ভাল্কি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভাল্কি
Dusky Partwing
ডানা বন্ধ অবস্থায়
ডানা খোলা অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Hesperiidae
গণ: Psolos
প্রজাতি: P. fuligo
দ্বিপদী নাম
Psolos fuligo
(Mabille, 1876)[১]
প্রতিশব্দ

Sancus fuligo

ভাল্কি[২] (বৈজ্ঞানিক নাম: Psolos fuligo (Mabille)) 'হেসপারিডি' (Hespaeriidae) বা স্কিপারস (Skippers) গোত্র ও 'হেসপারিনি' (Hesperiinae) উপ-গোত্রের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি।[৩]

আকার[সম্পাদনা]

ভাল্কি এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৩৬-৪৬ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[৩]

বিস্তার[সম্পাদনা]

ভারত (পশ্চিমঘাট পর্বত, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারত) বাংলাদেশমায়ানমার এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়।[৪]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

স্ত্রী-পুরুষ উভয় প্রকারেই ডানার উপরিতল চকচকে ঘন বাদামি এবং সামনের ও পিছনের ডানা সম্পূর্ণ দাগ-ছোপ হীন।

ডানার নিম্নতল উপরিতল অপেক্ষা ফ্যাকাশে বাদামি ও বেগুনি (purple) আভাযুক্ত। সামনের ডানার শীর্ষে (apex) ধূসর বেগুনি (purple -grey) ছোপ বর্তমান। ৪ থেকে ৯ নং শিরামধ্যে কতগুলি ছোপ লক্ষ্য করা যায়।

পিছনের ডানার মধ্যভাগে ও প্রান্তে অস্পষ্ট ধূসর বেগুনি বন্ধনী চোখে পরে। ২ থেকে ৫ নং শিরামধ্যে ছোট, আবছা ও ফ্যাকাশে ৪ টি সরলরৈখিকভাবে অবস্হিত ডিসকাল ছোপ চোখে পরে। ৬ নং শিরামধ্যে অপর অনুরূপ ডিসকাল ছোপটি ছোপসারির থেকে খানিকটা ভিতরদিকে অবস্থিত এবং ৭ নং শিরামধ্যে আরও ভিতরদিকে আরও একটি অনুরূপ ছোপ বর্তমান। সেল-এর উপরি কিনারার মধ্যভাগে একটি ছোপ বিদ্যমান। পুরুষ ও স্ত্রী প্রকার অনুরূপ, তবে পুরুষ প্রকারে সামনের ডানার নিম্নতলে ২ নং শিরার উৎসস্হলের নিচে একটি চকচকে দাগ (brand) দেখা যায়।

শুঙ্গ কালো; মাথা, বক্ষদেশ ও উদর উপরিতলে ঘন বাদামি এবং নিম্নতলে ফ্যাকাশে বাদামি।[৫][৬]

আচরণ[সম্পাদনা]

সুলভ-দর্শন এই প্রজাতির উড়ান দুর্বল, ধীর ও অলস। যে কোনো ভারতীয় স্কিপার প্রজাতির তুলনায় এদের উড়ান দুর্বলতর ।এরা ভূমির কাছাকাছি নিচ দিয়ে ওড়ে। ছায়াময় পরিবেশ ও বাসভূমি এদের ভীষণ পছন্দের, তাই এরা ঘন ঝোপঝাড় ও ঘন জঙ্গলের ভিতরেই থাকে। মাঝেমধ্যে ঝোপঝাড় ও ঘন জঙ্গলের ভিতর থেকে বেরিয়ে জঙ্গলের পথে খানিক বিচরণ করে আবার সেখানেই ফিরে যায়। পাতায় ও ফুলে বসে এই প্রজাতিকে রোদ পোহাতে ও মধুপান করতে দেখা যায়; তবে সচরাচর মাটিতে অবস্থান করে না। পাতায় বসার সময় এরা ডানা খাঁড়া করে বসে, কিন্তু সামনের ডানা দুটি সামান্য ফাঁক করে রাখে (parted) এবং দুই ডানার শীর্ষ কখনো একে ওপরের সাথে জোড়া লাগায় না। বসার এই বিশেষ ভঙ্গিমার কারণেই এদের ডাস্কি পার্টউইং নামকরণ হয়েছে। পশ্চিমঘাট পর্বতে বর্ষার মাসগুলো থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিরহরিৎ বনাঞ্চলে এদের উপস্থিতি খুবই প্রাচুর্যপূর্ণ (abundant)।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Savela, Markku। "Psolos"Lepidoptera and Some Other Life Forms। nic.funet.fi। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩ 
  2. A Pictorial Guide Butterflies of Gorumara National Park (2013 সংস্করণ)। Department of Forests Government of West Bengal। পৃষ্ঠা ২৯৯। 
  3. Isaac, Kehimkar (২০১৬)। BHNS Field Guides Butterflies of India। Mumbai: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 9789384678012 
  4. R.K., Varshney; Smetacek, Peter (২০১৫)। A Synoptic Catalogue of the Butterflies of India। New Delhi: Butterfly Research Centre, Bhimtal & Indinov Publishing, New Delhi। পৃষ্ঠা 48। আইএসবিএন 978-81-929826-4-9ডিওআই:10.13140/RG.2.1.3966.2164 
  5. Kehimkar, Isaac (২০০৯)। The Book of Indian Butterflies। Mumbai: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 93–94। আইএসবিএন 9780195696202। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১০ 
  6. W. H., Evans (১৯৪৯)। A Catalogue of the Hesperiidae from Europe, Asia, and Australia in the British Museum। London: British Museum (Natural History). Department of Entomology। পৃষ্ঠা 278। 
  7. Kunte, Krushnamegh (২০১৩)। Butterflies of The Garo Hills। Dehradun: Samrakshan Trust, Titli Trust and Indian Foundation of Butterflies। পৃষ্ঠা ১৬।