বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী আলাপ:MD.RAHIMUL HAQUE RINAD

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: MD.RAHIMUL HAQUE RINAD কর্তৃক ৩ বছর পূর্বে "বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি রচনা" অনুচ্ছেদে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগতম

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি রচনা

[সম্পাদনা]

সূচনা:সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামল আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। মাঠের পর মাঠ, এঁকে-বেঁকে চলেছে অসংখ্য নদী, চারিদিকে সবুজ সবুজ ছোট বড় বিভিন্ন গাছ, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, বিভিন্ন পেশার মানুষ মিলে-মিশে একসঙ্গে বসবাস করে এই ছোট্ট দেশে। এই অপরূপ দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। মনে হয় যেন স্বর্গের থেকেও সুন্দর জায়গা এই দেশ।

দেশের আয়তন: বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। এই ছোট্ট দেশের আয়তন মাত্র ৫৬,১৭৭ বর্গমাইল বা ১,৪৭,৬৭০ বর্গকিলোমিটার।

অবস্থান: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও বার্মা, দক্ষিণে মিয়ানমার ও বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় এবং উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়।

বিভিন্ন ধরনের মানুষ: বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এ দেশে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বসবাস করে যেমন: চাকমা, গারো, ত্রিপুরা, মুরং, তংচঙ্গা ইত্যাদি। এদের ভাষা এদের নিজেদের দৈনন্দিন জীবন যাপনে এরাও বিভিন্ন উত্সব অনুষ্ঠান পালন করে। তারা সবাই এই ছোট্ট দেশে একসঙ্গে মিলে-মিশে বসবাস করে।

অর্থনৈতিক: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনেকটাই কৃষির উপর নির্ভরশীল। তদুপরি এদেশের রপ্তানি আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে কৃষিপণ্য থেকে বর্তমানে ২০১১ থেকে ২০১২ অর্থবছরে কৃষির অবদান প্রায় ২০%। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্যগুলো হল: পাট, চা ও তামাক। এগুলো রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

শিক্ষা: একটি দেশের অন্যতম সম্পদ হচ্ছে যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। কিন্তু বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যার অক্ষরজ্ঞান নেই। তাই শিক্ষার হার বাড়ার জন্য বর্তমানে সৃজনশীল শিক্ষার প্রচলন ঘটছে।

ঐতিহাসিক স্থান: বাংলাদেশে অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। যেমন: মহাস্থানগড়,

পাহাড়পুর, ময়নামতি, লালবাগ দুর্গ, ওয়ারী-বটেশ্বর, সোনারগাঁও ইত্যাদি।

ইংরেজ শাসন: বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে বাংলায় ইংরেজদের আগমন ঘটে। বাণিজ্য করার পর ইংরেজরা বাংলার নবাবদের পরাজিত করে নিজে শাসন করে এই বাংলা। প্রায় ২০০ বছর ইংরেজরা বাংলায় শাসন করে। অত্যাচার করে এদেশের নিরীহ নিরপরাধ মানুষের উপর। তারপর ভারতবর্ষের মানুষেরা ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটায়। স্বাধীন করে ভারতবর্ষকে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু অনেক বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীন ছিল না ছিল পরাধীন। ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের অবসান হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তান আলাদা হয়ে যায়। পাকিস্তান বাংলাদেশকে নিজেদের অধীন করে। অত্যাচার-অনাচার করে বাংলাদেশের মানুষের উপর। এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দেশকে স্বাধীন করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় এক রক্তক্ষয়ী ভয়ানক যুদ্ধ। নয় মাস ধরে চলে এই যুদ্ধ। ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় এ যুদ্ধে। তবুও পাকিস্তানিরা জয়লাভ করতে পারেনি। পরাজিত হয় বাংলাদেশের কাছে। জন্ম হয় এক নতুন রাষ্ট্রের। যার নাম বাংলাদেশ।

উপসংহার: মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের জন্য নিজের প্রাণ বিপন্ন করেছে দেশকে স্বাধীন করেছে। তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে বলেই বাংলাদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিল। আমরাও আমাদের এই দেশকে অনেক ভালোবাসব। কবির ভাষায়:

'আমার সোনার বাংলা

আমি তোমায় ভালোবাসি'। তথ্যসূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক MD.RAHIMUL HAQUE RINAD (আলাপ) ০৮:৩৩, ১০ এপ্রিল ২০২১ (ইউটিসি)উত্তর দিন