ব্রাউনহিলস্‌

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রাউনহিলস্‌

ব্রাউনহিলস প্রবেশ চিত্র by John McKenna
জনসংখ্যা১২,৬৩৭ (2001 Census)
ওএস গ্রিড তথ্যএস.কে.০৪৫০৫৫
• লন্ডন১২৮ মা (২০৬ কিমি) SE
মেট্রোপলিটন বরো
মহানগর কাউন্টি
দেশEngland
সার্বভৌম রাষ্ট্রযুক্তরাজ্য
পোস্ট শহরওয়ালসাল
পোস্টকোড জেলাডব্লিউ.এস.৮
ডায়ালিং কোড০১৫৪৩
ইউরোপীয় সংসদপশ্চিম মিডল্যান্ড
ইউকে সংসদ
স্থাসমূহের তালিকা
ইউকে
ইংল্যান্ড

ব্রাউনহিলস্‌ ক্যানক চেজের ধার ঘেঁষে কৃত্রিম হ্রদ চেজওয়াটারের কাছে ইংল্যান্ডের পশ্চিম মিডল্যান্ডে অবস্থিত একটি শহর। এটি ওয়ালসাল হতে ৬ মাইল (৯.৭ কিমি.) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। লিচফিল্ড হতেও একই দূরত্বে অবস্থিত এই শহর। এটি ওয়ালসালের মেট্রোপলিটন বরো'র একটি অংশ এবং প্রাচীন গ্রাম পেলসালস্টোনালের নিকটে অবস্থিত।

এই শহর প্রাচীন রাস্তা ওয়াটলিংয়ের উপর শুয়ে আছে। যদিও এই শহরটির নিবন্ধন সপ্তদশ শতাব্দির আগে হয়নি। ব্রাউনহিলসের দ্রুত উন্নতির কারণ মূলত এর কয়লাখনিগুলো। মধ্য ঊনবিংশ ও তার শেষেরদিকে এই শহরে খাল ও রেলযোগাযোগ স্থাপিত হয়। তখন এই শহরে প্রায় ১৩,০০০ লোকের বাস ছিল, যার বেশিরভাগই কয়লাখনিতে কাজ করত। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর প্রধান জীবিকা ছিল। কিন্তু এরপরেই কয়লার নিঃশেষ হয়ে যাওয়া একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করে, যা এখনও অব্যাহত আছে। তবে বর্তমানে এই শহরে একটি পুনঃউন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেয়া হবে, যা এই শহরের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।

জনমিতি[সম্পাদনা]

এক নজরে জনমিতি
২০০১ সালের যুক্তরাজ্যের জরিপ ব্রাউনহিলস ওয়ার্ড ওয়ালসাল জেলা ইংল্যান্ড
মোট জনসংখ্যা ১২,৬৩৭ ২৫৩,৪৯৯ ৪৯,১৩৮,৮৩১
বিদেশি জন্মগ্রহণ ২.২% ৮.৩% ৯.২%
শ্বেতাঙ্গ ৯৭.৪% ৫৬.৪% ৯০.৯%
এশীয় ১.২% ১০.৪% ৪.৬%
কৃষ্ণাঙ্গ ০.৫% ০.৫% ২.৩%
খ্রিস্টান ৭৯.৬% ৭২.১% ৭১.৭%
মুসলমান ০.৬% ৫.৪% ৩.১%
হিন্দু ০.২% ১.৬% ১.১%
নাস্তিক ১২.৫% ১০.০% ১৪.৬%
৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ১৩.১% ১৫.০% ১৫.০%
বেকার ৩.৮% ৪.৪% ৩.৪%

২০০১ সালের করা একটি যুক্তরাজ্যের জরিপে দেখা যায়, ব্রাউনহিলসের জনসংখ্যা প্রায় ১২,৬৩৭ জন। এই অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় প্রতি হেক্টরে ১৭.৪৫ জন।

