ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান মণ্ডী
ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান মণ্ডী বা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মণ্ডী (আইআইটি মণ্ডী) হিমাচল প্রদেশ এর মণ্ডী জেলায় অবস্থিত একটি পাবলিক টেকনিক্যাল এবং গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে ৯৭ জন শিক্ষার্থীর প্রথম ব্যাচ নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে আইআইটি মণ্ডীতে বর্তমানে ১২৫ টি অনুষদ, ১৬৫৫ জন শিক্ষার্থী (বিভিন্ন স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং গবেষণা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন) রয়েছে এবং ১১৪১ জন প্রাক্তন ছাত্র এখান থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছে। ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইআইটি মণ্ডী ২৭৫ টিরও বেশি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে জড়িত হয়েছে যাতে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। গত দশ বছরে, ইনস্টিটিউট ১১ টি আন্তর্জাতিক এবং ১২ টি[১] জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থান মণ্ডীর স্থায়ী প্রাঙ্গণ (মণ্ডী শহর থেকে ১৪ কি.মি.) দূরে উহল নদীর পূর্ব তট, কমান্ড ও সালগি গ্রামে অবস্থিত। অধ্যাপক টিমোথি এ. গনসালভেস এই সংস্থানের প্রতিষ্ঠাতা নির্দেশক [২] (কর্মকাল: ১৫/১/২০১০-৩০/৬/২০২০) এবং আর.সি. শাহনি প্রথম নিয়ামক। ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থান রুড়কীর বর্তমান নির্দেশক অধ্যাপক অজিত কুমার চতুর্বেদী ১/৭/২০২০ থেকে এই সংস্থানের ভারপ্রাপ্ত নির্দেশক।
ভারত সরকারের মানব উন্নয়ন মন্ত্রক ২০০৮ সালে যে আটটি ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থান স্থাপন করেছিল তার মধ্যে আই.আই.টি মণ্ডী অন্যতম। ২০১১ সালের ভারতীয় সংস্থান (পরিবর্তিত) আইন এই আটটি আই.আই.টি সেই সঙ্গে প্রযুক্তি সংস্থান, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়কে আই.আই.টি-র মর্যাদায় উন্নীত করে। এই আইন ২৪শে মার্চ ২০১১ লোক সভায় এবং ৩০শে এপ্রিল ২০১১ রাজ্য সভায় অনুমোদিত হয়। আই.আই.টি মণ্ডী কে প্রাথমিক ভাবে আই.আই.টি রুড়কী পরিচালিত করে, এবং ছাত্রদের প্রথম ব্যাচ আই.আই.টি রুড়কী তে পঠন-পাঠন আরম্ভ করে।
২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সংস্থানের শিলান্যাস হয়। ২০শে জুন ২০০৯ -এ আই.আই.টি মণ্ডী উত্তরাখণ্ডের একটি সংস্থারূপে নথিভুক্ত হয়। কাক্ষিক পাঠন ২৭শে জুলাই ২০০৯ -এ পরিচালক আই.আই.টি রুড়কী তে সূচিত হয়। ১৬ই নভেম্বর ২০০৯ এ হিমাচল প্রদেশ সরকার, সরকারি স্নাতকোত্তর মহাবিদ্যালয়কে অস্থায়ী প্রাঙ্গণ হিসেবে আই.আই.টি মণ্ডীকে হস্তান্তরিত করে।
১২ই এপ্রিল ২০১২ এ কামাণ্ডের প্রাঙ্গণে ভূমি পূজার মাধ্যমে নির্মাণকার্য সূচিত হয়। ২৫শে এপ্রিল ২০১৫ এ আই.আই.টি মণ্ডী নবপ্রতিষ্ঠিত আই.আই.টি গুলির মধ্যে সর্বপ্রথম স্থায়ী প্রাঙ্গণে স্নাতক ছাত্র ছাত্রীদের স্থানান্তরিত করে।
প্রাঙ্গণ
