ব্যবহারকারী:RDasgupta2020/কাঁচের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রোমদেশীয়  cage cup ৪র্থ খ্রিস্টাব্দ

ইতিহাসে প্রথম কাঁচ তৈরির উল্লেখ পাওয়া যায় ৩৬০০ খ্রিস্টপূর্বে মেসোপটেমিয়ায়, তবে ভিন্নমতে কেউ কেউ দাবি করেন যে তারা মিশরের কাঁচের জিনিসপত্রের অনুলিপি তৈরি করেছিল মাত্র৷অন্যান্য প্রত্নতাত্বিক প্রমান অনুসারে প্রথম কাঁচ উৎপাদন হয় সম্ভবত উত্তর সিরিয়ার উপকূলে, মেসোপটেমিয়া অথবা মিশরে৷কাঁচের তৈরী প্রাচীনতম পরিচিত বস্তুর মধ্যে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ শতকের পুঁতির সন্ধান পাওয়া গেছে যা সম্ভবত ধাতব মল (বা স্লাগ) অথবা ফাইয়েন্স (একধরণের প্রাক-কাচ উপাদান) উৎপাদনের সময় দুর্ঘটনাজনিত উপপণ্য হিসাবে পাওয়া যায়৷প্রথম প্রথম কাঁচের তৈরী পণ্য ছিল বিলাসবহুল, যতক্ষণ না ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকের বিপর্যয় কাঁচ উৎপাদনে বিপুল ঘাটতির উদ্রেক করে৷

ভারতে কাচ প্রযুক্তির বিকাশ সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ১৭৩০ সালে শুরু হয়েছিল৷প্রাচীন চিনে সিরামিক এবং ধাতুর তুলনায় কাঁচ প্রস্তুতি অনেক দেরিতে শুরু হয়৷

প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের প্রত্নস্থল থেকে পুরাতাত্বিকেরা কাঁচের এমন অনেক বস্তুর খোঁজ পেয়েছেন যা গৃহকার্যে, বিভিন্ন শিল্পকর্মে  ব্যবহার হত৷ইংল্যান্ডে বিভিন্ন স্থানে পূরাতাত্বিক উৎখনন-এর সময়, প্রাচীন জনবসতি অঞ্চল এবং পুরাতন কবরস্থান থেকে এংলো-স্যাক্সন কাঁচের সন্ধান পাওয়া গেছে৷এই বিশেষ ধরণের এংলো-স্যাক্সন কাঁচ, কাঁচের পাত্র তৈরী, পুঁতি তৈরী এবং জানলার কাঁচ থেকে শুরু করে বিবিধ ক্ষেত্রে, এমনকি অলংকার প্রস্তুতিতেও ব্যবহার হত৷

উৎপত্তি:[সম্পাদনা]

প্রাচীন গ্রিসের  হেলেনিস্টিক যুগের কাঁচের অ্যাম্ফোরা

প্রকৃতিজাত কাঁচ বিশেষত আগ্নেয়গিরিজাত কাঁচের সমগোত্রীয় অবসিডিয়ান পাথরের ব্যবহার প্রস্তর যুগ থেকেই সমগ্র বিশ্বে ধারালো অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং সীমিত উৎসের কারণে এগুলির ব্যাপক আদানপ্রদান হত৷প্রত্নতাত্বিক প্রমান অনুযায়ী মানুষের তৈরী কৃত্রিম কাঁচের উৎপত্তি সম্ভবত উত্তর সিরিয়া উপকূল, মেসোপটেমিয়া অথবা মিশরে৷মিশরের অনুকূল আবহাওয়ার কারণে যে পুরাতন কাঁচের নমুনা সেখান থেকে পাওয়া গেছে তা অবিকৃত, সংরক্ষিত এবং সুপরিক্ষিত, যদিও অনুমান করা হয় যে সেই নমুনাগুলো সম্ভবত অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে৷খ্রিস্টপূর্ব মধ্য তৃতীয় সহস্রাব্দের কিছু কাঁচের পুঁতির নমুনা পাওয়া গেছে যা এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া প্রাচীনতম কাঁচের তৈরী বস্তু, যা সম্ভবত ধাতব প্রক্রিয়াকরন অথবা ফাইয়েন্স (একধরণের চকচকে প্রাক-কাচ উপাদান) উৎপাদনের সময় কাকতালীয়ভাবে প্রস্তুত হয়৷

ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকে মিশর এবং পশ্চিম এশিয়াতে ব্যাপকভাবে কাঁচশিল্পের বিকাশ হয়৷প্রত্নতাত্বিক অনুসন্ধানে এই সময়কার নিদর্শন হিসাবে পাওয়া গেছে রঙিন কাঁচের বাট, কাঁচের পাত্র (রঙিন মূল্যবান পাথরখোদিত),এবং পুঁতির মালা৷সিরিয়া এবং মিশরে কাঁচের কাঁচামকাল হিসাবে ব্যবহার করা হত সোডাভস্ম(সোডিয়াম কার্বনেট),যা বহু আঞ্চলিক উদ্ভিদের ছাই থেকে পাওয়া যেত৷ বিশেষতঃ সমুদ্র তীরবর্তী হ্যালোফাইল জাতীয় উদ্ভিজ্জ স্লটওয়ার্ট ছিল এর সহজলভ্য উৎস৷

আধুনিক পদ্ধতি উদ্ভাবনের পূর্বে কাঁচ শিল্প যে পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল ছিল  তা প্রায় পাথর খোদাই করার পদ্ধতির অনুরূপ৷উত্তপ্ত তরল কাঁচের পরিবর্তে অবিকৃত কঠিন অবস্থায় থাকা কাঁচের উপর নকশা ও আকৃতি খোদিত করা হত৷

সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে মানবজাতি সুদৃশ্য কাঁচের পাত্র তৈরির জন্য "কোর ফরমেশন" পদ্ধতির উদ্ভাবন এবং প্রয়োগ শুরু করে,এই পদ্ধতি অনুসারে প্রথমে বালি ও কাঁদার জলমিশ্রিত মণ্ডকে একটি ধাতব রডের উপর প্রলেপন করে তাকে মনমতো আকার দিয়ে পাত্রের মূল কাঠামো (যাকে বলা হয় কোর) প্রস্তুত করা হয়৷বালি ও কাঁদার মিশ্রণটিকে শুকিয়ে নেওয়ার পর ছেনি জাতীয় যন্ত্রের সাহায্যে মূল কাঠামোটিকে ঘষে তাকে সুদৃঢ় ও খুঁতবিহীন করা হয়৷এই মূল কাঠামোটিকে আগুনের তাপে উত্তপ্ত করা হয় বালি ও কাঁদার মধ্যে মিশ্রিত জৈববস্তুর বাষ্পীভবনের জন্য৷ তারপর উত্তপ্ত মূল কাঠামো বা "কোর"-কে ধীরে ধীরে গলিত তরল কাঁচের মধ্যে ডুবিয়ে কেন্দ্রবর্তী ধাতব রডের সাহায্যে নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরিয়ে মূল কাঠামোর উপরে গলিত কাঁচের প্রলেপন হয়৷কখনো বিকল্পভাবে গলিত কাঁচ ব্যবহার না করে উত্তপ্ত কোরের চতুর্দিকে কাঁচের গুঁড়ো প্রলেপন করে তাকে উত্তপ্ত করা হয় এবং কাঁচের গুঁড়ো তরল হয়ে যাওয়ার পর পুনর্বার উত্তপ্ত করে কাঁচের গুঁড়োর প্রলেপ লাগানো হয় ও উত্তপ্ত করা হয়৷বারবার এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে মূল কাঠামোর উপর গলিত কাঁচের স্তর তৈরী করা হয় যার আকৃতি ভিতরের মূল কাঠামোর প্রায় অনুরূপ৷

গলিত কাঁচের স্তর গঠনের পর সম্পূর্ণ কাঠামোটিকে কোনো সমতল পাথরের চাই বা তদনুরূপ সমান পৃষ্ঠতলের উপর আবর্তিত করে গলন্ত কাঁচের উপরিতল কে নিখুঁত মসৃন আকার দেওয়া হয৷এর পরবর্তী পদক্ষেপে অক্সাইড এর সংমিশ্রনে তৈরী এক বিশেষ প্রকার রঙিন গলিত কাঁচের মিশ্রণ এবং একটি সুচালো বস্তুর সাহায্যে সম্পূর্ণ আকৃতির চারদিকে সর্পিলাকার সুতোর ন্যায় রঙিন কাঁচের তরল নকশা করা হয় ও পুনরায় সম্পূর্ণ কাঠামোটি উত্তপ্ত করার পর ছুঁচালো যন্ত্রের সাহায্যে রঙিন গলিত কাঁচের সুতোর নকশার উপর বিভিন্ন অলংকরণ করা হয়৷পুনরায় সম্পূর্ণ আকৃতিকে সমতল পৃষ্ঠের উপর আবর্তিত করা হয় যাতে রঙিন কাঁচের অলংকরণ পাত্রের উপর মসৃণভাবে বসে যায় এবং সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে৷পুনরায় কাঠোমোটিকে উত্তপ্ত করে সন্নার সাহায্যে পাত্রের উপরিতল সামান্য চিপে পাত্রের মুখ গঠন করা হয়৷পাত্রের তলের উপর নির্দিষ্ট স্থানে সামান্য গলিত কাঁচের প্রলেপ লাগিয়ে সন্নার সাহায্যে তাকে হাতলের আকৃতি দেওয়া হয়৷ কেন্দ্রের রডটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হওয়ার পর তাকে কাঠামো থেকে ধীরে ধীরে সাবধানে বের করে আনা হয় যাতে মূল আকৃতির কোনোপ্রকার বিকৃতি না ঘটে৷এরপর মূল কাঠামোর ভেতরের বালি ও কাঁদার মিশ্রণকে সাবধানে ছেঁচে আকৃতির ভেতর থেকে সম্পূর্ণভাবে বের করা হয়৷পাত্রের মধ্যভাগ থেকে সম্পূর্ণরূপে বালি-কাঁদার মিশ্রণ বের করে নেওয়ার পর একটি সুগঠিত সুদৃশ্য কাঁচের পাত্র প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়৷

আধুনিক যুগেও কোর ফরমেশন পদ্ধতির সাহায্যে কাঁচের পাত্র এবং পুঁতি তৈরী হয় কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সাথে অনেক আধুনিক পদ্ধতির উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে৷

টার্নিউ জেলা জাদুঘরে স্থিত আঠারো শতকের গোড়ার দিকের একটি কাঁচের পেয়ালা

খ্রিস্টপূর্ব ১৫ শতক অবধি পশ্চিম এশিয়া,ক্রিট এবং ইজিপ্টে কাঁচ শিল্পের ব্যাপক প্রসার হয়৷মাইসেনিয়ান গ্রীক শব্দ কু-ওয়া-ন-ওয়া-কো-আই, -এর অর্থ "লাপিস লাজুলি এবং কাচের শ্রমিক" (লিনিয়ার বি সিলেবিক লিপিতে লিখিত)৷ধারণা করা হয় যে  কাঁচ তৈরির কাঁচামাল এবং কাঁচ প্রস্তুতকরণের প্রণালী প্রুস্তুতকারী দেশ ও শিল্পীদের মধ্যে অত্যন্ত গোপনে রাখা হত৷অন্যান্য অঞ্চলের কাঁচশিল্পীরা তাই নির্ভর করতেন আমদানিকৃত কাঁচের উপর৷ ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকের বিপর্যয় কাঁচ উৎপাদনে ঘাটতির উদ্রেক করে৷খ্রিস্টপূর্ব নবম শতকে যখন বর্ণহীন কাঁচ প্রস্তুত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন হয় এবং পুনরায় কাঁচশিল্পের উত্থান হয় তার পূর্ববর্তী উৎপাদন স্থল, সিরিয়া এবং সাইপ্রাস-এ৷

