ব্যবহারকারী আলাপ:Sromei/লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন
টেমপ্লেট:ভালো নিবন্ধ কেবল উইকিপিডিয়া:ভালো নিবন্ধ-এর জন্য।
লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন একটি সিয়াটল ইউনিভার্সিটি জেলা কফি ঘর যা ১৯৬৭ সালে আইরিভ সিস্কির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। [১] ইহা কফি চালু করায় সিয়াটল শহরের সংস্কৃতির অংশ হিসাবে পরিচিত এবং বিখ্যাত দাবাড়ুদের জন্যদাবার স্থান।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন ৩০ জুন,১৯৬৭ সালে খোলা হয়েছিল ৩৯৩০ ব্রুকলিন এভিনিউতে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এর কাছে একটি ছোট ব্যাবসায়িক দালানে। [২] [৩] ইহা ছিল ক্যাফে এলেগ্রোর পরে এসপ্রেসো যন্ত্রসহ সিয়াটলে ব্রুকলিনের প্রথম এসপ্রেসো মদের দোকান।"প্রজন্মের পছন্দ – জোয়ান হও, মজা কর,–কফি খাও"। সিয়াটল টাইমস। ২৬ জুন ১৯৯৪। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।[৪] লাস্ট এক্সিট পরিচিত ছিল ইহার আসল এসপ্রেসো মেডিসি কফির অভিসন্ধির জন্য যা উপরে ক্রিম লাগানো একটি বেশী চকলেট সিরাপ এবং কমলার খোসা সম্মৃদ্ধ। [৫] একে আর বলা হয় আমেরিকার দ্বিতীয় প্রাচীনতম কফির দোকান। [৬] ইহা তার কমদামী খাবার, ফোক সঙ্গীত এবং বাউণ্ডুলেপনার স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল ।[১]
লাস্ট এক্সিট আরও জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল সিয়াটলের অপেশাদার ও পেশাদার খেলার জন্য। [৭] এবং দাবা খেলোয়াড়দের জন্য যার মধ্যে পিটার বিয়াসাস,[৬] ভিক্টর পুপলস,[৬] এবং[ইয়াসার সেরিওয়ান]],[৮] যারা দাবার প্রথম পাঠ লিখে কিংবদন্তী হয়েছিলেন। লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন কফির দোকান দাবার আশ্রয়স্থলে মাঝে মধ্যে প্রতিযোগিতা সমবেত করা হত। [৯] ১৯৮১ সালে এক সাক্ষাত্কারে সেরিওয়ান এক্সিট অন ব্রুকলিনকে বলেছিলেন, "ইহা আমার ঘর হয়ে উঠেছে এবং ইহাই আমার পরিবার"। [১০]
১৯৮৫ সালে ম্যারি ল্যাশারের দাবার জীবন সাক্ষাত্কারে মালিক আইরিভ সিস্কি বলেছিলেন, "যখন খেলোয়ারেরা ব্যাবসাকে দূরে সরিয়ে দেন তখন তা গন্ধযুক্ত হয়। দাবা এবং অন্যান্য খেলা কফির দোকানের সম্পদ।"[৬] লাস্ট এক্সিট থেকে ১৯৮৭ সালে সিস্কি সিয়াটল টাইমসএ ইচ্ছা পোষন করেছিলেন ছাত্রদের এবং উদ্ভট মানুষদের আশ্রয়স্থল বানাতে যেখানে সবাই নিজেকে সমান মনে করবে। [১১] পরে ইহা সিয়াটলের লেখক এবং সাংবাদিক নিউট বারজার এভাবে বর্ণনা করা করেছেন-
সিয়াটলের একটি ৬০ এর দশকের মাইলফলক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র,কবি,ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি,দাবাড়ু,বুদ্ধিজীবী,শ্রমিক,সঙ্গীতশিল্পী,শিল্পীদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান...আমার মনে পড়ে খোলা মাইক সঙ্গীত,সিগারেটের ধোঁয়া,উপস্থিতমত কবিতা পড়া এবং আরো অনেক। আমি বিপরীত তাল এবং গর্জন শুনতে পারতাম কারন আমি সেখানে ছিলাম এবং বাস করতাম। [১২]
সিস্কি ২৫ আগস্ট ১৯৯২ সালে মারা যান।[১৩] ১৯৯৩ সনে বিশ্ববিদ্যালয় কফির দোকানটির দালান অধিগ্রহন করে এবং লাস্ট এক্সিটের নতুন মালিক একে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় সরিয়ে নেন। [৩] লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন ২০০০ সনে বন্ধ হয়ে যায়। [১] লাস্ট এক্সিটের শেষ জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালইয়ের কর্মচারিদের থাকার জন্যে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ বিভাগকে দেওয়া হয়। [১২]
গণসংস্কৃতিতে অবদান[সম্পাদনা]
লাস্ট এক্সিট ছিল ২০০৬ এ লিখিত ক্লার্ক হামফ্রের ঐতিহাসিক ছবি, সিয়াটলের অন্তর্ধান। [১৪]
লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন অভ্যন্তরীণ ও অবস্থার বিবরণ রয়েছে ক্রিস্টিন হেনার ২০০৮ সালের উপন্যাস ফায়ারফ্লাই লেইন, [১৫] ড্যাভিড গুটারসনের দি আদার,[১৬] এবং ম্যাজোরি কোয়ালাস্কি কোলএর ২০১২ সালের দি সিটি বিনিথ দা স্নোঃ স্টোরিজএ। [১৭]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ Humphrey, Clark (২০০৬)। Vanishing Seattle। Images of America। Arcadia Publishing। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 0-7385-4869-3।
- ↑ Crowley, Walt (১৯৯৭)। Rites of Passage: A Memoir of the Sixties in Seattle। University of Washington Press। পৃষ্ঠা 243। আইএসবিএন 0-295-97493-1।
- ↑ ক খ Peterson, David (December 21, 2009). "The development of coffeehouses in Seattle" in 1605 E. Olive Way: Seattle Historic Landmark Nomination. Retrieved January 6, 2012.
- ↑ "History"। CafeAllegroMusic.com। Café Allegro। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ Connors, Brian। "The Coffeehouse Dictionary: A (Hopefully) Non-Partisan Guide to Coffee Talk"। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ Lasher, Mary (১৯৮৫)। "Seattle's Last Exit – the Chess Coffeehouse"। Chess Life। United States Chess Federation। 40।
- ↑ Remirez, Marc (মার্চ ১৬, ২০০৩)। "Go, go, go: Ancient game of strategy captures new generation of players"। The Seattle Times। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ Burgess, Graham; Nunn, John. (২০০৯)। "Yasser Seirawan"। The Mammoth Book of Chess। Running Press। পৃষ্ঠা 349। আইএসবিএন 0-7624-3726-X।
- ↑ Seirawan, Yasser (২০০৩)। Play Winning Chess। Everyman Chess। পৃষ্ঠা 135। আইএসবিএন 978-1-85744-331-8।
- ↑ Nack, William (ডিসেম্বর ২১, ১৯৮০)। "Yasser, That's My Baby"। Sports Illustrated: 3। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ "Last Exit, many returns: 20 years and many fads later, laid back U District coffeehouse show no signs of slowing down"। The Seattle Times। জুন ২০, ১৯৮৭। পৃষ্ঠা E1।
- ↑ ক খ Berger, Knute (সেপ্টেম্বর ২৭, ২০০৭)। "It's the end for the Last Exit"। Crosscut.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৭, ২০১১। A premature obituary for the building that housed the Last Exit.
- ↑ Stevens, Jeff (জুন ২৩, ২০১৩)। "June 23, 1967: Last Exit on Brooklyn"। The Seattle Star। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫।
- ↑ Humphrey, Clark (২০০৬)। Vanishing Seattle। Images of America। Arcadia Publishing। আইএসবিএন 978-0738548692।
- ↑ Hannah, Kristin (২০০৯)। Firefly Lane (reprint সংস্করণ)। Macmillan। পৃষ্ঠা 112–115। আইএসবিএন 0-312-53707-7।
- ↑ Guterson, David (২০০৮)। The Other। Random House, Inc.। পৃষ্ঠা 106–107। আইএসবিএন 0-307-26315-0।
- ↑ Cole, Marjorie Kowalski (২০১২)। "Rara Avis"। The City Beneath the Snow: Stories। University of Alaska Press। পৃষ্ঠা 195–196। আইএসবিএন 9781602231566।
আরো পড়তে[সম্পাদনা]
- Hobbes, Laural; Geiger, Grace; Hart, Rachel. "Coffee Land: Make your way through Seattle's magical caffeine history!", Seattle Magazine, October 2010.
- McPeak, Vivian. "University District Museum Without Walls Oral History: Vivian McPeak (founder, Seattle Peace Heathens; executive director, Seattle Hempfest)". HistoryLink Essay 9334.
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Last Exiteers, a gallery of portraits of Last Exit regulars by Seattle artist Eddie Ray Walker. (রেজিষ্ট্রেশন প্রয়োজন)
- Remember these Seattle restaurants? (12 of 41), Seattle Post-Intelligencer (2014)