ভারতীয় স্যুপ ও সুরুয়ার তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হায়দ্রাবাদি মারাগ, ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি ঐতিহ্যবাহী মাটন কারি। এই পদটি প্রাথমিক কারি হিসাবে পরিবেশন করা হয়।
ডাল মাখনি, মাখন ও ক্রিম সহ বিভিন্ন ধরনের মসুর ডাল দিয়ে তৈরি একটি পদ।

এটি ভারতীয় স্যুপ ও সুরুয়ার তালিকা। ভারতীয় রন্ধনপ্রণালী ভারতীয় উপমহাদেশের রান্নার ঐতিহ্য ও অনুশীলন নিয়ে গঠিত, যা ঐতিহ্যগত সমৃদ্ধ স্বাদ ও বিভিন্ন স্বাদের জন্য বিখ্যাত।[১][২]

ভারতীয় স্যুপ ও সুরুয়া[সম্পাদনা]

১. সাম্বার (তামিল: [saːmbaːɾ] (শুনুন)রোমানাইজড : Sāmbār) হল একটি ডাল-ভিত্তিক সবজি সুরুয়া, যা অড়হর ডাল ও তেঁতুলের ঝোল দিয়ে রান্না করা হয়। এটি দক্ষিণ ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার রন্ধনশৈলীতে জনপ্রিয়।

২. কড়ি বা কড়হি, রাজস্থান থেকে উদ্ভূত একটি পদ। এটিতে বেসনের তৈরি একটি ঘন ঝোল থাকে এবং এতে পাকোড়া নামে উদ্ভিজ্জ ভাজা থাকে, যাতে দই যোগ করা হলে এটি কিছুটা টক স্বাদযুক্ত হয়। এটি প্রায়শই রান্না করা ভাত বা রুটির সাথে খাওয়া হয়।

৩. ডাল মাখনি হল একটি পদ যা ভারতের নয়া দিল্লিতে উদ্ভূত হয়েছে। এটি গোটা বিউলি ডাল (কালো মটরশুটি) ও অন্যান্য ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এতে মাখন ও ক্রিম রয়েছে।  

৪. কোরমা বা কোর্মা দক্ষিণ এশিয়ায় উদ্ভূত একটি পদ, যা দই, পানি বা রস ও ঘন সস বা ঝোল তৈরির জন্য মশলা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করা মাংস বা শাকসবজি নিয়ে গঠিত।

৫. পায়া হল ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যবাহী মাংসের সুরুয়া। এই পদের প্রস্তুতপ্রণালী আঞ্চলিকভাবে পরিবর্তিত হয়। ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে স্যুপ বেস তৈরি করা হয় যেখানে মাংস ও হাড়ের সাথে বেশ কয়েকটি তরকারি-ভিত্তিক মশলা যোগ করা হয়। রান্না করা পদটি সতেজ কাটা আদা ও লম্বা ধনে পাতার আভরণের সাথে সতেজ কাটা লেবুর সাথে পরিবেশন করা হয়। 

৬. মাচো ঝোল হল একটি মশলাদার অসমীয়া মাছের তরকারি, যা আলু, মরিচ, আদা ও রসুন দিয়ে তৈরি করা হয়।

৭. হায়দ্রাবাদি মারাগ বা মারাগ হল একটি মশলাদার মাটন স্যুপ যা ভারতের হায়দ্রাবাদে প্রাথমিক পদ হিসাবে পরিবেশন করা হয় এবং হায়দ্রাবাদি রন্ধনশৈলীর অংশ। এটি হাড় সহ কচি ছাগলের মাংস থেকে প্রস্তুত করা হয়। এটি পাতলা স্যুপ। স্যুপটি হায়দ্রাবাদি বিয়েতে অন্যতম প্রাথমিক পদ হয়ে উঠেছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Krishna Gopal Dubey (২০১১)। The Indian Cuisine। PHI Learning Pvt. Ltd.। আইএসবিএন 978-81-203-4170-8 
  2. K T Achaya (২০০৩)। The Story of Our Food। Universities Press। আইএসবিএন 9788173712937