মনোরমা থামপুরাত্তি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মনোরমা থামপুরাত্তি ছিলেন আঠারো শতকের ভারতবর্ষের একজন নারী সংস্কৃত পণ্ডিত।[১]তিনি দক্ষিণ ভারতের কেরালায় সুপরিচিত ছিলেন। তিনি কোত্তাক্কলের কিজাক্কে কোভিলাকামের অন্তর্গত ছিলেন। কিজাক্কে কোভিলাকাম হল কোঝিকোড়ের জামোরিন রাজবংশের একটি শাখা। সেই সময় মহিলাদের জন্য শিক্ষালাভ করার সুযোগ ছিলনা কিন্তু রাজপরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে তিনি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃত শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য পেয়েছিলেন। তিনি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন এবং তাই অল্প বয়সেই বিভিন্ন শাস্ত্রের জ্ঞানের ভান্ডারে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি সেই ভাষা পূর্ণরূপে আয়ত্ত করেন এবং সেই কারনেই খুব অল্প বয়সে বিভিন্ন শাস্ত্রের জ্ঞানের ভান্ডারের দরজা তার জন্য উন্মোচিত হয়ে উঠেছিল। তিনি সংস্কৃতে বেশ কিছু শ্লোক রচনা করেছিলেন। তিনি একজন প্রতিভাধর কবি হিসেবে সমগ্র কেরালা রাজ্যে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার রচিত সামান্য কয়েকটি শ্লোক ছাড়া তার বেশিরভাগ রচনা কালের অতলে তলিয়ে গেছে এবং তাদের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

মনোরমা থামপুরাত্তি ছিলেন ত্রাভাঙ্কোরের শ্রী কার্তিকা তিরুনাল বলরাম ভার্মা মহারাজার (১৭২৪-৯৮) সমসাময়িক। শ্রী কার্তিক তিরুনাল বলরাম ধর্ম‌রাজ উপাধি পেয়েছিলেন। মহীশূরের টিপু সুলতান যখন মালাবার আক্রমণ করেন সেই সময় তিনি ত্রাভাঙ্কোরে নির্বাসনে ছিলেন। ত্রাভাঙ্কোরে নির্বাসনের সময়ই রাজা নাট্যতত্ত্বের উপর গ্রন্থ বলরামা ভরতম -এর রচনা সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং মনোরমা থামপুরাত্তি তাকে মন্তব্য ও সুপরামর্শ প্রদান করে গ্রন্থের রচনা ও ফলপ্রসূ সমাপণে সহায়তা করেন।[২] রাজা কার্তিকা তিরুনালের সাথে তার পত্রব্যবহার ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "A case for a women's literary history in Malayalam 99"Social Scientist23 (269–71): 99। অক্টো–ডিসে ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  2. Devika , Methil। "Balarama Bharatam by Maharaja Kartika Thirunal Balarama Varma"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১২