ভারতে মহিলাদের জন্য কল্যাণ প্রকল্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অনুচ্ছেদ ১৫(৩) এর অধীনে, ভারতের সংবিধান মহিলাদের পক্ষে সহায়তার ক্ষেত্রে ইতিবাচক বৈষম্যকে উৎসাহিত করে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সমতার অধিকারের অধীনে, বলা হয় যে: "এই অনুচ্ছেদে কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নারী ও শিশুদের জন্য কোন বিশেষ বিধান করতে বাধা দেবে না।"[১] উপরন্তু, রাষ্ট্রীয় নীতির নির্দেশমূলক নীতি ৩৯(ক) বলে যে: "রাষ্ট্র, বিশেষ করে, তার নাগরিকদের জন্য, পুরুষ ও মহিলা সমানভাবে, জীবিকা নির্বাহের পর্যাপ্ত উপায়ের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তার নীতি নির্দেশ করবে।"[১]

রাষ্ট্রীয় মহিলা কোষ (নারীদের জন্য জাতীয় ঋণ তহবিল) ভারতে নিম্ন আয়ের মহিলাদের জন্য ঋণ উপলব্ধ করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২] ভারত সরকার কর্তৃক সূচিত আরও সাম্প্রতিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাদার অ্যাণ্ড চাইল্ড ট্র্যাকিং সিস্টেম (এমসিটিএস), ইন্দিরা গান্ধী মাতৃত্ব সহযোগিতা যোজনা, শর্তসাপেক্ষ মাতৃত্ব বেনিফিট প্ল্যান (সিএমবি), পাশাপাশি কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য রাজীব গান্ধী পরিকল্পনা - সবলা।

মাদার অ্যাণ্ড চাইল্ড ট্র্যাকিং সিস্টেম (এমসিটিএস)[সম্পাদনা]

মাদার অ্যাণ্ড চাইল্ড ট্র্যাকিং সিস্টেমটি ২০০৯ সালে চালু করা হয়েছিল। এটি সমস্ত মা এবং তাঁদের সন্তানদের গর্ভাবস্থার যত্ন, প্রসবের সময় চিকিৎসা যত্ন এবং টিকাদান সহ বিভিন্ন পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিরীক্ষণ করতে সহায়তা করে। এটি ২০০৯ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে নিবন্ধিত সমস্ত গর্ভাবস্থা এবং জন্মের একটি তথ্য ভাণ্ডার নিয়ে গঠিত।[৩]

প্রধানমন্ত্রী মাতৃত্ব বন্দনা যোজনা[সম্পাদনা]

ইন্দিরা গান্ধী মাতৃত্ব সহযোগিতা যোজনা (আইজিএমএসওয়াই), শর্তাধীন মাতৃত্ব বেনিফিট (সিএমবি) জাতীয় সরকার কর্তৃক ১৯ বছর বা তার বেশি বয়সী গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য তৈরি হয়েছে। এই প্রকল্প মহিলাদের প্রথম দুটি জীবিত সন্তানের জন্য অর্থায়ন করে। ২০১০ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি প্রাপকদের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে অর্থ প্রদান করে। মার্চ ২০১৩-এর হিসাব অনুযায়ী সারাদেশের ৫৩টি জেলায় এই কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে।[৪]

কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য রাজীব গান্ধী স্কিম (আরজিএসইএজি)[সম্পাদনা]

রাজীব গান্ধী স্কিম ফর এপাওয়ারমেন্ট অফ অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস (আরজিএসইএজি) হল একটি উদ্যোগ যা ২০১১ সালের ১লা এপ্রিল ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছিল। এটি প্রাথমিকভাবে ২০০টি জেলায় একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প কিশোরীদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে, যেগুলির মধ্যে আছে পুষ্টি পরিপূরক ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জীবন দক্ষতা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ।[৫]

রাষ্ট্রীয় মহিলা কোষ[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রীয় মহিলা কোষ (নারীদের জন্য জাতীয় ঋণ তহবিল) ১৯৯৩ সালে ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য হল নিম্ন আয় গোষ্ঠীর নারীদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণের সুবিধা প্রদান করা।[২]

শিশুদের জন্য জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা[সম্পাদনা]

শিশুদের জন্য জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল, এই প্রকল্পটি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক চালু করেছিল।

ডিজিটাল লাডো (কন্যাদের ডিজিটাল বেগ দান করা)[সম্পাদনা]

ডিজিটাল মঞ্চে মহিলাদের শেখার ক্ষমতায়নের জন্য ফিকি এবং ডিজিটাল আনলকড-এর সংযুক্তির মাধ্যমে এই উদ্যোগটি শুরু হয়েছিল। ভারত সরকারের মতে, ৬৫% মেয়ে উচ্চ শিক্ষা শেষ করতে পারেনা। প্রকল্পটি একটি দেশব্যাপী উদ্যোগ, যেখানে প্রতিটি মেয়েকে তাদের মেধা ও দক্ষতা বিকাশের জন্য শেখানো হবে এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা ঘরে বসেই কাজ করে এবং বৈশ্বিক মঞ্চের সাথে যুক্ত হতে পারে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Constitution of India" (PDF)। ডিসেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪ 
  2. "Schemes for Economic Empowerment of Poor Women"। Government of India Press Information Bureau। ৬ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪ 
  3. "Services on Track Over Two Crore Women Beneficiaries Registered with MCTS"। Government of India Press Information Bureau। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪ 
  4. "Indira Gandhi Matritva Sahyog Yojana"। Government of India Press Information Bureau। ১ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪ 
  5. "Empowering the Adolescent Girls – Sabla"। Government of India Press Information Bureau। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪ 

টেমপ্লেট:Government Schemes in India