ব্যবহারকারী আলাপ:Sid the perfectionist

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

বন্ধুত্ব[সম্পাদনা]

আজ ফ্রেন্ডশিপ ডে! আলহামদুলিল্লাহ আমার জীবন আমার আশেপাশের সকল বন্ধুদের ভালোবাসায় পূর্ণ 😊

আমার বন্ধু যে যেমন থাকুক আমার কাছে বন্ধুত্ব শব্দ টা অতি পবিত্র একটি শব্দ।আমার মতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক টা মানব জীবনের সব চেয়ে মধুর সম্পর্ক। রাগ,অভিমান, ভালোবাসা,গালি,দুষ্টুমি, মায়া,টান,ঝগড়া কি নাই এই বন্ধুত্বে,সব আছে।

বন্ধুদের সাথে কাটানো প্রতিটা সময় অনেক বেশি মধুর আর প্রাণবন্ত হয়।কি অসম্ভব রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে এই বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়গুলোতে।

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কোন কারণে বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া হলে আমরা অনেকেই আমাদের আগের সময়গুলো ভুলে যাই।ভুলে যাই একটা টাইমে যেই আমি আমরা যেই বন্ধুকে জীবনের সমচেয়ে বেশী আপন ভাবতাম, সুখ দুঃখ সব কিছু শেয়ার করতাম, সুন্দর সময় কাটাতাম সেই বন্ধুকেই এর উল্টো ভাবতে শুরু করি,আমরা অতীত ভুলে গিয়ে সেই বন্ধুকেই শত্রু ভাবতে শুরু করি!!!হাউ ফানি!!!!

অথচই আমরা একটিবারও ভাবি না এই আমি আর অতীতের আমি,এই বন্ধু আর অতীতের বন্ধু দুই মানুষই সমান।ব্যবধান শুধু সময় টা,আর একটু ভুল বোঝাবুঝি।

যেই বন্ধুর সাথে আমাদের এতো রাগ এতো ক্ষোভ আমরা একবারও সেই বন্ধুর সাথে ঝগড়া বা রাগের কারণ নিয়ে আলোচনা করি না।বরং সেই বন্ধুকে শত্রু ভাবতে শুরু করি। লোকের কাছে সেই বন্ধুকে শত্রু বলে বেড়াই।যেই বন্ধু এতো ভালো ছিলো সেই বন্ধু এখন দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ।

একটিবারের জন্যে আমরা নিজের দোষ দেখি না।আমরা ভাবি না এই আমিই তো তাকে একসময় ভালো বলতাম এখন কেনো আমি তাকে খারাপ বলছি?কি এর কারণ?

রাগে ক্ষোভে কথা না বলাটা স্বাভাবিক কিন্তু কে কি বলল সেটা শোনে সেই বন্ধুকে পর ভাবতে শুরু করাটা কতটুকুই বা যৌক্তিক?

সবচেয়ে জঘন্য ব্যাপার হলো অনেক বন্ধু আছে তারা অন্য বন্ধুকে ডাইরেক্টলি খুব সস্থাভাবে আঘাত করে, অতীতে তাকে বলা সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে আঘাত করে!!!এইটা অবশ্য তখনই হয় যখন ঐ বন্ধুটির আর কিছু করার থাকে না।

যাইহোক সব কথার শেষ কথা বন্ধুদের মধ্যে রাগ ঝগড়া হবে তাই বলে বন্ধুত্ব কে অপমান করবে? অসম্মান করবে? সেটা তো হতে পারে না!

আমরা খুব সহজে আমাদের বন্ধুকে যা ইচ্ছে বলে দিবো অথচ এর কারণ জানতে গেলে আমরা সেটা বলতে পারবো না!!!!

আরে বাবা একবার হলেও তো সেই বন্ধুর সাথে কথা বলা উচিত। জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তুই এইটা করতে পারলি?তুই এইটা কেন করলি?তুই কি এইটা করেছিস ব্লা ব্লা।কিন্তু আমরা এর কিছুই না করে এক তরফা নিজেই নিজের গল্প সাজাই।নিজেই কষ্ট পাই আবার নিজেই নিজের মতো করে যাচ্ছেতা ভাবতে শুরু করি!কিন্তু আদতে এর কিছুই হয় না বা হইনি কোন কালেই।

শুধু একটুখানি ইচ্ছার আর সহানুভূতির অভাবে আমরা আমাদের এক সময়ের প্রিয় সেই বন্ধুকে নিমিষেই শত্রু করে দেই!