শহরের ৫,১৫১ গৃহস্থের মধ্যে ৪০.৭% জুটি বিবাহিত ও তারা একত্রে থাকে, ১০.৪% জুটি অবিবাহিত কিন্তু একত্রে থাকে এবং ১০.২% একা থাকে। এই গৃহস্থের মধ্যে ২৫.৯% আইনগতভাবে বিচ্ছেদকৃত, ১২.৮% লোক, যারা পেনশন পায়, তাদের কেউ না কেউ আছে। এই লোকের মধ্যে ৩১.৮% লোকের ১৬-১৮ বছরের সন্তান আছে।

এই অঞ্চলে বর্ণগত দিকদিয়ে ৯৭.৪% শ্বেতাঙ্গ, ০.৬% মিশ্র, ১.২% এশীয়, ০.৫% কৃষ্ণাঙ্গ এবং ০.৩% চীনা বা অন্যান্য। দেশের অধিবাসীর দিকদিয়ে এই শহরের ৯৭.৮% ব্রিটিশ, ০.৪% আইরিশ, ০.২% জার্মান, ০.২% অন্যান্য দক্ষিণ ইউরোপীয়, ০.২% পূর্ব ইউরোপীয়, ০.২% আফ্রিকান, ০.৩% দূর-প্রাচ্যের, ০.৪% দক্ষিণ এশীয়, ০.১% মধ্য-প্রাচ্যের, ০.২% উত্তর আমেরিকান এবং ০.১% অস্ট্রেলিয়ান। ধর্মের দিকদিয়ে ৭৯.৬% খ্রিস্টান, ০.৬% মুসলমান, ০.২% হিন্দু, ০.১% বৌদ্ধ, ০.১% ইহুদি এবং ০.৩% শিখ। ১২.৫% নাস্তিক, ০.১% অন্যান্য ও ৬.৫% তাদের ধর্ম প্রকাশ করেনা।

ব্রাউনহিলসে গড়ে ১০০ মহিলা ৯৮.০৪ পুরুষ। বয়সের দিক দিয়ে ৬.৬% এর বয়স ০-৪, ১৫% এর ৫-১৫, ৪.২% এর ১৬-১৯, ৩৬.৩% ২০-৪৪, ২৩.৬% ৪৫-৬৪ এবং ১৪.১% এর বয়স ৬৫-এর কম বা বেশি। এখানের গড় বয়স ৩৭.৫, যা জাতীয় গড় ৩৮.৬ এর চেয়ে কম।

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ১৬-৭৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৩.২% স্থায়ী চাকরির অধিকারী, ১২.৩% এর পার্ট-টাইম, ৬.১% আত্মকর্মস্থ, ৩.৮% বেকার, ১.৩% চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, ২.৩% চাকরিবিহীন শিক্ষার্থী১ ১৩.৫% অবসরপ্রাপ্ত, ৭.৩% পরিবারের যত্ন নেয়, ৬.৯% স্থায়ীভাবে অসুস্থ বা প্যারালাইজড, ৩.৩% অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল। এই চাকরিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ওয়ালসাল জেলার হারের (৩৯.১%) চেয়ে বেশি। এই শহরের ১৬-৭৪ বছরের বয়সীদের মধ্যে ৮.৫% উচ্চশিক্ষিত, অথচ সারা দেশে এই হার ১৯.৯%। জাতীয়ভাবে করা এক জরিপে দেখা গেছে, এপ্রিল ২০০১ থেকে মার্চ ২০০২ পর্যন্ত এই শহরের অধিবাসীদের মাথাপিছু আয় ছিল ৪৬০£ (বার্ষিক ২৩,৯২০£)।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

১৯০৭ সালে ধারণকৃত ব্রাউনহিলস হাই স্ট্রিট।
২০০৭ সালে ধারণকৃত ব্রাউনহিলস হাই স্ট্রিট।

১৯৫০ সালের পর থেকে কয়লাখনির অবনতির পর এই শহরে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দা এখনও বর্তমান। বর্তমানে শহরের উন্নতির লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন টাউনস্কেপ মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা এই শহরের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে। এই শহরে অতিদ্রুত শপিং মল, বাইপাস রোড, সাইকেলের জন্য আলাদা লেন করা হবে। এই উদ্দেশ্যে ৩৫০,০০০£ সমমূল্যের একটি উন্নয়ন প্রকল্প মিনি টাউন স্কয়ার হাতে নেয়া হয়েছে। এর সাথে সাথে বড় বড় ফ্ল্যাট নির্মাণ শুরু হয়েছে। [১][২]