কাঁচ প্রস্তুতকরণের সর্বপ্রাচীন যে নথি পাওয়া গেছে তা খ্রিস্টপূর্ব ৬৫০ -এর সময়কালীন৷এই নথি কিউনিফর্ম লিপিতে একটি মাটির ট্যাবলেটের উপর খোদিত ছিল৷এই ট্যাবলেট আসিরিয়ান রাজা আশুরবানিপালের গ্রন্থাগার থেকে পাওয়া যায়৷মিশরে কাঁচ শিল্পের পুনরুত্থান এবং পুনপ্রসার  শুরু হয় পিটলেমিক-আলেকজান্দ্রিয়াতে৷হেলেনিস্টিক যুগে কাঁচ তৈরির আরো নতুন পদ্ধতি আবিস্কার হয়৷টেবিল টপ ইত্যাদি বৃহৎ আকৃতির পণ্য প্রস্তুতিতে কাঁচের ব্যবহার শুরু হয়৷এই সময়ে কাঁচশিল্পের বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়৷পঙ্কিল গলিত (সপূর্ণ তরলীকৃত নয়) কাঁচ কোনো বিশেষ আকৃতির ছাঁচের উপর ডেলা পাকিয়ে কাঁচের প্লেট ইত্যাদি বস্তু তৈরী হতো৷'মিল্লেফিওরি' (যার অর্থ 'হাজার পুষ্প') সেই সময়কার একটি উল্লেখযোগ্য  কৌশল যেখানে বিভিন্ন রঙের কাঁচ টুকরো করে কেটে সেই টুকরোগুলির সাহায্যে 'মোজাইক' জাতীয় প্রভাব তৈরী করা হত৷এই সময়কালেই বর্ণযুক্ত ও বর্ণহীন কাঁচ মূল্যবান হতে শুরু করে এবং কাঁচে এই রঙের প্রভাব ফুটিয়ে তোলার কৌশলের উপর আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা শুরু হয়৷

প্লিনি দ্য এল্ডারের মতে,ফিনিসীয় ব্যবসায়ীরা বেলুস নদীর স্থানে প্রথম কাঁচ প্রস্তুতকারক কৌশলের সন্ধান পায়৷জর্জিয়াস অ্যাগ্রোগোলা তার "ডি রে মেটালিকায়" এমনই এক প্রথাগত আবিস্কার কাহিনীর বর্ণনা করেছেন৷সেই কিংবদন্তি অনুসারে নাইট্রিয়াম বহনকারী এক বাণিজ্যপোত একদিন স্থলদেশে পৌঁছে বিশ্রামের জন্য এক উপযুক্ত স্থানে নোঙ্গর ফেলেন৷জাহাজের বণিক ও ব্যবসায়ীরা সমুদ্রতীরে নিজেদের আহার প্রস্তুত করতে উদ্যোগী হন৷কিন্তু রন্ধনের সময়  খাবার বানানোর পাত্রকে স্থিরভাবে আগুনের উপর বসানোর জন্য তারা কোনো উপযুক্ত পাথরের সন্ধান না পেয়ে সেই কাজের জন্য জাহাজে বহনকারী নাইট্রিয়ামের ডেলা ব্যবহার করেন৷এই নাইট্রিয়াম সমুদ্রতীরের বালির সাথে বিক্রিয়া করে এক স্বচ্ছ তরল জাতীয় পদার্থের জন্ম দেয় এবং এভাবেই কাঁচের আবিষ্কার হয়৷এই নথিভুক্ত লেখনী প্রধানত কাঁচ উৎপাদনে রোমানদের অভিজ্ঞতা এবং কৌশলের প্রতিফলন৷রোমান সাম্রাজ্যভুক্ত অঞ্চলে সহজলভ্য সাদা সিলিকা তার বিশুদ্ধতার জন্য কাঁচ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার হত৷খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে সিরো-জুডিয়ান উপকূলে "গ্লাস-ব্লোয়িং" -এর কৌশল আবিষ্কার হয় যা কাঁচশিল্পে বিপ্লব আনে৷সম্পূর্ণ রোমান সাম্রাজ্যে কাঁচের তৈরী বস্তু ও পণ্যের ব্যবহার  বহুল বৃদ্ধি পায়৷মৃতপাত্রের তুলনায় কাঁচের পাত্রের মূল্য অনেক কম এবং সস্তা হয়ে পরে৷রোমান সাম্রাজ্যে কাঁচের এই বহুল ব্যবহারের জন্য কাঁচ একপ্রকার 'রোমান প্লাষ্টিক' -এ পরিণত হয়৷আলেক্সান্ড্রিয়ায় প্রস্তুত কাঁচপাত্র সারা রোমান সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পরে৷১০০ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্দ্রিয়া সার্কায় গ্লাস-ব্লোয়িং কৌশলের সাহায্যে এবং ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইডের প্রবর্তনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার কাঁচ,যাকে 'ক্লিয়ার গ্লাস' বলে সম্বোধন করা হত ,তার উদ্ভাবন হয়৷অতঃপর রোমানরা তাদের স্থাপত্য ও ভাস্কর্যেও কাঁচের ব্যবহার শুরু করে৷দুর্বল অপটিক্যাল গুণাবলীর "কাস্ট গ্লাস" এর তৈরী সুদৃশ্য জানালা তৎকালীন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং হারকিউলেনিয়াম ও পম্পেইয়ের বিলাসবহুল প্রাসাদের শোভা বর্ধন করত৷পরবর্তী এক হাজার বছর ধরে কাঁচ তৈরী এবং কাঁচ শিল্পের প্রচার অব্যাহত থাকে এবং সম্পূর্ণ দক্ষিণ ইউরোপ এবং তার দূরবর্তী  বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পরে৷