জীবন কখনও কারো জন্যে থেমে থাকে না।কিন্তু এইটাও সত্য যে সময় যায় সে সময় আর আসে না।আজ একটুখানি রাগ আর একটুখানি অভিমান আর শোনা কথায় কান দিয়ে জঘন্য মিথ্যাকে আশ্রয় করে যে বন্ধুকে তুমি খারাপ ভাবতেছো,শত্রু ভাবতেছো, পাশে থেকেও দূরে ঠেলে দিচ্ছো ট্রাস্ট মি সেই বন্ধুটাকেই একটা সময় তুমি প্রচন্ডভাবে মিস করবে।তার কথা মনে করে কান্না করবে, আফসোস করে এবং সেই সময় ফিরে পেতে চাইবে কিন্তু তখন সেটা আর সম্ভব হবে না।

তুমি নিজেকে যতই বলো যে লাগবে না আমার অমুখ বন্ধুকে লাগবে না আমার তমুখ বন্ধুকে,বলো যে বন্ধু চিনতে ভুল করেছি, এমন বন্ধুর চাইতে শত্রু ভালো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তোমাকে রিকুয়েস্ট করি তুমি দিনশেষে আয়নায় নিজেকে দেখো প্লিজ।একবার হলেও তোমার নিজেকে খুব বেশী দোষী আর সার্থপর মনে হবে গ্যারান্টি।

একটা অতি জরুরি কথা,তোমার প্রিয় বন্ধুকে শত্রু ভাবতে শুরু করার পর থেকে তোমার আশেপাশে অনেক নতুন বন্ধু হবে, ওয়েল উইশার হবে। তোমাকে এই বাজে ব্যাপারে সাপোর্ট করবে মনে রেখো কোন কালেই তারা তোমার বন্ধু ছিলো না।এরা ক্ষণিকের বন্ধু।আসবে মজা নিবে চলে যাবে।

তাই এই বিশেষ দিনে একটি অনুরোধ, কোন কারণে প্রিয় বন্ধুটি সাথে মান অভিমানী, রাগ হলে কাউকে কিছু না বলে সেই বন্ধুকেই বলো।তাতে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে ভালো থাকবে বন্ধুত্ব এবং বেঁচে থাকবে বন্ধুত্ব।

হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে 😘 Sid the perfectionist (আলাপ) ০৭:১১, ২১ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

রক্তদানের সচেতনতা[সম্পাদনা]

মেজর অপারেশন এর ক্ষেত্রে সাধারণত বেশী রক্তের দরকার হয় এবং কোন কিছু চিন্তা না করেই আমরা প্রায় সকলেই এই ধারণা পোষণ করে থাকি।আর তাতেই ধান্দার সুযোগ পায় কিছু কিছু অসাধু হাসপাতাল,ডাক্তার এবং তাদের ব্লাড ব্যাংক।

কিছু দিন আগে একটা কল আসে,রিসিভ করতেই এক মধ্যবয়সী মহিলা বলতে লাগলেন বাবা আমার রক্ত লাগবে(এ পজিটিভ), ডাক্তার বলছে ৫/৬ ব্যাগ কিন্তু বাবা আমি তো হাসপাতালে একা আমার সাথে আর কেউ নাই।কিভাবে কি করবো বুঝতেছি না। আমি বললাম আপনি ঐ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক এর সাথে কথা বলেন,ডাক্তারের সাথে কথা বলেন।আপনার সমস্যার কথা বলেন।

উনি উত্তরে বললেন বাবা কথা বলেছি তারা বলে ডোনার ৫ জনই লাগবে এবং সবার ক্রস ম্যাচিং করতে হবে এবং দুই ব্যাগ কালেকশন করে ৩ জন ডোনার স্টেন্ডবাই রাখতে হবে।

তো ব্যাপার টা আমার কাছে একটু সন্দেহজনক মনে হলো এবং আমি সাথে সাথে উনাকে বললাম এই কথা যে বলছে তার সাথে আমার কথা বলিয়ে দেন।তো মহিলা তাই করলেন।আমি কথা বলবো কি এর আগেই অপর পাশ থেকে একজন বলতেছেন যে ডাক্তার যা বলেছে আমরা তাই করতেছি।বলেই ফোন কাট!