২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী ব্রাউনহিলসের ৫,৭৬৮ জন কর্মরত, যার সর্বোচ্চ সংখ্যক (২৮.৮৫%) উৎপাদনমুখী কাজে নিয়োজিত। এরমধ্যে ১৯.৩৫% দোকানে ও অন্য ৮.৯৩% নির্মাণ কাজে রয়েছে। শহরের অধিকাংশই নির্মাণ কাজে যোগদানরত, কিন্তু অন্যান্য রিয়েল এস্টেটের কাজে খুবই কমসংখ্যাক মানুষ নিয়োজিত। ব্রাউনহিলসের অধিবাসীদের অধিকাংশই গড়ে ১০.৩৬ কিমি. রাস্তা পার করে কাজে যায় এবং বেশিরভাগ ৬২% গাড়িতে করে কাজে যায়।

শহরের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান টি এন্ড এস স্টোরস্‌, যা শহরের প্রায় ১০০০ লোককে কাজ দিয়েছে। আরোকিছু বড় প্রতিষ্ঠান ছিল যা বর্তমানে বন্ধ। শহরের সবচেয়ে বড় শাখা অফিস টেসকোতেও অনেক লোক কর্মরত। এই প্রতিষ্ঠান ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে থাকে।

এছাড়া শহরে বেশকিছু স্বাধীন দোকান যেমন মুচির দোকান, কামারের দোকান রয়েছে, কিন্তু তাদের সেবার মান ভাল নয়। পুনঃউন্নয়নের যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তাতে এইসব সাধারণ দোকানও লাভবান হবে। খালের নিকটবর্তী সিলভার স্ট্রিট -এর প্রতি বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।

যাতায়াত ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

রাস্তায় যোগাযোগ[সম্পাদনা]

ব্রাউনহিলস বিখ্যাত এ৫ রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত যা এম৬ রোডের নিকটে অবস্থিত। জাতীয় এক্সপ্রেস পশ্চিম মিডল্যান্ড ওয়ালসাল হয়ে এই শহরে আসে। অ্যারাইভা ক্যানক ও ওয়ালসালকে সংযুক্ত করেছে। ডায়মন্ড বাস, চয়েস ট্রাভেল, এটিজেড ট্রাভেল সার্ভিস আলড্রিজ ও বার্মিংহামকে ব্রাউনহিলসের সাথে সংযুক্ত করেছে। এই শহরের নিকটে অবস্থিত জাতীয় এক্সপ্রেস ওয়ালসাল, বক্সউইচ ও ক্যানকে থামে।

খালে যোগাযোগ[সম্পাদনা]

বার্মিংহাম খাল নেভিগেশন এবং ওয়ারলি ও এসিংটন খাল ব্রাউনহিলসের মধ্য দিয়ে গেছে। এই খালদ্বয় ড এন্ড ব্রাঞ্চ ক্যানেলক্যাটশিল জংশন-এ মেলে। লিচফিল্ড ও হ্যাথারটন খাল পুনঃব্যবস্থাপনা এই খালকে ব্যবহারের মাধ্যমে লিচফিল্ড খাল থেকে ওগ্লে জংশন যায়।

রেল যোগাযোগ[সম্পাদনা]