বিবিধ সংস্কৃতিতে কাঁচ :[সম্পাদনা]

ইরান :[সম্পাদনা]

পারস্যে সর্বপ্রথম কাঁচের তৈরী বস্তু হিসাবে ব্রোঞ্জ যুগের অন্তিমকালীন (১৬০০ খ্রিস্টপূর্ব) পুঁতির সন্ধান পাওয়া গেছে৷প্রত্নতাত্বিক চার্লস বার্নি আজেরবাইজান-ইরানিয়ার দিনখাহ টেপে প্রত্নস্থলে খননকার্যের সময় এই পুঁতির সন্ধান পান৷ফরাসি প্রত্নতাত্বিকরা ইরানের "চোঘা জানবিল" নামক এলামাইট যুগের প্রত্নস্থল থেকে "গ্লাস টিউব" বা সরু কাঁচনলের সন্ধান পান৷

উত্তর ইরানের টেপে হাসানলু এবং মারলিক টেপের প্রত্নস্থল থেকে মোসাইক কাঁচের পানপাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে যা সম্ভবত লৌহযুগের|এই পানপত্রগুলি মেসোপটেমিয়ার কাঁচের পাত্রের অনুরূপ|সুসা অঞ্চলেও এলামাইট যুগের কাঁচের পানপাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে৷আজেরবাইজান এবং কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে অ্যাকিমেনিড যুগের সুর্মাযুক্ত কাঁচনলের সন্ধান পাওয়া গেছে৷এইসময়ে প্রস্তুত কাঁচপাত্র সাধারণত বর্ণহীন এবং চাকচিক্যবিহীন হত৷সেলিউসিড এবং পার্থিয়ান যুগের শেষদিকে গ্রীক এবং রোমান কৌশলের প্রচলন হয়।সাসানিয়ান আমলে কাঁচের পাত্রগুলি ছিল স্থানীয় স্থানীয় বিশেষ কারুকৃতি দ্বারা সুসজ্জিত করা হত৷

ভারত:[সম্পাদনা]

ভারতবর্ষের হস্তিনাপুর অঞ্চলে চালিওলিথিক যুগের কাঁচের বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে৷সিন্ধুসভ্যতার সর্বাধিক পুরাতন কাঁচের নমুনা হিসাবে হরপ্পার প্রত্নস্থল থেকে বাদামি বর্ণের কাঁচের একটি মালার খোঁজ পাওয়া যায় যা খ্রিস্টপূর্ব ১৭০০ শতকের যা সমস্ত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রাচীনতম কাঁচের নিদর্শন৷খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-৩০০ শতকের সময়কালীন পুরাতত্ব স্থল থেকে যে কাঁচের নমুনার সন্ধান পাওয়া গেছে তা সমস্তই প্রায় একবর্ণের৷

শতপথ ব্রাহ্মণ এবং বিনয় পিটকের মতো গ্রন্থে কাচের উল্লেখ রয়েছে,যা বোঝায় যে তারা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের সময়কাল থেকেই ভারতবর্ষ কাঁচ নামক বস্তুটির সাথে পরিচিত ছিল৷বিড,সিরকাপ এবং সিরসুখেও কাচের বস্তু পাওয়া গেছে,যা খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর সমকালীন৷কিন্তু কাঁচের ব্যাপক ব্যবহারের প্রথম অবিসংবাদিত প্রমাণ পাওয়া যায় তক্ষশীলার ধ্বংসাবশেষ(খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী) থেকে,যেখানে কাঁচের চুরি, পুঁতির মালা, কাঁচের টাইল ইত্যাদি বহুল পরিমানে খুঁজে পাওয়া যায়৷মনে করা হয় কাঁচ তৈরির প্রক্রিয়া পশ্চিম এশিয়া থেকে এই অঞ্চলে প্রচলিত হয়৷

উত্তর প্রদেশের কোপিয়া নামক স্থানে প্রথম স্থানীয় উদ্যোগে কাঁচ প্রস্তুতি শুরু হয় এবং খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যকালীন সময়ের কাঁচের নমুনা এখানে পাওয়া গেছে৷মনে করা হয় ভারতে শুরুর দিকে যে কাঁচ প্রস্তুতির কৌশল চালু ছিল তা একান্তই স্থানীয় কারণ ব্যাবিলনীয়,রোমান এবং চীনা কাঁচের রাসায়নিক গঠনের সঙ্গে এর উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর মধ্যে, দক্ষিণ এশিয়ায় অলঙ্কার ও আভূষণ প্রস্তুতির জন্য কাঁচের ব্যবহার শুরু হয়।গ্রিক-রোমান বিশ্বের সাথে যোগাযোগের ফলে ভারতীয় কাঁচ শিল্পে আরও নতুন কৌশল যুক্ত হয় এবং সময়ের সাথে ভারতীয় কারিগররা কাঁচের ছাঁচনির্মাণ, সাজসজ্জা এবং রঙ করার বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ত করেন৷সাতবাহন রাজাদের সময়কালে মিশ্র যৌগিক কাঁচের তৈরী সবুজ ও হলুদ বর্ণের কাঁচের বস্তু তৈরী করা হত৷