[সম্পাদনা]২০০৯ সাল থেকে পথ শুরু করে, আই.আই.টি মণ্ডী দিল্লি থেকে ৪৬০ কি.মি.দূরে ৫১০ একর তৃণভূমিতে হিমালয়ের সুনির্মল প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জপূর্ণ বাতাবরণে দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত অগ্রগতির পথে অগ্রসর হয়ে এক অসাধারণ ও অভূতপূর্ব প্রাঙ্গণ স্থাপিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ভাবে প্রাঙ্গণটি দুই ভাগে বিভক্ত যথা উত্তর ও দক্ষিণ প্রাঙ্গণ। দুই প্রাঙ্গণের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও অশিক্ষক কর্মচারীবৃন্দের যোগাযোগ সুবিদার্থে সংস্থার কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত বিশেষ যান চলাচল আদি বিশেষ যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংস্থায় ক্রীড়া ও পাঠ্যক্রম বহিৰ্ভূত বিভিন্ন ক্রিয়াকালাপকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। পূর্বনির্মিত অন্দর ব্যাডমিন্টন কোর্ট, সুইমিং পুল, টেবিল টেনিস, ফুটবল ও ক্রিকেট প্রাঙ্গণ ও জিমন্যাসিয়াম ছাড়াও সংস্থা বর্তমানে একটি প্যাভিলিয়ন, কিয়স্বযুক্ত হকি প্রাঙ্গণ, নতুন টেনিস, ভলি বল ও বাস্কেট বল কোর্ট নির্মাণ করছে। সংস্থার দক্ষিণ প্রাঙ্গণে বর্তমানে একটি চিকিৎসালয় রয়েছে এবং উত্তর প্রাঙ্গণে তিন মেডিকেল অফিসার, একজন চক্ষু কর্ণ গলা বিশেষজ্ঞ, একজন শিশু চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, যুক্ত স্বাস্থকেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি প্রসেডিউর রুম, ক্ষুদ্র অপারেশন থিয়েটার ও ফিজিওথেরাফি সেন্টার ও রয়েছে।
সংস্থার প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণবাসীর সুবিদার্থে বিভিন্ন আনুষঙ্গিক পরিসেবা যথা ক্রেচ, স্থানীয় উদ্ভিদ যুক্ত উদ্ভিত উদ্যান, শিশু ক্রীড়াঙ্গন, মুদি দোকান, বিদ্যালয়, ক্যান্টিন, ক্যাফে, ব্যাঙ্ক ও এ.টি. এম এর ব্যবস্থাও রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ প্রাঙ্গণে গ্রন্থালয় ও বুক-নুক ও আছে। আই. আই. টি মণ্ডী আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য একটি মিলনায়তনও রয়েছে।
প্রযুক্তিগতভাবে বর্ধিত পরিষেবা
[সম্পাদনা]আই. আই. টি মণ্ডীর নির্মাণ ও রক্ষাণাবেক্ষণ বিভাগ সংস্থার ছাত্রদ্বারা নির্মিত একটি ওয়েবনির্ভর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এই বিভাগ একটি অনলাইন টিকিট পরিষেবা ব্যবহার করে রক্ষাণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনার জন্য। সংস্থায় উন্নত তথ্য প্রযুক্তি পরিকাঠামো স্থাপিত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ১ জি. বি. পি. এস অপটিক্যাল ফাইবার পরিচালিত উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা, এবং ২০০র অধিক ওয়্যারলেস এক্সেস পয়েন্ট।
সংস্থায় একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটিং পরিষেবা স্থাপিত হয়েছে যার মধ্যে ৩০০০ সি. পি. ইউ বিশিষ্ট ১৬০ টি কম্পিউটিং নোড রয়েছে এবং পরিষেবা ক্রমবর্ধ্বমান। আগামী দিনে এডুরোম পরিষেবার পরিকল্পনাও রয়েছে, যে বিশ্বব্যাপী পরিষেবার সহযোগে, অংশগ্রহণকারী সংস্থার ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক ও কর্মচারীবৃন্দ ইন্টারনেট পরিষেবার সুযোগ পাবে অংশগ্রহণকারী যে কোনো সংস্থার প্রাঙ্গণ থেকে। এ ছাড়াও ইউনিফাইড থ্রেট ম্যানেজমেন্ট পরিকাঠামো, দুর্যোগ পুনরুদ্ধার ওয়েবসাইট ও ইন্টারনেট পরিষেবাকে ১০ জি. বি. পি. এস গতিবেগের পরিকাঠামোতে উন্নত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। আই. আই. টি মণ্ডী তে ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক পরিষেবা স্থাপিত হয়েছে। একাডেমিক ব্লকগুলিতে প্রশস্ত ক্লাসরুম রয়েছে যার ক্যাপাসিটি ৩০ থেকে ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী পর্যন্ত।