তো ফোন রেখে আমি গেলাম হাসপাতালে,সেদিন ডোনার ছিলাম আমি নিজেই।গিয়ে সোজা ব্লাড ব্যাংকে কথা বললাম।গিয়ে দেখি সেখানে শুধু আমার রোগী না প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই এমনটা করা হচ্ছে!রক্ত লাগবে ৫ অথবা ৬ ব্যাগ কিন্তু ক্রস ম্যাচ করা হচ্ছে দুইটা বেশী।এরা হচ্ছেন স্টেন্ডবাই ডোনার।যাদের রক্ত লাগতেও পারে নাও লাগতে পারে।তবে বেশিরভাগ সময় লাগে না।যাইহোক

কি করব বা বলব বুঝতেছিলাম না,আমি তো আবার ডাক্তার না।কিছু বললেই তারা বলবে আপনি কি ডাক্তার।

কিছু ভেবে না পেয়ে আমি সোজা গিয়ে একজকে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া প্রতিদিন যে আপনারা এতো এতো ডোনার স্টেন্ডবাই করেন মানে ক্রস ম্যাচিং করে রাখেন,অপারেশন পরে যখন ব্লাড লাগে না তখন কি সেই টাকা ফেরত দেন?তখন তো লোকটার সাথে একরকমের ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।আমি পরিবেশ শান্ত করতে বাহিরে চলে যাই।অথোরিটির কাছে বিষটা জানানোর জন্যে গেলে তারা আমাকে বলে এইটা ডাক্তার আর ব্লাড ব্যাংক ভালো বুঝবে!!!

আমি দুই ঘন্টা নিচে হাটাহাটি করে,পরে রক্ত দিয়ে চলে আসি।

আমার এই এত কথা বলার কারণ কি?হুম আমরা অনেকেই জানি এক ব্যাগ রক্ত ক্রস ম্যাচ করতে খরচ হয় ৬০০-৫০০০ টাকা (সরকারি-বেসরকারি)। আপনার রোগীর যেই রক্ত লাগবে সেটাতো ক্রস ম্যাচ করে রাখে পাশাপাশি এক্সট্রা যে দুই ব্যাগ স্টেন্ডবাই রাখতে বলা হয় সেটাও তারা ক্রস ম্যাচ করে রাখে।(ক্ষেত্র বিশেষ আলাদা কথা)।এইখানে লাভ কার?বুঝতেই পারতেছেন। কয়েকজন ডাক্তারকে আস্ক করলাম তারা বললেন আমরা স্টেন্ডবাই ডোনার রাখা ছাড়াও দুই-এক ব্যাগ রক্ত বেশী বলি।তো ধান্দা তো একটা হচ্ছে এইটা কনপ্রাম।

আচ্ছা এখন কেউ কেউ বলতে পারেন যদি অপারেশন করার সময় রক্ত লাগে তখন?ভাই প্রায় ১৫-১৬ টা ব্লাড ব্যাংক আর হাসপাতাল থেকে জানতে পারলাম ক্রস ম্যাচ করতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে।আর ডাক্তার এতো বোকা না যে স্টেন্ডবাই রক্তের উপর ভরসা করে অপারেশন শুরু করবে।যাক একজায়গায় অনেক প্যারামিটার থাকতে পারে।

সব বাদ,আমার এই কথা গুলা বলার একটাই কারণ ছিলো,সেটা হলো সচেতনতা। প্রিয় রোগীর রিলেটিভ আপনাদেরকে একটু সচেতন হতে হবে। শুরু থেকে শেষ অবদি রক্তদানর সকল বিষয়ে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। Sid the perfectionist (আলাপ) ০৭:১৩, ২১ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]