চীন:[সম্পাদনা]

রাজা ন্যানুর সমাধি থেকে পাওয়া খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর নীল কাচের ফলক

চিনে সিরামিক এবং ধাতুর কাজের তুলনায় শিল্প ও ভাস্কর্যে কাঁচের ভূমিকা ছিল পার্শবর্তী৷চীনের প্রাচীনতম কাঁচের নমুনাগুলো ওয়ারিং সাম্রাজ্যের  সময়কালের (৪৭৫ খ্রি: পূ: -২২১ খ্রি : পূ :), এগুলি সংখ্যায় বিরল এবং প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষণের জন্য সীমাবদ্ধ৷

মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং ভারতের সংস্কৃতির তুলনায় চিনে কাঁচশিল্পের বিকাশ বিলম্বে ঘটে| চীনদেশে প্রথম কাঁচের আমদানি শুরু হয় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর প্রথমদিকে এবং আমদানিকৃত পণ্যগুলি ছিল রং-বেরঙের চক্ষুর ন্যায় নকশা যুক্ত পুঁতির মালা৷এই আমদানিকৃত পুঁতির মালা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় শিল্পীরা চিনদেশীয় কাঁচের পুঁতির মালা তৈরী করে|হান রাজবংশের সময়(২০৬ খ্রি: পূ:- ২২০ খ্রিস্টাব্দ),কাচের বৈচিত্র্যযুক্ত ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।এইসময়ে কাঁচ ঢালাইয়ের প্রবর্তনের ফলে ছাঁচের উপর ভিত্তি করে তৈরী কাঁচের বস্তু,যেমন বাই-ডিস্ক(একপ্রকার চৈনিক গোলাকৃতি চাকতি)এবং অন্যান্য ধার্মিক কাজে ব্যবহৃত শিল্পকর্ম তৈরির প্রক্রিয়ায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়৷ওয়ারিং স্টেটস এবং হ্যান সময়কালের তৈরী চীনের স্থানীয় কাঁচের বস্তু এবং তৎকালীন আমদানিকৃত কাচের বস্তুর রাসায়নিক গঠনে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়৷স্থানীয় অঞ্চলে প্রস্তুত কাঁচে উচ্চ মাত্রার বেরিয়াম অক্সাইড এবং সিসার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যা পশ্চিম এশিয়া এবং মেসোপটেমিয়ার সোডা-চুন-সিলিকা থেকে প্রস্তুত কাঁচের থেকে পৃথক৷হান রাজবংশের শেষ দিকে(২২০ খ্রি:),সীসা-বেরিয়াম কাঁচের ব্যবহার হ্রাস পায় যা ৪র্থ এবং ৫ম শতাব্দীতে পুনরায় শুরু হয়।তৎকালীন সাহিত্য সূত্রগুলিও খ্রিস্টীয় ৫ম শতকের সময় কাঁচ তৈরির কথা উল্লেখ করেছে।

রোম:[সম্পাদনা]

রোমান কাঁচ

রোমান কাঁচের উদ্ভাবন শুরু হয় হেলেনিস্টিক যুগ থেকে এবং এই সময়কালের শুরুর দিকে রঙিন ঢালাই কাঁচ বা 'কাস্ট গ্লাস' উৎপাদনের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হত ৷রোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ জুড়ে তৎকালীন বহু কাঁচের নমুনা পাওয়া গেছে যে গৃহকার্যে, কবরস্থানে এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার হত৷প্রাথমিকভাবে কাঁচের ব্যবহার হত কাঁচের সুদৃশ্য পাত্র প্রস্তুতিতে এবং তার সাথে মোসাইক টালি ও জানলার কাঁচের নির্মাণও হত৷১ম খ্রিস্টাব্দে, কাঁচশিল্পের প্রযুক্তিগত বৃদ্ধি হয় ও গ্লাস ব্লোয়িং প্রযুক্তির প্রচলনের সাথে বর্ণহীন বা 'একোয়া' কাঁচের ব্যবহার  আধিপত্য স্থাপন করে।রোমান সাম্রাজ্যের পৃথক পৃথক ভৌগোলিকৰ স্হানে কাঁচের উৎপাদন শুরু হয়এবং ১ম খ্রিস্টাব্দ শেষ হওয়ার আগেই আলেক্সান্ড্রিয়া ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কাঁচ একটি সহজলভ্য দৈনিক ব্যবহার্য বস্তু হিসাবে প্রসিদ্ধি লাভ করে ।

ইসলামিক বিশ্ব:[সম্পাদনা]

প্রাক-ইসলামিক সংস্কৃতির, বিশেষ করে পারস্যের সাসানিয়ার কাঁচের সাফল্য অব্যাহত রেখে ইসলামিক দেশগুলি কাঁচশিল্পের বিকাশের পথে অগ্রসর হয়|আরব কবি আল বুহাতুরি(৮২০-৯৭৭)তৎকালীন কাঁচের স্বচ্ছতার বর্ণনা করে লিখেছেন,"এই কাঁচের রং কাঁচের আঁধারকে এমনভাবে আশেপাশের পরিবেশের সাথে মিশিয়ে লুকিয়ে রাখে যে মনে হয় কোনো অবলম্বন ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে"৷অষ্টম শতাব্দীতে ফারসি-আরব রসায়নবিদ জবির ইবনে হাইয়েন তার "কিতাব আল-দুরআ আল-মাকুনুনা(গোপন মুক্তার নথি)" -তে বর্ণময় কাঁচ প্রস্তুতির ৪৬ রকম পদ্ধতির বর্ণনা করেছেন এবং এই বইয়ের পরবর্তী প্রকাশনগুলিতে অতিরিক্ত ১২ টি পদ্ধতি যোগ করেছিলেন৷একাদশ শতাব্দীর মধ্যে ইসলামিক স্পেনে স্বচ্ছ ও পারদর্শী কাঁচের আয়না তৈরি শুরু হয়৷

