ব্যবহারকারী:Sid the perfectionist

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রক্তদানে অজুহাত ক্ষুণ্ণ করে মানবজাত।

প্রয়োজনে একজন মানুষ অন্য একজন মানুষকে নিজের রক্ত দান করাকে প্রাথমিকভাবে মানবিকতা আর নিয়মিত রক্তদানের প্রবণতা,অজুহাত না দেখানো,রক্তদানের সকল নিয়ম মেনে রক্তদান করা,নিজের পাশাপাশি অন্যকে রক্তদানে উৎসাহী করাকে সচেতনতা বলা যায়।আমি মনে করি রক্তদানের পূর্বশর্ত সচেতনতা।মানবিকতার পাশাপাশি একজন রক্তদাতাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।কারণ মানবিক হলে শুধু আপনি একা হলেন,আর আপনি যদি সচেতন হোন আপনি আরো দশজনকে সচেতন করতে পারেন এমনকি সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তির মধ্যে মানবিকতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। আরো একটা বিষয় রক্তদানে অজুহাত দেখানোর মানুষের অভাব নাই আজকাল।কিন্তু তারা একবার ভাবে না যখন তাদের পরিবারের কারো রক্তের দরকার হবে তখন তারা কি অজুহাত দেখাতে পারবে?অথবা আজ অন্যকে রক্ত দেওয়া লাগে বলে রক্ত দিচ্ছেন না,একবার ভেবেছেন কি কাল যখন আপনার রক্ত লাগবে তখন কে দিবে সেই রক্ত?অনেকেই বলবেন কিনে নিবো,পরিবারের কেউ দিয়ে দিবে।তাদেরকে বলছি ভাই রক্ত এমন এক জিনিস রক্তের বিকল্প শুধু রক্তই।আর সব সময় যে আপনার সাথে আপনার পরিবারের কারো রক্তের গ্রুপ মিলে যাবে এমন না কিন্তু।আর সবার পক্ষে রক্ত কিনা সম্ভব হয় না,আর ফ্রেশ রক্তের একটা ব্যাপার আছে।যাইহোক,একজন মানুষ হিসেবে সবার উচিত রক্তদান করা।কারণ রক্তদান যেমন জীবন বাচায় তেমনি রক্তদাতার অনেক উপকার করে শরীরের বিভিন্ন উপকার সহ রক্তদানকালে রক্তদাতার শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয় যা অনেক উপকারী। রক্তদান ব্যক্তিকে আত্মতৃপ্তি দেয় যা ব্যক্তির মানসিক বিকাশে অত্যন্ত জরুরী। রক্তদান মানে মানবসেবা আর এই মানবসেবার কথা সকল ধর্মে বলা আছে যে,মানবসেবা হচ্ছে মহৎ কাজ যার মাধ্যমে স্রস্টাকে খুশি করা যায়।