ব্রাউনহিলসের দুটি রেলওয়ে স্টেশন আছে। প্রথমটি দক্ষিণ স্ট্যাফোর্ডশায়ার লাইন ও দ্বিতীয়টি মিডল্যান্ড রেলওয়ে। প্রথমটি ১৮৪৯ সালে খোলা হয়, কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে ১৯৬৫ সালে বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই লাইন খোলা ছিল, কিন্তু ১৯৮৫ সালে এই লাইন উঠিয়ে নেয়া হয়। [৩] আর দ্বিতীয়টি যাত্রীদের জন্য ১৮৮৪ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত খোলা ছিল, লাইন ছিল ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ও এরপর এর লাইন উঠিয়ে নেয়া হয়। নতুন প্রকল্পে যাত্রীবহনের জন্য রেলের ব্যবস্থা থাকবে। শহরের ৬ মাইলের (৯.৭ কিমি.) মধ্যে ছয়টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। সেগুলো ওয়ালসাল, লিচফিল্ড, ক্যানক, ব্লক্সউইচ, গ্রেট ওয়ারলি ও সবচেয়ে নিকটবর্তী (প্রায় ৩.৫ মাইল বা ৫.৬ কিমি.) শেনস্টোনে রয়েছে।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

জন ম্যাককেনা এআরবিএস কর্তৃক নির্মিত ব্রাউনহিলসের কয়লাশ্রমিক ভাস্কর্য।

শহরের প্রধান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম ব্রাউনহিলস স্পোর্টস কলেজ। এই বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ে সবাই পড়ে এবং মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১০০০ জন। ২০০২ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রযুক্তি কলেজে উন্নীত হয়। ২০০৫ সাল হতে এই বিদ্যালয়টি স্পেশালিস্ট স্কুল এন্ড একাডেমীস্‌ ট্রাস্ট -এর সাথে যুক্ত। ২০০৬ সালে এই স্কুলের মাত্র ২৮% শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫ জিসিএসই পায় এ-সি গ্রেডে(গণিত ও ইংরেজি সহ) ওয়ালসালের ১৯টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে ১২তম হয়।

যদিও ওয়ালসাল উড-এর কাগজ-কলমের সীমানার বাইরে, তদুপরি শায়ার ওঅক স্কুল ব্রাউনহিলসের অনেক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়েছে। এই অঞ্চলের প্রায় ৬% শিক্ষার্থী এই স্কুলে পড়ে।

ব্রাউনহিলস মার্কেট, পিছনে সিলভার মেথোডিস্ট গির্জা দেখা যাচ্ছে।

এ৫ রোডে অবস্থিত ওয়াল্ট্রিং স্ট্রিট প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ ৩-১১ বছর বয়সের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পড়ে। ২০০৬ সালে ওয়ালসাল এলইএ-তে এই স্কুলের স্টেজ ২-এর ফলাফল সবচেয়ে ভাল ছিল। এই শহরে আরো ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেগুলো হলঃ সেন্ট জেমস্‌ প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেন্ট বার্নাদেটস ক্যাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ব্রাউনহিলস্‌ প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিলফিল্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ক্লেহ্যাঙ্গারের হলি ইংল্যান্ডের হলি ট্রিনিটি গীর্জা প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ধর্মীয় উপাদান[সম্পাদনা]

ব্রাউনহিলসে একটি সেন্ট জেমসের গির্জা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে সেন্ট বার্ণাডিটস্‌---এর রোমান ক্যাথলিক গীর্জা, তিনটি মেথোডিস্ট গীর্জা, দুইটি আত্মা-বিষয়ক গির্জা ও একটি পেন্টেকোস্টাল গীর্জা।

ঊনবিংশ শতাব্দি হতে ব্রাউনহিলসে মেথডিস্ট বিশ্বাস রয়েছে। বর্তমান রৌপ্যময় মেথোডিস্ট গীর্জাটি ১৯৬০ সালে নির্মিত হয়।

সংষ্কৃতি[সম্পাদনা]

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

ব্রাউনহিলসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হল ৪৬ ফুট (১৪ মিটার) উচ্চতা বিশিষ্ট একজন কয়লা খনিশ্রমিকের ভাস্কর্য। এই ভাষ্কর্যটি এ১৪২৪ পেলেসাল ও এ৪৫২ রাস্তাদ্বয়ের সংযোগস্থলে রয়েছে। জন ম্যাক্‌কেনা এই বিশাল ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। এই ভাস্কর্যের নামকরণের জন্য একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। শেষ পর্যন্ত এর নাম হয় জিগার, সেই জ্যাক জিগারে নামানুসারে যিনি ১৯৫১ সালে এক দুর্ঘটনায় মারা যান।