মধ্যযুগীয় ইউরোপ:[সম্পাদনা]

ষোড়শ শতাব্দীর ঘষা কাঁচের জানলা

পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পরে উত্তর ইউরোপে স্বতন্ত্র কাঁচ  তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভূত হয়েছিল, এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির কারিগরদের দ্বারা শৈল্পিক কাঁচের উদ্ভাবন হয়।বাইজেন্টাইন কাঁচ রোমান সাম্রাজ্যের ঐতিহ্যকে পূর্বের দেশগুলিতে বিকশিত করেছিল।সপ্তম এবং অষ্টম শতাব্দীর কাঁচের বস্তুর নমুনা ভেনিসের নিকটবর্তী তুরস্কেলো দ্বীপে পাওয়া গেছে।১০০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে, উত্তর ইউরোপে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হয়েছিল যখন কাঁচ প্রস্তুতিতে সাদা নুড়ি এবং পোড়া গাছপালা থেকে উৎপাদিত সোডাভস্মের বদলে আরো সহজলভ্য কাঠের ছাই থেকে পাওয়া পটাশের ব্যবহার শুরু হয়৷এই সময় থেকেই উত্তর ইউরোপের কাঁচের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের(যেখানে কাঁচ তৈরির প্রণালীতে সোডা ব্যবহার হত) কাঁচের বিশেষ পার্থক্য দেখা যায়৷

বারো শতক অবধি ঘষা কাঁচ (ধাতু ও অন্যান্য ওষুধি মিশ্রিত করে এই বিশেষ ধরণের কাঁচ প্রস্তুত করা হত), তেমন জনপ্রিয় ছিলনা,কিন্তু তার পরবর্তী সময়কালে রোমান শিল্প, বিশেষ করে গথিক শিল্পে এর জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়৷একাদশ শতাব্দীতে জার্মানিতে একটি বিশেষ চোঙাকৃতি পাত্রের নলের মধ্যে ফু দিয়ে কাঁচের পাতলা পাত তৈরির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন হয়৷১৩ শতকের ভেনিসেও এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল৷উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় অবধি 'ক্রাউন গ্লাস' -এর ব্যবহার প্রচলিত ছিল৷মধ্যযুগের শেষের দিকে উত্তর ইউরোপের গৃহকার্যে ব্যবহৃত কাঁচের পাত্রগুলি 'ফরেস্ট গ্লাস ' নামে প্রচলিত ছিল৷

অ্যাংলো-স্যাক্সন :[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডে বিভিন্ন স্থানে পূরাতাত্বিক উৎখনন-এর সময়, প্রাচীন জনবসতি অঞ্চল এবং পুরাতন কবরস্থান থেকে এংলো-স্যাক্সন কাঁচের সন্ধান পাওয়া গেছে৷এই বিশেষ ধরণের এংলো-স্যাক্সন কাঁচ, কাঁচের পাত্র তৈরী, পুঁতি তৈরী এবং জানলার কাঁচ থেকে শুরু করে বিবিধ ক্ষেত্রে, এমনকি অলংকার প্রস্তুতিতেও ব্যবহার হত৷খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীতে ব্রিটেন থেকে রোমান আলাদা হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কাচের ব্যবহারেও যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটে।রোমানো-ব্রিটিশ প্রত্নস্থলগুলি খননের ফলে প্রচুর পরিমাণে কাঁচের নমুনা পাওয়া গেছে তবে এর বিপরীতে, ৫ম শতাব্দী এবং পরবর্তী সময়ে অ্যাংলো-স্যাকসন প্রত্নস্থলগুলি থেকে প্রাপ্ত যমুনার সংখ্যায় পূর্বের তুলনায় নিতান্তই কম।যেসকল পরিপূর্ণ কাঁচের পাত্র এবং কাঁচের পুঁতির মালার নমুনা খুঁজে পাওয়া গেছিলো তার সিংহভাগ এসেছে ৫ম শতকের পূর্ববর্তী প্রত্নস্থলগুলি থেকে, কিন্তু ৭ম শতাব্দীর শেষের দিকে কাঁচশিল্পের পুনরুদ্ধার সম্ভব হয় যখন মৃতব্যক্তিকে কবর দেওয়ার অনুষ্ঠানে কাঁচের তৈরী বস্তু ব্যবহার হতে শুরু করে৷৭ম শতাব্দীতে খ্রিষ্টধর্মের উত্থানকালে বিভিন্ন চার্চ এবং ধর্মীয় আবাস্থলের নির্মাণকার্যে (বিশেষত জানলায়) কাঁচের ব্যবহার শুরু হয়৷কয়েকটি তৎকালীন এংলো স্যাক্সন ধর্মীয় নথিতে কাঁচ প্রস্তুতির প্রণালীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে৷

মুরানো:[সম্পাদনা]

কাঁচশিল্পে মুরানোর প্রতিপত্তি শুরু হয় যখন ভিনিশিয়ান প্রজাতন্ত্রের কারণে শহরবাসীদের আশঙ্কা হয় যে শহরের বেশিরভাগ কাঠের বিল্ডিং পুড়িয়ে ফেলা হতে পারে এবং সেই কারণে কাচ প্রস্তুতকারীরা ১২৯১ সালে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলি মুরানোতে স্থানান্তরিত করে। শীঘ্রই কাঁচশিল্পের সঙ্গে যুক্র শিল্পীরা মুরানোর স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ওঠে ৷