সংস্থায় একটি প্রধান গ্রন্থালয় আছে যার মধ্যে ১৮,৯৪৮ পুস্তক রয়েছে এ ছাড়াও একটি স্বয়ংক্রিয় আর. এফ. আই.ডি পরিচালিত উপপ্রধান গ্রন্থালয় রয়েছে যার সহযোগ ছাত্র -ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ ২০,০০০ অনলাইন পাঠ্য বস্তুর সুবিধা পেয়ে থাকেন। ভবিষ্যতে একটি ২৫০ ক্যাপাসিটির ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ও প্রফেশনাল রেকর্ডিং ষ্টুডিও এবং তিনটি সম্মেলন কক্ষ স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
পরিবেশপ্রেমী ক্রিয়াকলাপ
[সম্পাদনা]প্রাঙ্গণ এ বর্জ পদার্থের ব্যবস্থাপনা দক্ষতার সাথে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রাঙ্গণ নিবাসীর সহযোগিতায় উৎস থেকেই বর্জ পদার্থ জৈব পচনশীল ও অপচনশীল পদার্থ পৃথক করা হয়। জৈব পচনশীল পদার্থের পচন প্রক্রিয়ার জন্য ১৫০ কে. জি. পদার্থ বহন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জৈব গ্যাস জেনারেটার স্থাপন করা হয়েছে। নর্দমার জল পরিশোধনকারী প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে, যার সহযোগে প্রাঙ্গণে উৎপন্ন বর্জ জলীয় পদার্থ পুনর্ব্যবহার অথবা স্রাবের পূর্বে পরিশোধিত হয়। বিশেষ প্রচেষ্টার সাথে স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী চিহ্নিত করা হয় এবং প্রকৃতির সাথে সাদৃশ্য বজায় রেখে প্রাঙ্গণের উন্নতি সাধন করা হয়। ভবিষ্যতে বর্জ জলীয় পদার্থের পরিশোধন ও পুনর্ব্যবহার, উদ্ভিদ নার্সারী, উন্নত বর্জ পদার্থ পৃথকীকরণ এবং প্রাঙ্গণে কম্পোস্ট প্রস্তুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
দক্ষিণ প্রাঙ্গণ
[সম্পাদনা]নবনির্মিত আই. আই. টি গুলোর মধ্যে আই. আই. টি মণ্ডী প্রথম স্থায়ী প্রাঙ্গণ অধ্যয়ন ও আবাসন বিশায়াক ব্যবস্থা স্থায়ী প্রাঙ্গণে স্থানান্তরিত করে। আই. আই. টি মণ্ডীর ক্ষেত্রের আয়তন মোট ৫১০ একর, যার মধ্যে টো০ একর সমতল-ভূমি এবং বাকিটা পার্বত্য-ভূমি। কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগ এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেড কর্তৃক বিল্ডিং নির্মিত হয়।
২৯শে অক্টোবর ২০১৬ সালে দক্ষিণ প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও কর্মীবৃন্দ একটি বিনোদন কেন্দ্র স্থাপিত হয়। প্রাঙ্গণের প্রধান পরিকল্পনা ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতে ৫০০০ ছাত্র, ৬০০ শিক্ষক এবং সেই সঙ্গে অশিক্ষক কর্মীবৃন্দের জন্য প্রাঙ্গণটি নির্মিত হবে।
ভবিষ্যতে দক্ষিণ প্রাঙ্গণে গবেষণা সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। দক্ষিণ প্রাঙ্গণের কিছু বিল্ডিং হল:
আবাসন
[সম্পাদনা]- প্রসার: ছাত্র আবাস
- নাকো: ছাত্র আবাস
- সুবলসার: ছাত্র আবাস
- চন্দ্রতাল: ছাত্রী আবাস
- শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী আবাসন: কিছু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দের আবাসন দক্ষিণ প্রাঙ্গণে স্থাপিত হয়েছে।
