ভিসিতাসিওন পাদিল্লা
ভিসিতাসিওন পাদিল্লা | |
---|---|
জন্ম | তালাঙ্গা, ফ্রান্সিস্কো মোরাজান ডিপার্টমেন্ট, হন্ডুরাস | ২ জুলাই ১৮৮২
মৃত্যু | কোমায়াগুইলা, ডিসি | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০
জাতীয়তা | হন্ডুরীয় |
পরিচিতির কারণ | প্রমিলা শিক্ষাবিদ, নারীবাদী কর্মী |
ভিসিতাসিওন পাদিল্লা (স্পেনীয়: Visitación Padilla; জন্ম: ২ জুলাই, ১৮৮২ - মৃত্যু: ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬০) ফ্রান্সিস্কো মোরাজান এলাকার তালাঙ্গায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা হন্ডুরীয় প্রমিলা শিক্ষাবিদ ও নারীবাদী কর্মী ছিলেন।[১] পাদিল্লা হন্ডুরাসে পারস্পরিক সমঝোতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনে এগিয়ে এসেছেন, মাদকবিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালীকরণসহ হন্ডুরীয় মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন আন্দোলন করে গেছেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]হন্ডুরাস প্রজাতন্ত্রের ফ্রান্সিস্কো মোরাজান ডিপার্টামেন্টো মিউনিসিপালিটির নিয়ন্ত্রণাধীন তালাঙ্গায় ভিসিতাসিওন পাদিল্লা জন্মগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর ১৯০৯ সালে শিক্ষকতা পেশায় মনোনিবেশ ঘটান। তারপর ১৯১৩ সালে ‘আতেনিও ডে হন্ডুরাস’ নামীয় সংগঠনের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। বিখ্যাত লেখক রাফায়েল হেলিওডোরো ভ্যালি ওয়াই ফ্রোইলান টার্সিওসের একত্রে কাজ করেন ও নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা তুলে ধরেন। ১৯১৭ সালে তেগুসিগাল্পায় উদারপন্থী সংবাদপত্র ‘জুয়ান রাফায়েল মোরা’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
১৯২৪ সালে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাদিল্লা তার নিজস্ব চিন্তাধারা ‘বোলেটিন ডে লা ডিফেন্সা ন্যাশিওনালে’ তুলে ধরেন। একই সময়ে তার নেতৃত্বে তেগুসিগাল্পায় একদল নারীকে নিয়ে ‘সোসাইডেড কালচারাল ফেমেনিনা’ নামীয় দল প্রতিষ্ঠায় অগ্রসর হন।[ভ ১] ১৯২৬ সালে এ সংগঠনটি সরকারীভাবে ডাক্তার মিগুয়েল পাজ বারাহোনা’র কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পায় ও ‘মায়েদের দিন’রূপে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়।
মূল্যায়ন
[সম্পাদনা]১৯২৯ সালে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরগ্রহণ করেন। পরের বছর ১৯৩০ সালে তিনি লা গাসেটা সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠায় স্মারকসূচক বক্তৃতা প্রদানের জন্য আমন্ত্রিত হন। প্রথিতযশা হন্ডুরীয় শিল্পী ও শিক্ষক পাবলো জেলায়া সায়েরা’র স্মরণে ১৯৩৪ সালে ‘জেলায়া সায়েরা’ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময়কালে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, স্বৈরশাসক ডক্টর ও জেনারেল টিবারসিও কারিয়াস আন্দিনো তাদের সরকারি পদ ছেড়ে দিবেন ও ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ঐ একনায়কতন্ত্র পরিচালিত হয়। পাদিল্লা তার মতামত ‘অরিয়েন্টেসিওন’ ও ‘সিয়াডাডানোয়’ তুলে ধরেন। এক বছর পর কারিয়াস তার সরকারি পদ থেকে অবসর নেন ও সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন যাতে জুয়ান ম্যানুয়েল গালভেজ বিজয়ী হন।
২৫ জানুয়ারি, ১৯৫৪ তারিখে ঐ রাষ্ট্রপতির সময়কালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারী হয়। হিসাবরক্ষক জুলিও লোজানো ডায়াজ মহিলাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেন ও প্রথমবারের মতো হন্ডুরাস প্রজাতন্ত্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দান করেন। অবিসংবাদিত কর্মী পাদিল্লা এ সময় সেখানে ছিলেন।
পাশাপাশি ‘এল ন্যাশিওনাল’ সংবাদপত্রের কলাম লেখক ছিলেন। শিশুতোষ গ্রন্থ ‘আজুসেনাস’ ও প্রবন্ধ সঙ্কলন ‘পাসাতাইমপোস ই হিস্টোরিয়াস ডে লা এডকেসিওন পাবলিকা হন্ডুরেনা’ প্রকাশ করেন তিনি।
সেলো পোস্টাল ডে এলপিএস ০.০২-এ তার চিত্রের উপস্থাপনা হয়।[২] মুভমেন্ট অব ওম্যান ‘ভিসিতাসিওন পাদিল্লা’ নামে শান্তি মিছিল পরিচালনা করে। ২০১০ সালকে আনো ডে ‘ভিসিতাসিওন পাদিল্লা’ নামে ঘোষণা করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Honduras Laboral/Visitación Padilla"। ১০ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৭।
- ↑ [১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ গ্রাসিয়েলা আমায়া ডে গার্সিয়া, অ্যান্তোনিয়েতা, জেসাস, মারিয়ানা ওয়াই সেফেরিনা এলভির, মারিয়া লুইসা মেডিনা, ইভা সোফিয়া, দাভিলা, গোয়া ইসাবেল লোপেজ, ফ্লোরা সুয়াজো, অ্যাঞ্জেলা ওয়াই জেনোনেভা আন্দিনো, নাতালিয়া ত্রিমিনিও, রোসিতা আমাদোর, জুয়ানা ওচোয়া, সোফিয়া ভেগা, মারিয়া লোপেজ, আদ্রিয়ানা হার্নান্দেজ, ফ্লোরেন্সিয়া পাদিল্লা, রোজা ফ্লোরেস
গ্রন্থপঞ্জী
[সম্পাদনা]- Dictionary of Personalities of Honduras/Padilla, Visitación.