১৪ শতকে মূল্যবান ইতালীয় কাঁচ প্রস্তুতির কেন্দ্র ছিল মুরানোর দ্বীপ এবং কাঁচশিল্পের অনেক নতুন কৌশল এইস্থানে উদ্ভাবন হয় ৷কাঁচের তৈজসপত্র ও দর্পনের লাভজনক রপ্তানিতে  এই স্থান সুপরিচিত ছিল৷সোডাভস্মের সাথে স্থানীয় কোয়ার্টজ নুড়ি, খাঁটি সিলিকা,সূক্ষ্ম পরিষ্কার বালির ব্যবহার ভেনিসিয়ান মুরানোর কাঁচকে অন্যান্য কাঁচের থেকে পৃথক ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট দিয়েছিলো এবং ভেনিসিওরা এই কাঁচের ব্যবসায় প্রায় একচেটিয়া অধিকার স্থাপন করে৷উত্তম গুণমান সম্পন্ন কাঁচের প্রস্তুতি  ভেনিসিয়দের বাড়তি বাণিজ্যিক সুবিধা দেয় ৷আধুনিক যুগেও মুরানোর কাঁচ প্রস্তুতির অনেক কৌশল ব্যবহৃত হয়৷

তথ্যসূত্র :[সম্পাদনা]

