ভ্রূণকোষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Blastomere
শনাক্তকারী
মে-এসএইচD001757
টিইTE {{{2}}}.html EE7.0.1.2.0.0.2 .{{{2}}}{{{3}}}
এফএমএFMA:72551
শারীরস্থান পরিভাষা

জীববিজ্ঞানে, ভ্রূণকোষ বা ব্লাস্টোমিয়ার হলো এক ধরনের কোষ যা নিষিক্তকরণের পর জাইগোটের কোষ বিভাজন (ক্লিভেজ) দ্বারা উত্পাদিত হয়। ভ্রূণকোষ ব্লাস্টুলা গঠন এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ব্লাস্টোসিস্ট গঠনের একটি অপরিহার্য অংশ। [১]

মানুষের ভ্রূণকোষের বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

মানুষের ক্ষেত্রে নিষিক্তকরণের পরপরই ভ্রূণকোষ গঠন শুরু হয় এবং ভ্রূণের বিকাশের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গঠন কাজ চলতে থাকে। নিষিক্ত হওয়ার প্রায় ৯০ মিনিট পরে, জাইগোট দুটি কোষে বিভক্ত হয়। জাইগোট প্রথম বিভাজনের পরে দুই-কোষের ভ্রূণকোষ অবস্থাটিকে নিষিক্ত ওসাইটের প্রাথমিক মাইটোটিক প্রোডাক্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[২] এই মাইটোটিক বিভাজন চলতে থাকে এবং এর ফলে কোষগুলোর একটি গ্রুপ হয়, যাকে ব্লাস্টোমিয়ারস বলা হয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে ভ্রূণের মোট আকার বৃদ্ধি পায় না, তাই প্রতিটি বিভাজনের ফলে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর কোষ সৃষ্টি হয়। যখন জাইগোটে ১৬ থেকে ৩২টি ভ্রূণকোষ থাকে তখন এটিকে মরুলা বলা হয়। এগুলো ভ্রূণ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়। একবার এটি শুরু হলে, ভ্রূণকোষে মরুলার সাইটোসোলিক উপাদানের মধ্যে থাকা মাইক্রোটিউবুলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঝিল্লি ফাংশনে বিকশিত হতে পারে, যেমন সোডিয়াম পাম্প। এই পাম্পগুলো ভ্রূণের ভিতরের অংশকে ব্লাস্টোকোলিক তরল দিয়ে পূর্ণ করার ব্যবস্থা করে, যা জীবনের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে।[৩]

ভ্রূণকোষকে টোটিপোটেন্ট বলে মনে করা হয়; অর্থাৎ, ভ্রূণকোষ একটি একক কোষ থেকে সম্পূর্ণ উর্বর প্রাপ্তবয়স্ক জীবে পরিণত হতে সক্ষম। এটি ধারণা করা হয়েছে ইদুরের ভ্রূণকোষ অধ্যয়ন এবং অনুমানের মাধ্যমে, তবে এটি বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী ভ্রূণকোষের জন্যই সত্য বলে গৃহীত হয়েছে। অধ্যয়ন করার সময় টু-সেল স্টেটের মনোজাইগোটিক জমজ ইদুরের ভ্রূণকোষকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং দেখা গিয়েছে যে, যখন যমজ ভ্রূণকোষগুলোর একটি ধ্বংস হয়ে যায়, তখনও একটি সম্পূর্ণ উর্বর প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুরে পরিণত হতে পারে। সুতরাং, এটা অনুমান করা যেতে পারে যে যেহেতু যমজ কোষগুলোর মধ্যে একটি ছিল টোটিপোটেন্ট, তাই ধ্বংস হওয়াটিও মূলত ভালো ছিল। [৪]

ভ্রূণের মধ্যে আপেক্ষিক ভ্রূণকোষের আকার শুধুমাত্র ক্লিভেজের পর্যায়ে নয়, কোষগুলির মধ্যে ক্লিভেজের নিয়মিততার উপরও নির্ভর করে। সেলুলার ভরের মধ্যে ভ্রুণকোষের সংখ্যা সমান হলে, কোষের আকারগুলো যথাযথ হওয়া উচিত। যদি সেলুলার ভরের মধ্যে ভ্রূণকোষের সংখ্যা যথাযথ না হয়, তাহলে বিভাজনটি অপ্রতিসাম্য হওয়া উচিত যাতে কোষের আকার ও ভরের নির্দিষ্ট পার্থক্যকে সমতা করতে পারে। ভ্রূণকোষের আকারকে সাধারণত অসম হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন একটি ভ্রূণকোষের ব্যাস অন্যটির তুলনায় ২৫% বেশি হয়।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Blastomere"Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০২২ 
  2. Casser, E.; Israel, S. (ডিসেম্বর ২০১৭)। "Totipotency segregates between the sister blastomeres of two-cell stage mouse embryos": 8299। আইএসএসএন 2045-2322ডিওআই:10.1038/s41598-017-08266-6পিএমআইডি 28811525পিএমসি 5557898অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3. "Cleavage and Blastocyst Formation"Colorado State University। মার্চ ২০০০। ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০২২ 
  4. TOGASHI, Mamoru; SUZUKI, Hiroshi (১৯৮৭)। "Production of monozygotic twins by splitting of 2-cell stage embryos in mice.": 51–57। ডিওআই:10.1262/jrd1977.33.51অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. "C. Blastomere size"Atlas of Human Embryology (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০২২