অধ্যয়ন বিষয়ক ভবন
[সম্পাদনা]- A1. এখানে রাষ্ট্রীয় জ্ঞান নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট পঠন কক্ষ, কিছু শিক্ষকের কর্মদফতর এবং কিছু ক্ষুদ্রায়তন পঠন কক্ষ আছে।
- A2. এই ভবনটির নাম উন্নত উপাদান গবেষণা কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা হয়।
- A3. এখানে কিছু শিক্ষকের কর্মদফতর এবং ডিন (অধ্যয়ন) দফতর আছে।
- A4. এখানে কিছু শিক্ষকের কর্মদফতার, রাষ্ট্রীয় জ্ঞান নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট মাঝারি আয়তনের সম্মেলন কক্ষ অবস্থান করছে।
- A5. বর্তমানে এখানে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, তিনটে অনুগনক পরীক্ষাগার এবং কিছু ক্ষুদ্রায়তন পাঠান কক্ষ রয়েছে।
- A6. এই ভবনে কিছু শিক্ষকের কর্মদফতার ছাড়াও জীববিদ্যা বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
- A7. এখানে নির্দেশকের কর্মদফতর, নিয়ামকের কর্মদফতর, অর্থায়ন ও হিসাব দফতর এবং কিছু শিক্ষকের কর্মদফতর আছে।
- A9. এখানে ২০০ ছাত্রের পঠন-পাঠন উপযোগী একটি অধ্যায়ন কক্ষ রয়েছে।
- SC-NKN. ঘোড়াশাল প্রাঙ্গণে নির্মিত এই ভবনে রাষ্ট্রীয় জ্ঞান নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট একটি বৃহদায়তন পাঠকক্ষ রয়েছে, সেই সঙ্গে কিছু পরীক্ষাগারও রয়েছে।
- কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক কর্মশালা
ছাত্রদের ভোজনশালা
[সম্পাদনা]- সেডার ভোজনশালা: দক্ষিণ প্রাঙ্গণের কেন্দ্রে অবস্থিত
- ম্যাপেল ভোজনশালা: দক্ষিণ প্রাঙ্গণের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত।
খাবারের দোকান
[সম্পাদনা]- স্যার সি.ভি.রোমান ক্যান্টিন: সাধারণত ক্যান্টিনটি সকাল ৯ থা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত খোলা, ক্যান্টিনটি দক্ষিণ প্রাঙ্গণের বাস স্থানাকের নিকট অবস্থিত।
- ডেইলি ডোজ কাফে: এটি ম্যাপেল ভোজনশালা নিচতলায় অবস্থিত।
- প্রিয়া ক্যান্টিন: এটি সদর ভোজনশালার অভ্যন্তরে অবস্থিত। এখানে বেশিরভাগ খাবার এ পূর্ব প্রস্তুত।
অন্যান্য অফিস/ সুযোগ-সুবিধা
[সম্পাদনা]- ডিন (ছাত্র) কার্যশালা
- ক্রিকেট প্রাঙ্গণ
- ফুটবল প্রাঙ্গণ
- ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
উত্তর প্রাঙ্গণ
[সম্পাদনা]উত্তর প্রাঙ্গণে সকল ছাত্র-ছাত্রীর পঠন-পাঠন ও আবাস রয়েছে |বর্তমানে সকল স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রী উত্তর পরিসরে বসবাস করে। এছাড়াও কিছু স্নাতকোত্তর ও গবেষণারত ছাত্র -ছাত্রী থাকে।
আবাসিক
[সম্পাদনা]- বেয়াস কুন্ড : ছাত্রবাস
- দাশীর : ছাত্রবাস
- গৌরী কুন্ড : ছাত্রী আবাস
- শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দের আবাস
অধ্যয়ন বিষয়ক ভবন
[সম্পাদনা]- A9: উদ্ভাবন কেন্দ্র: এই ৫ তলা গোলাকার ভবন এ ভূতল ও প্রথম তল এ পরিকল্পনা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং প্রদর্শনীশালা। এর ওপরে নিয়ামক ও প্রশাসনিক কার্যশালা। তৃতীয় তলে স্যাটেলাইট গ্রন্থাগার এবং গবেষণাগার থাকবে। সর্বোচ্চ তলে নির্দেশকের কার্যশালা, পর্ষদ কক্ষ এবং গবেষণাগার রয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে দুই দিকে অ১০-অ১৩ এবং A11-A14 অধ্যয়ন বিষয়ক ভবনগুলি স্থাপিত হয়েছে।