  1. https://www.sciencenews.org/article/glass-making-may-have-begun-egypt-not-mesopotamia 2016-11-22. Retrieved 2016-11-25.
  2. https://web.archive.org/web/20110415194738/http://www.glassonline.com/infoserv/history.html Archived from the originalhttp://www.glassonline.com/infoserv/history.html on April 15, 2011. Retrieved 2007-10-29.
  3. https://books.google.com/books?id=sM62_gbWP-8C&pg=PA277
  4. https://en.wikipedia.org/wiki/JSTOR_(identifier),https://www.jstor.org/stable/1357319
  5. Wilde, H. "Technologische Innovationen im 2. Jahrtausend v. Chr. Zur Verwendung und Verbreitung neuer Werkstoffe im ostmediterranen Raum". GOF IV, Bd 44, Wiesbaden 2003, 25–26.
  6. http://www.palaeolexicon.com/ShowWord.aspx?Id=16799 Palaeolexicon. Word study tool for ancient languages.
  7. Wilde, H. "Technologische Innovationen im 2. Jahrtausend v. Chr. Zur Verwendung und Verbreitung neuer Werkstoffe im ostmediterranen Raum". GOF IV, Bd 44, Wiesbaden 2003, 25–26 ISBN 3-447-04781-X
  8. McCray, W. Patrick (2007) Prehistory and history of glassmaking technology, American Ceramic Society, ISBN 1-57498-041-6
  9. "MY Oi 701 (63)"(https://www2.hf.uio.no/damos/Index/item/chosen_item_id/5609 ), "MY Oi 702 (64)" (https://www2.hf.uio.no/damos/Index/item/chosen_item_id/5610 ), "MY Oi 703(64)"( https://www2.hf.uio.no/damos/Index/item/chosen_item_id/5611), "MY Oi 704(64)"(https://www2.hf.uio.no/damos/Index/item/chosen_item_id/5612 ),Database of Mycenaean at Oslo DĀMOS: publisher: University of Oslo. (http://www.hf.uio.no/ifikk/english/research/projects/damos)
  10. http://www.perseus.tufts.edu/hopper/text?doc=Perseus:text:1999.04.0057:entry=ku/anos Liddell, Henry George; Scott, Robert; A Greek–English Lexicon at the Perseus Project.
  11. http://muzea.malopolska.pl/obiekty/-/a/26903/1127703, muzea.malopolska.pl (in Polish). Retrieved 7 July 2014.
  12. Douglas, R. W. (1972). A history of glassmaking. Henley-on-Thames: G T Foulis & Co Ltd. ISBN 0-85429-117-2.
  13. Agricola, Georgius, De re metallica, translated by Herbert Clark Hoover and Lou Henry Hoover, Dover Publishing.(http://www.farlang.com/gemstones/agricola-metallica/page_001) Retrieved September 12, 2007
  14. Ṣāliḥʹvand, Navīd (2015). Tārīkhchah-i shīshah va shīshahʹgarī : ẓurūf-i shīshahʹī dawrah-i Ashkānī, majmūʻah-i Mūzih-i Millī va Mūzih-i Riz̤ā ʻAbbāsī [The history of glass and glass making : glass vessels of Arsacid era in the collections of Iran National Museum and Reza Abbasi Museum] (in Persian) (Chāp-i avval ed.). [Tihrān]: Samīrā. ISBN 9789648955491. OCLC 933388489.
  15. অমলানন্দ ঘোষ An Encyclopaedia of Indian Archaeology. BRILL. ISBN 90-04-09262-5.
  16. http://lukashevichus.info/knigi/mcintosh_ancient_indus_valley.pdf
  17. D.M., Bose, ed. (1971). A Concise History of Science in India. Indian National Science Academy. p. 15. ISBN 8173716196.
  18. Kanungo, Alok K.; Brill, Robert H.(January 2009) https://www.researchgate.net/publication/290610344_Kopia_India's_First_Glassmaking_Site_Dating_and_Chemical_Analysis Journal of Glass Studies. 51: 11–25.
  19. Ghosh, Amalananda (1990). "Ornaments, Gems etc. (Ch. 10)". An Encyclopaedia of Indian Archaeology. BRILL. ISBN 90-04-09262-5.
  20. Braghin, C. (2002) "Introduction" pp. XI-XIV in Braghin, C. (ed) Chinese Glass. Archaeological studies on the uses and social contest of glass artefacts from the Warring States to the Northern Song Period (fifth century B.C. to twelfth century A.D.). ISBN 8822251628.
  21. Pinder-Wilson, R. (1991) "The Islamic lands and China" p. 140 in Tait, H. (ed) Five thousand years of glass. University of Pennsylvania Press.
  22. Braghin, C. (2002) "Polychrome and monochrome glass of the Warring States and Han periods" p. 6 in Braghin, C. (ed) Chinese Glass. Archaeological studies on the uses and social contest of glass artefacts from the Warring States to the Northern Song Period (fifth century B.C. to twelfth century A.D.). ISBN 8822251628
  23. Kerr, R. and Wood, N. (2004) "Part XII: Ceramic technology" pp. 474–477 in Science and Civilisation in China. Volume 5, Chemistry and Chemical Technology. Cambridge University Press. ISBN 0521838339
  24. An Jiayao (2002) "Polychrome and monochrome glass of the Warring States and Han periods" pp. 45–46 in Braghin, C. (ed) Chinese Glass. Archaeological studies on the uses and social contest of glass artefacts from the Warring States to the Northern Song Period (fifth century B.C. to twelfth century A.D.). ISBN 8822251628.
  25. Jenyns, R. (1981) Chinese Art III: Textiles, Glass and Painting on Glass. Phaidon Press
  26. Whitehouse, David; Glass, Corning Museum of (May 2004). Roman Glass in the Corning Museum of Glass. Hudson Hills. ISBN 9780872901551.
  27. https://books.google.com/books?id=ONUFZfcEkBgC&pg=RA1-PA39
  28. Stern, E. M. (1999). "Roman Glassblowing in a Cultural Context". American Journal of Archaeology. 103 (3): 441–484
  29. Toner, J. P. (2009) Popular culture in ancient Rome. ISBN 0-7456-4310-8. p. 19(https://books.google.com/books?id=7uHju5Jpzd0C&pg=PA19)
  30. https://web.archive.org/web/20100715024128/http://www.history-science-technology.com/Articles/articles%2093.htm
  31. Bayley, J. (2000). "Glass-working in Early Medieval England" pp. 137–142 in Price, J. Glass in Britain and Ireland AD 350–1100. London: British Museum Occasional paper 127. ISBN 0861591275
  32. Evison, V. I. (2000). "Glass vessels in England, 400–1100 CE" pp. 47–104 in Price, J. Glass in Britain and Ireland AD 350–1100. London: British Museum Occasional paper 127. ISBN 0861591275
  33. Heyworth, M. (1992) "Evidence for early medieval glass-working in north-western Europe" pp. 169–174 in S. Jennings and A. Vince (eds) Medieval Europe 1992: Volume 3 Technology and Innovation. York: Medieval Europe 1992
  34. Harden, D. B. (1978). "Anglo-Saxon and later Medieval glass in Britain: Some recent developments" (PDF). Medieval Archaeology. 22: 1–24.(http://archaeologydataservice.ac.uk/catalogue/adsdata/arch-769-1/ahds/dissemination/pdf/vol22/22_001_024.pdf)
  35. Bimson M. and Freestone, I.C. (2000). "Analysis of some glass from Anglo-Saxon Jewellery" pp. 137–142 in Price, J. Glass in Britain and Ireland AD 350–1100. London: British Museum Occasional paper 127. ISBN 0861591275
  36. Bimson, M. (1978) "Coloured glass and millefiori in the Sutton Hoo Ship Burial". In Annales du 7e congrès international d'etude historique du verre: Berlin, Leipzig, 15–21 August 1977: Liège: Editions du Secretariat Général.
  37. Georg Agricola De Natura Fossilium, Textbook of Mineralogy, M.C. Bandy, J. Bandy, Mineralogical Society of America, 1955, p. 111 Section on Murano Glass, De Natura Fossilium. Retrieved 2007-09-12.
  38. inc, Encyclopaedia Britannica (1992). The New Encyclopaedia Britannica. Encyclopaedia Britannica. ISBN 9780852295533.
  39. Newton, Roy G.; Sandra Davison (1989). Conservation of Glass. Butterworth – Heinemann Series in Conservation and Museology. London: Butterworths. ISBN 0-408-10623-9.
  40. MacLeod, Christine (1987). "Accident or Design? George Ravenscroft's Patent and the Invention of Lead-Crystal Glass". Technology and Culture. 28 (4): 776–803. (JSTOR:https://www.jstor.org/stable/3105182?origin=crossref&seq=1)
  41. Hurst-Vose, Ruth (1980). Glass. Collins Archaeology. London: Collins. ISBN 0-00-211379-1.
  42. Encyclopædia Britannica 11th edition (1911)
  43. Bontemps on Glassmaking: the Guide du Verrier of Georges Bontemps, translated by Michael Cable (2008). Society of Glass Technology. ISBN 0900682604
  44. Buch Polak, Ada (1975). Glass: its tradition and its makers. Putnam. p. 169.(https://archive.org/details/glass00adab)
  45. "Chance Brothers and Co". Retrieved 2012-12-17.(https://www.gracesguide.co.uk/Chance_Brothers_and_Co)
  46. Practical Building Conservation: Glass and glazing. Ashgate Publishing. 2011. p. 468. ISBN 9780754645573(https://books.google.com/books?id=m3dqs6zRCcEC)
  47. Pilkington, L. A. B. (1969). "Review Lecture. The Float Glass Process". Proceedings of the Royal Society of London. Series A, Mathematical and Physical Sciences. The Royal Society. 314 (1516): 1–25. JSTOR:https://www.jstor.org/stable/2416528?seq=1
  48. https://www.schott.com/borofloat/english/index.html
  49. Bickerstaff, Kenneth and Pilkington, Lionel A B U.S. Patent 2,911,759(https://www.google.com/patents/US2911759) "Manufacture of flat glass". Priority date December 10, 1953