গিরিখাত

গিরিখাত (ইংরেজি: canyon) হলো ভুমিতে বড় ও গভীর ফাটল বা একটি গভীর উপত্যকা। বেশিরভাগ গিরিখাত নদীর প্রবাহে তৈরি হয়েছিল। কিছু সংখ্যক ভুমিকম্পের ফলে তৈরি হয়েছিল। বহু বছর ধরে নদীর প্রবাহে তার তলদেশ থেকে মাটি ও পাথর সরে যায়, ফলে নদীর তলদেশ ক্ষয়ে গভীর খাদের বা ফাটলের সৃষ্টি হয়, একে গিরিখাত বলে। [১]
নদী সাধারণত পলি বয়ে তার গন্তব্য নিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে পলি জমা হয়ে তার তলদেশের উচ্চতা গন্তব্যের সমান হয়ে যায়। নদীর তলদেশ ক্ষয়ে গিরিখাত তৈরির প্রক্রিয়া তখনই ঘটে যখন নদীর শুরু তার মোহনার তুলনায় বেশ উপরে থাকে। [২] বিশেষ করে সেসব অঞ্চলে যেখানে নরম পাথরের স্তর শক্ত পাথরের স্তরের সাথে মিশে থাকে।
দুটি পর্বতশৃঙ্গের মাঝের ফাটলকেও গিরিখাত বলা হয়ে থাকে, যেমন: রকি পর্বতমালা, আল্পস পর্বতমালা, হিমালয় পর্বতমালা কিংবা আন্দেস পর্বতমালার অন্তর্ভুক্ত গিরিখাত। সাধারণত, একটি নদী বা ঝর্ণা পাহাড়গুলোর মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। পাহাড়ীয় গিরিখাতে কয়েকটি উদাহরণ হলো: ইউটার প্রভো গিরিখাত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট উপত্যকা। পাহাড়ের মধ্যে থাকা গিরিখাত যার শুধু একটি দিক আছে এবং তিন দিকে পাহাড়ে ঘেরা তাকে বাক্স গিরিখাত বলে। স্লট গিরিখাত হলো খুবই সংকীর্ণ গিরিখাত যার প্রায়শই মসৃণ দেয়াল থাকে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের মহাদেশীয় ঢালে থাকা খাড়া-পার্শ্বীয় উপত্যকাকে সাবমেরিন গিরিখাত বলে। ভুমিতে থাকা গিরিখাত থেকে সাবমেরিন গিরিখাত ভিন্ন। এরা সমুদ্রের স্রোত বা ভুমিধ্বসের ফলে তৈরি হয়।
- ↑ "canyon" (ইংরেজি ভাষায়)। National Geographic Society। ২০ মে ২০১১।
- ↑ Ward Cameron (২০০৫)। "Understanding Canyon Formation"। ২০০১-০৪-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-০৭।