- A10: এই চারতলা ভবন টি শিক্ষকদের কার্যশালা ছাড়াও মাঝারি থেকে বৃহদাকার পঠনকক্ষগুলি স্থাপিত হয়েছে।
- A13: এই বিল্ডিং এ ৩০০ আসনযুক্ত পঠনকক্ষ এবং কিছু মাঝারি আকারের পঠনকক্ষ রয়েছে।
- A16: কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার।
ছাত্রদের ভোজনশালা
[সম্পাদনা]- পাইন ভোজনশালা: এই A10 বিল্ডিং এর সন্নিকটে অবস্থিত।
- ওক ভোজনশালা: এই ভোজনশালা মূলত দাশীর ছাত্রাবাসের আবাসিকদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে। এটি উত্তর প্রাঙ্গণের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।
খাবারের দোকান
[সম্পাদনা]- জেএসসি ক্যান্টিন
- আমূল পার্লার
- ওয়ান বাইট কাফে
ভিলেজ স্কয়ারে ক্ষেত্র
[সম্পাদনা]এখানে একটি গোলাকার প্রান্তরের পরিধিতে বিভিন্ন বিল্ডিং রয়েছে।
- প্রেক্ষাগৃহ প্রাঙ্গণ: এখানে একটি ৮০০ আসনযুক্ত প্রেক্ষাগৃহ ছাড়াও তিনটি ৪০-৫০ আসনযুক্ত পঠনকক্ষ রয়েছে।
- ক্রীড়া প্রাঙ্গণ: এখানে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও স্কোয়াশ এর ক্রীড়াঙ্গন রয়েছে। এ ছাড়াও একটি সুইমিং পুল ও জিম আছে।
- অতিথিশালা
- স্বাস্থ্য কেন্দ্র
- অধ্যয়ন বিষয়ক দফতর
- জিমখানা: বিভিন্ন প্রকৈশলী ও সাংস্কৃতিক ক্লাব এর কার্যশালা রয়েছে।
অন্যান্য সুবিধা
[সম্পাদনা]- হকি প্রাঙ্গণ
- সুইমিং পুল
- মেগাস্টার ক্ষুদ্র বাজার
সংগঠন ও প্রশাসন
[সম্পাদনা]বিভাগ
[সম্পাদনা]সংস্থানে প্রধানত শিক্ষক, প্রকল্পে কর্মরত সহযোগী এবং ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন ভাগে কর্মরত। বর্তমানে আই.আই.টি মণ্ডী তে চারটি বিভাগ রয়েছে:
- অনুগনক ও তড়িৎ প্রযুক্তি বিভাগ
- মৌলিক বিজ্ঞান বিভাগ
- প্রযুক্তি বিভাগ
- মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ
ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর ও শিল্পোউদ্যোগ
[সম্পাদনা]সমাজে পরিষেবা দেবার লক্ষ্য নিয়ে আই.আই.টি মণ্ডী দুটো ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর স্থাপন করেছে এবং একটি ছাত্র পরিচালিত ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ।
আই.আই.টি মণ্ডী ক্যাটালিস্ট
[সম্পাদনা]আই.আই.টি মণ্ডী ক্যাটালিস্ট হিমাচল প্রদেশের প্রথম প্রকৌশলী ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর। ১৫ মে ২০১৬ য অধ্যাপক অশোক ঝিনঝুনওয়ালা ইনকুবেটরটি উদ্বোধন করেন। আই.আই.টি মণ্ডী ক্যাটালিস্ট প্রারম্ভিক পর্যায়ের শিল্পোদ্যোগীদের ক্ষুদ্রার্থ, উচ্চ প্রকৌশলী মহাযতা তথাপি শান্ত ও সুনির্মল পরিবেশ প্রদান করে।
এনাবলিং ওমেন অফ কামান্ড (E-WOK )
[সম্পাদনা]এনাবলিং ওমেন অফ কামান্ড আই.আই.টি মণ্ডীর একটি অভিনব পরিকল্পনা যা মে ২০১৬ তে শুরু হয়। এটি গ্রামীণ মহিলাদের শিল্পকলা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যার সহযোগে তারা গ্রামীণ ব্যবসা শুরু করতে সক্ষম হয়। E-WOK মণ্ডী জেলার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলাদিগকের সাথে এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতি তে যুক্ত হয়েছে- কমান্ড, কাতিনদি, নবলায ও কাটোলা।
শিল্পোদ্যোগ প্রকোষ্ঠ (ই-সেল)