ক্যাটসিল জংশনের কাছের সেতুর নিচে নৌকাবাইচ।

স্ট্যাফোর্ডশায়ারে অবস্থিত চেজওয়াটার ব্রাউনহিলস শহরের ধার ঘেষে অবস্থিত। এই স্থানে একটি পার্ক রয়েছে। এই স্থানটি সরকারি ডাকবিভাগের জায়গার অন্তর্গত। এখানে নৌকাবিহার, পক্ষীদর্শন, নৌকাবাইচ প্রভৃতি বিনোদনমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। চেজওয়াটার রেলওয়ে একটি ঐতিহাসিক রেলভ্রমনের সুযোগ দেয় যা চেজওয়াটার-ব্রাউনহিলস-চেজওয়াটার টাউন পর্যন্ত যায়। এর মূল স্টেশন পশ্চিম ব্রাউনহিলসে অবস্থিত।

এ৫ রাস্তার বিপরীতে অসংখ্য পাখি সেখার সুযোগ রয়েছে। এটি সংরক্ষিত শায়ার ওঅক পার্কের (০.৯ মাইল বা ১.৪ কিমি.) অন্তর্গত। হল্যান্ড পার্কে নানারকম খেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৯৫,০০০ পাউন্ডের একটি বিশাল পুনঃউন্নয়ন প্রকল্প ২০০২ সালে হাতে নেয়া হয় ও তার ফলেই এই উন্নতি। এই প্রকল্পের শেষে একটি যুব আশ্রয় নির্মিত হবে।

এই শহরে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রাচীন রাস্তা-চিহ্ন (Fingerpost) রয়েছে।

সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

এই শহরের প্রধান সমস্যা এই যে এখানে বিনোদনের খুব কম স্থান রয়েছে। একসময় এই শহরে দুটি সিনেমা হল ছিল, কিন্তু ১৯৬০ সালে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং একটি নতুন হল নির্মাণের পরিকল্পনা কখনও বাস্তবের মুখ দেখেনি। যদিও শহরের থিয়েটার অনেকদিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে, তবুও ব্রাউনহিলস কমিউনিটি স্কুল থিয়েটার নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। কিছু কমেডি দল ও গানের দলও রয়েছে এই শহরে।

মডেল এরিন ও'কনর এই শহরে গড়ে উঠছে

জুন মাসে এই শহরে একটি খাল উৎসব হয়। তখন নৌকাবাইচসহ নানা অনুষ্ঠান হয়। এখানে একটি সক্রিয় সাংষ্কৃতিক দল রয়েছে যা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এরমধ্যে সপ্তাহব্যাপী মিলিটারি প্রদর্শনী রয়েছে। ২০০৬ সালে এই অনুষ্ঠান হয়। এই শহরে একটি সপ্তাহ বাজার রয়েছে কিন্তু নিম্নমানের পণ্য দেবার জন্য তা জনপ্রিয় নয়। ২০০৫ সালে নিম্নমানের পণ্য দেবার অভিযোগে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এই মার্কেট বন্ধ করে দেয় ও ৪০,০০০ পাউন্ড জরিমানা করে।

এখানে কিছু সরকারি বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে বেশকিছু পুরানো আমলের। ১৯৮০ সালে এমন এক বাড়ি ভিক্টোরিয়া আমলের জলি কলিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়। ঊনবিংশ শতাব্দির কিছু বাড়ি এখনও অক্ষত রয়েছে। ১৮৫০ সালে নির্মিত খাসির কাঁধ এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য। হাই স্ট্রিটে অবস্থিত স্টেশন হোস্টেল প্রাচীন এক ভবন এবং এখানে ১৯৬৮ সালে ব্ল্যাক স্যাবাথের পদার্পণ ঘটেছিল।

