাদুঘরটি কিছু শিক্ষামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করে। যেমন "এরিস্টভ-ওরবেলিয়েনেবি ও জর্জিয়ান ইতিহাস", "গাইড-স্বেচ্ছাসেবক", "যাদুঘর ও সমাজ", "ডেভিড গুরামিশভিলি-ধর্মতত্ত্ববিদ ও উপদেশমূলক"। যাদুঘরটির মোট জমি ৪২০ স্কয়ার মিটার।[৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৪১ সালে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Georgian National Center of Manuscripts, მარიამ ჯამბაკურ-ორბელიანი (1852-1941) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৫-০৯-২১ তারিখে
  2. Heinrich Boell Foundation, Mariam Jambakur-Orbeliani, 4 February 2014
  3. "Mariam Jambakur – Orbeliani - Public figure"Genderbarometer.Ge (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৯ 
  4. "Aleksandre and Mariam Jambakur-Orbeliani Palace-Museum"Georgianmuseums.ge (জর্জীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৯