ব্রেনেন্ডার বের্গ

স্থানাঙ্ক: ৪৯°১৭′২০″ উত্তর ৭°৩′১৩″ পূর্ব / ৪৯.২৮৮৮৯° উত্তর ৭.০৫৩৬১° পূর্ব / 49.28889; 7.05361
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রেনেন্ডার বের্গ

ব্রেনেন্ডার বের্গ (জার্মান: Brennender Berg; "জ্বলন্ত পর্বত") একটি প্রাকৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ যা জার্মানির জারলান্ড রাজ্যের ডুডভাইলার এবং জুলৎসবাখের মধ্যে গভীর এবং সরু গিরিখাতে অবস্থিত। এটি একটি ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা কয়লার স্তরের আগুন, যাতে ১৬৬৮ সালে[১] আগুন ধরেছিল এবং আজও জ্বলছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণটি আজও জানা যায়নি তবে এটি অপরিকল্পিত কয়লা উত্তোলনের ফলে চাপ এবং পচনের ফলে সম্ভবত স্বতঃস্ফূর্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছিল। ঐতিহ্য  অনুসারে বলা যায়, একজন রাখাল একটি গাছের গুড়িতে  আগুন জ্বালিয়েছিল যা শিকড়ের মধ্য দিয়ে কয়লার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও তা নেভানো যায় নি। এটি শুধু শিখা ছিল না বরং  জ্বলজ্বল করে জ্বলতে আরম্ভ করে। মূলত এই আভা পাথর ফাটলগুলির মধ্যে দিয়ে দেখা যেত এবং সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। আঠারো শতকের শেষের দিকে আগুন কমে যেতে শুরু করে। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এখানে ধোঁয়া দেখা যায় এবং পাথরে উষ্ণ বাতাসের একটি প্রবাহও শনাক্ত করা যায়। [২]

ভ্রমণ[সম্পাদনা]

ব্রেনেন্ডার বের্গ অঞ্চলটি পর্যটকদের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।[৩]। ভ্রমণ এবং শিক্ষা সফরের  জন্য এটি একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।  নয়ভাইলারের ষ্ট্রাসে নামক সড়কের শেষে ডুডভাইলার কবরস্থানের পার্কিং লট একটি সুবিধাজনক সূচনা বিন্দু। ইয়োহান ভোলফগাং ফন গ্যোটে ১৭৭০ সালে ব্রেনেন্ডার বের্গ ভ্রমণ করেছিলেন[৪] এবং একটি স্মরণীয় ফলকে তাঁর অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেন। পরে তিনি এই সফরটিকে স্মরণ করে লিখেছিলেন:

"আমরা প্রচুর ডুডভাইলার কয়লা খনি, লোহা এবং বাদাম গাছ এবং এমনকি একটি জ্বলন্ত পাহাড় সম্পর্কে শুনেছি এবং এই কাছাকাছি বিস্ময়কর বিষয়টি দেখার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা একটি জায়গায় গেলাম এবং জ্বলন্ত পর্বতের আশেপাশে নিজেকে দেখতে পেলাম। আমরা গন্ধকের একটি তীব্র গন্ধ চারপাশে পাচ্ছিলাম; গুহার একপাশে জ্বলজ্বল করছিল এবং লালচে, সাদা, পোড়া পাথর দিয়ে আবদ্ধ ছিল। পাথরের ফাটল দিয়ে গরম বাষ্প বের হয়ে আসছিল এবং আমরা আমাদের জুতার তলার মধ্য দিয়েও গরম জমি অনুভব করতে পারছিলাম।"

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. (জার্মান ভাষায়) Brennender Berg, fell-dudweiler.de.
  2. Chemie und Literatur - ein ungewöhnlicher Flirt। Weinheim, Germany: Wiley-VCH Verlag GmbH & Co. KGaA। ২০১৩-১১-০১। পৃষ্ঠা 77–83। আইএসবিএন 978-3-527-67179-3 
  3. de Bie, Rob (২০১৩-০১-১৭)। "Levodopa in EArly Parkinson?s disease"http://isrctn.org/>। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. Goethe, Johann Wolfgang von; Goethe, Walther Wolfgang; Goethe, Wolfgang Maximilian; Schuchardt, Christian (১৮৪৮)। Goethe's Kunstsammlungen /। Jena :: F. Frommann,। 
  5. Burning Table Mountain। Palgrave Macmillan। আইএসবিএন 978-1-137-41544-8 
  6. Dixon, J (১৯৯৬)। "Isopach map: Smoking Hills Sequence" 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • (জার্মান ভাষায়) Johann Wolfgang von Goethe: Dichtung und Wahrheit. Zweiter Teil. Zehntes Buch. 1812. (Internetfundstelle)
  • (জার্মান ভাষায়) Martin Schuto: Neue Wirtschaftszweige – Alaunhütten, Kokserzeugung, Sudhaus. In: 1000 Jahre Dudweiler 977–1977. Saarbrücker Zeitung Verlag. Saarbrücken 1977. S. 228–233.
  • (জার্মান ভাষায়) Karl Heinz Ruth: Die Alaungewinnung am Brennenden Berg. In: Historische Beiträge aus der Arbeit der Dudweiler Geschichtswerkstatt. Band 5. Saarbrücken 1988, S. 1–17.