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

বর্তমানে ব্রাউনহিলসের কোন শনিবারের ফুটবল দল নেই। এই শহরের কাছাকাছি পেলসা ভিলা এফ.সি., হেলথ হেজ্‌ এফ.সি. ও ওয়ালসাল উড এফ.সি. রয়েছে। মিডল্যান্ড ফুটবলের এই সবদলের খেলোয়াড় আছে। ১৯৯০ সালে ব্রাউনহিলস টাউন এফ.সি. এই দলে ছিল কিন্তু ২০০৩-০৪ সময়ে এই দল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৫০ সালে ওগ্লে হে এফ.সি. একটি শক্তিশালী দল ছিল এবং ওয়ালসাল সিনিয়র কাপ'এর ফাইনালে অংশ নেয়। বর্তমানে ব্রাউনহিলস কমিউনিটি কল্টস দলে সব বয়েসের খেলোয়াড় রয়েছে।

ব্রাউনহিলস বহিরাগত সেন্টার (Brownhills Outdoor Center) খোলা হয় ২০০৬ সালে। ব্রিটিশ ওয়াটারওয়েজ, স্পোর্টস ইংল্যান্ডের সাথে যৌথভাবে এই কাজ করে। কাছের চেজওয়াটারের পানিপথ এখানে রয়েছে।

এছাড়া এখানে যোগব্যায়াম, বক্সিংব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা রয়েছে।

গণমাধ্যম[সম্পাদনা]

ব্রাউনহিলসের নিজস্ব কোন দৈনিক নেই, যদিও উলভারটনওয়ালসালের পত্রিকায় এই শহরের সকল খবর থাকে। এক্সপ্রেস অ্যান্ড স্টার এই অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক। নির্দিষ্ট কিছু খবরসহ যেসব দৈনিক বিনামূল্যে দেয়া হয় তা হলঃ ওয়ালসাল ক্রনিকেল, ওয়ালসাল অ্যাডভারটাইজারওয়ালসাল অবজারভার। একইভাবে শহরে কোন নিবেদিত বেতার স্টেশন নেই। তবে এই অঞ্চলের অধিবাসীরা সাটন কোল্ডফিল্ড ট্রান্সমিটিং স্টেশন থেকে শুনতে পায় এবং এর সাথে সাথে বিআরএমবি ও কেরাং! (১০৫.২ এফএম) শুনতে পায়।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

ডোরসেট পরিবারের তিনজন অধিবাসী পেশাদারভাবে ফুটবল খেলত। তারা হলেনঃ জর্জ ডোরসেট (১৮৮১-১৯৪২) ও তার ভাই জো ডোরসেট (১৮৮৮-১৯৫১) ওয়েস্ট ব্রমউইচ আমবিয়নম্যানচেস্টার সিটির জন্য খেলে। তাদের চাচাতো ভাই ডিকি ডোরসেট (জন্মঃ ৩রা ডিসেম্বর, ১৯১৯; মৃত্যুঃ ১৯৯৯) ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত অ্যাস্টন ভিলার হয়ে ২৫০ বারেরও বেশি বার খেলেন। ১৯৩৯ সালের এফ.এ. কাপ ফাইনালে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারারস-এর পক্ষেও খেলেন। সম্প্রতি বিশেষ মডেল এরিন ও'কনর (জন্মঃ ৯ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮) এই শহরে গড়ে উঠছেন।[৪][৫] More recently, supermodel Erin O'Connor (born 9 February 1978) grew up in Brownhills.[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Council wins massive Euro grant for Brownhills"। Walsall Council। ২০০৩-০৮-০৬। ২০০৫-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৫ 
  2. "Wyrley & Essington Canal + Anglesey Branch"। The Birmingham Canal Navigations Society। ২০০৮-০৭-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৫ 
  3. "Brownhills Station (LNWR) 1849–1965"। Rail Around Birmingham & the West Midlands। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৫ 
  4. Hugman, Barry J. (১৯৮৪)। Canon League Football Players' Records 1946-1984। Newnes Books। পৃষ্ঠা 125। আইএসবিএন 0-600-37318-5 
  5. "Dicky Dorsett"। The Wolves Site। ২০০৮-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১২ 
  6. Emma Smith (২০০৭-০২-০৪)। "On the move: Erin O'Connor"। London: The Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]