[সম্পাদনা]শিল্পোদ্যোগ প্রকোষ্ঠ একটি ছাত্র পরিচালিত ক্লাব যা আই.আই.টি মণ্ডীর ছাত্র-ছাত্রী শিল্পোদ্যোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]অন্যান্য ভাড়াটিয়া প্রদ্যোগিকী সংস্থানের মতো আই.আই.টি মণ্ডী ও স্নাতক স্তরের প্রকৌশলী ছাড়াও বিভিন্ন পাঠ্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও স্নাতকোত্তর স্তরে মাস্টার অফ সাইন্স এবং মাস্টার অফ সাইন্স (গবেষণা সহযোগে) প্রভৃতি পাঠ্যক্রম পরিচালিত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌল বিজ্ঞান যথা পদার্থ ও রসায়ন এবং বিভিন্ন প্রকৌশল বিদ্যায় প্রান্ত গবেষণাকে কেন্দ্র করে পি.এইচ.ডি ডিগ্রিও প্রদান করে। শিক্ষা বর্ষকে দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত করা হয়। আই.আই.টি মণ্ডী ১০ পয়েন্ট সি.জি.পি.এ স্কেল অনুসরণ করে। এখানে সুকঠিন পরীক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যার মধ্যে দুটি মধ্যে সেমেস্টার পরীক্ষা যা কুইজ নামে পরিচিত এবং একটি সেমিস্টার সমাপ্তির পরীক্ষা। এছাড়া কোর্সগুলিতে ছোট প্রকল্প, টার্ম পেপার, স্বনির্ভর শিক্ষাজনিত অনুশীলন, টিউটোরিয়াল এবং অঘোষিত পরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকে।
স্নাতক স্তরের প্রোগ্রাম:
[সম্পাদনা]বর্তমানে (২০২০-২০২১), আই.আই.টি মণ্ডী ছটি স্নাতক স্তরের প্রোগ্রাম পরিচালিত করে:
- সিভিল প্রকৌশলী বিদ্যা
- অনুগনক বিজ্ঞান প্রকৌশলী বিদ্যা
- তথ্য বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিদ্যা
- তড়িৎ প্রকৌশলী বিদ্যা
- প্রকৌশলী পদার্থ বিজ্ঞান
- যান্ত্রিক প্রকৌশলী বিদ্যা
এছাড়াও সংস্থানে একটি ডুয়াল ডিগ্রী প্রোগ্রাম (বি.টেক -এম.টেক) পরিচালিত হয় নিম্নোক্ত বিদ্যায়:
- জৈব প্রকৌশলী বিদ্যা
অন্যান্য আই.আই.টির মতো, উপরিউক্ত প্রোগ্রামগুলিতে জে.ই.ই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার মেধা তালিকা অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হয়, যা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্ব যেটা সর্বভারতীয় স্তরে আয়োজিত হয়।
স্নাতক স্তরে মহিলা ভর্তি
[সম্পাদনা]ভারতীয় প্রউদ্যোগিকী সংস্থান মণ্ডী সফলভাবে মহিলা ভর্তির লক্ষে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৯-২০ সালে ২০.২২% ছাত্রী বি.টেক প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে। এটা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (জে.ই.ই )এপেক্স বোর্ড কমিটি ২০১৯-২০ সালে মহিলা ভর্তির যে ১৭% লক্ষমাত্রা রেখেছিলো তা সফলভাবে অতিক্রম করেছে। এই বছর মোট ২৬২ ছাত্র ছাত্রী বি.টেক প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৫৩ জন মহিলা ও ২০৯ জন পুরুষ ভর্তি হয়েছিল। মোট ১০৩ জন ছাত্র ছাত্রী এম.এস.সি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে ৩৬ জন মহিলা ও ৬৭ জন পুরুষ। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩৩০ ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে বি.টেক প্রোগ্রামে যার মধ্যে ৬৮ জন মহিলা ও ২৬২ জন পুরুষ, যার ফলে ২০.৬১% মহিলা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে।
বর্ষ | ছাত্রীর সংখ্যা |
---|---|
২০১৫ | ৮ |
২০১৬ | ৬ |
২০১৭ | ২২ |
২০১৮ | ৩৮ |
২০১৯ | ৫৩ |
২০২০ | ৬৮ |
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম
[সম্পাদনা]আই.আই.টি মণ্ডী স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামও উপস্থাপন করে যেমন এম.এ, এম.এস (গবেষণা সহযোগে), এম.এস.সি এবং এম.টেক বিভিন্ন বিভাগের সহযোগে। বর্তমানে আই.আই.টি মণ্ডী এম.এস প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করে মৌলিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, এম.এ উপস্থাপনা করে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে, এম.এস.সি রসায়ন বিদ্যায় এবং এম.টেক শক্তিদায়ক উপাদান বিষয়ে। কোন ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির জন্য, তাকে প্রকৌশলী অথবা প্রযুক্তি বিদ্যায় স্নাতক হতে হবে, অথবা নির্দিষ্ট বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর হতে হবে গেট স্কোর সহযোগে, অথবা সমতুল্য কোনো জাতীয় পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে হবে। সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং ইন্টারভিউর কৃতকার্যের ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পেশ করা হয়।
আই.আই.টি মণ্ডী পি.এইচ.ডি প্রোগ্রামও উপস্থাপন করে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলীর বিভিন্ন বিষয়ে। ভর্তির সুযোগ পাওয়ার জন্য, আবেদনকারীর বিজ্ঞান বিষয়ে স্নতকোত্তর হতে হবে ভালো ফলাফলের সাথে, সেই সঙ্গে বৈধ গেট স্কোর অথবা ইউ.জি .সি/সি.এস.আই.আর নেট / প্রকৌশলী অথবা প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকতে হবে ভালো ফলাফলের সহযোগে অথবা যে কোনো আই.আই.টির বি.টেক হতে হবে ন্যূনতম সি.জি.পি.এ ৮.০ পয়েন্ট এর সহযোগে (১০.০ পয়েন্ট স্কেল) অথবা বৈধ গেট স্কোর থাকতে হবে অথবা স্বীকৃতি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক/বি.ই থাকতে হবে ন্যূনতম সি.জি.পি.এ ৮.০ পয়েন্ট (১০.০ পয়েন্ট স্কেল), সেই সঙ্গে বৈধ গেট স্কোর।
কৌশলগত অংশীদারিত্ব
[সম্পাদনা]টি.ইউ.৯ জার্মানি
[সম্পাদনা]ডব্লু.পি.আই, ইউ.এস.এ
[সম্পাদনা]বিভিন্ন বৈদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আই.আই.টি মণ্ডীর সহযোগিতা আছে | ডব্লু.পি.আই, ইউ.এস.এ থেকে আই.আই.টি মণ্ডীতে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে আই.আই.টি মণ্ডীর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যৌথভাবে "আন্তঃশৃঙ্খল সামাজিক ও প্রযুক্তিগত ক্রিয়াত্বক" (আই.এস.টি.পি) বিষয়ে অংশগ্রহণ করে। এই আই.এস.টি.পি র সহযোগে, ছাত্র-ছাত্রীরা সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সাথে পরিচিত হয় এবং এই সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধানের প্রস্তাব দেয়। এই সমাধান সামাজিক, প্রযৌক্তিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ কেন্দ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হয়।
স্থান
[সম্পাদনা]ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল রেঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক দ্বারা ২০২০ সালে আই.আই,টি মণ্ডীর ৩১তম স্থান নির্ধারিত হয়েছে।
গবেষণা
[সম্পাদনা]আই.আই.টি মণ্ডী একটি আন্তঃশৃঙ্খলা গবেষণার পরিবেশ প্রতিপালন করে। স্থানীয় এবং জাতীয় প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী, গবেষণার প্রধান বিষয়গুলো চিহ্নিত ও সংগঠিত করা হয়েছে।
গবেষণা কেন্দ্র
[সম্পাদনা]উন্নত উপকরণ গবেষণা কেন্দ্রে পরিবেশ ও কৃষিকার্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়, বিশেষতঃ প্রচলিত কৃষকদের জন্য যারা ফল, সবজি, জাফরান এবং ঔষধীয় বৃক্ষের কৃষিকার্যে নিযুক্ত | ইলেকট্রনিক যন্ত্রের পরিকল্পনা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিষয়ে পরিকল্পনা ও উদ্ভাবন বাহুশৃঙ্খলার গবেষণা কেন্দ্রে হয় | এই কেন্দ্রে ক্লাস ১০০, ক্লাস ১০০০ এবং ক্লাস ১০০০০ গবেষণাগার রয়েছে যেখানে উচ্চ প্রান্ত পরিশীলিত ইলেকট্রনিক যন্ত্রের পরিকল্পনা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রিক টুল রয়েছে যার মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি |
ছাত্র জীবন
[সম্পাদনা]ছাত্র জিমখানা এবং সমাজ
[সম্পাদনা]ছাত্র জিমখানা ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত একটি সংস্থা | ইটা ছাত্রদের অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের সম্পর্কের এক সেতু হয়ে ওঠে | জিমখানা ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে | জিমখানা ছাত্রদের বিভিন্ন বাধ্যতামূলক প্রোগ্রাম ও ইন্টার্নশীপে সাহায্য করে | ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রিয়াকলাপ ছটি বিভিন্ন সমাজে বিভক্ত, যথা শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, গবেষণা, ক্রীড়া ও প্রকৌশল | অতিরিক্ত ক্রিয়াকলাপ সাধারণ বিষয়রূপে সাধারণ সম্পাদকের দ্বারা পরিচালিত হয় |
প্রকৌশলী সমাজ এ কমান্ড প্রম্প্ট (প্রোগ্রামিং ক্লাব ), এস.টি.সি (জ্যোতিষবিজ্ঞান ক্লাব ), রোবোট্রনিক্স (রোবোটিক্স ও ইলেকট্রনিক্স ক্লাব), নির্মাণ ক্লাব, যান্ত্রিক ক্লাব এবং উদ্ভাবনী প্রকোষ্ঠ |
সাংস্কৃতিক সমাজের অন্তর্ভুক্ত আর্ট গিক্স (আর্ট ক্লাব), সঙ্গীত ক্লাব, নৃত্য ক্লাব, নাটক ক্লাব, ডিসাইন ক্লাব, শাটারবাগ্স (ফোটোগ্রাফি ক্লাব ) এবং পার্সেপশন (ভিডিওগ্রাফি ক্লাব)
সাহিত্য বিষয়ক সমাজের অন্তর্ভুক্ত বিতর্ক, কুইজ এবং লেখনীর ক্লাব | সাহিত্য বিষয়ক সমাজ কর্তৃক ভিভান নামক একটি ছাত্র পত্রিকাও প্রকাশিত হয় |
ক্রীড়া সমাজের একটি ক্রীড়া সংসদ আছে যার সহযোগে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, লন টেনিস, টেবিল টেনিস, ভলি বল, বাস্কেট বল, হকি, অ্যাথলেটিক্স প্রভৃতি ক্রীড়া কার্যকলাপ আয়োজন করা হয় |
গবেষণা বিষয়ক সমাজের অন্তর্ভুক্ত আই.আই.টি মণ্ডী গবেষণা ক্লাব |
সাধারণ বিষয়ক অন্তর্ভুক্ত হাইকিং এবং ট্রেকিং ক্লাব |
প্রথম বর্ষের সমস্ত স্নাতক ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া সমাজ, জাতীয় সেবা প্রকল্প এবং হাইকিং ও ট্রেকিং ক্লাবের মধ্যে যে কোন একটি অধ্যয়ন অতিরিক্ত ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করতে হয় |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Life at IIT Mandi: 7 reasons to choose the institute in the lap of the Himalayas"। India Today। ৮ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ । India Today। ৮ অক্টোবর ২০২০ http://www.collegekhabar.com/college/view/IIT-MANDIs। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২১।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]