বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:NBDIT/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হযরত শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সবন্দি (রহঃ)
হযরত শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সবন্দি (রহঃ) এর রওজা
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১০৭৭ মঘী

৬ই মহররম ১১২৭ হিজরী

১৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ
মৃত্যু২৯শে পৌষ ১১৪২ মঘী

১৪ই মহররম ১১৯৪ হিজরী

১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দ

১৩ই জানুয়ারি
সমাধিস্থলবুয়ে খাজা দিঘীর পাড়, ওষখাইন, আনোয়ারা, চট্রগ্রাম
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাআরাকান (বর্তমান বাংলাদেশ)
সন্তানঅলিয়ে কামেল তাপসমুকুট সাধক আঠারো শতকের শ্রেষ্ঠ কবি পীর সৈয়দ আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ)
পিতামাতা
অঞ্চলচট্রগ্রাম
আখ্যাসুন্নি মাতুরদী
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফী
প্রধান আগ্রহফিকহ, সুফিবাদ, তাফসির, হাদীস
তরিকানক্সবন্দিয়ায়ে মৌলভীয়া
দর্শনসুফিবাদ
মুসলিম নেতা



শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সবন্দি (রহঃ)[সম্পাদনা]

জন্ম[সম্পাদনা]

১৭ শতকের ইসলাম প্রচারের অগ্রপথিক হযরত শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সবন্দি (রহঃ) শেখ বছির মাহমুদ প্রকাশ শাহ মনোহর (রহঃ) এর ঘরে ১০৭৭ মঘী ৬ই মহররম ১১২৭ হিজরী ১৭১৫ খ্রীস্টাব্দের দিকে ভূমিষ্ট হন। সেসময় চট্রগ্রাম আরকানীদের অধীনে ছিল। তিনি খলীফাতুর রাসূল (দঃ) হযরত সায়্যিদিনা আবু বকর ছিদ্দীক (রাঃ) এর বংশধর। শাহসুফি গাউসুল অলি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ) আগম তৃতীয় খন্ড "শাহনামা" গ্রন্থে তার বংশ পরিচিতি দিতে গিয়ে লিখেন,

শিক্ষা[সম্পাদনা]

শেখ সাচী মুহাম্মদ আল নক্সবন্দি কোমল প্রকৃতির ছিলেন। কোরআন, হাদীস ও ফিকাহর বিষয়ে বিজ্ঞ ছিলেন। প্রায় সময় ওয়াজ নসিহত পেশ করতেন। এই ব্যাপারে গাউসুল অলি শাহসুফি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ) আগম তৃতীয় খন্ড "শাহনামা" গ্রন্থে লিখেন,


ইসলামে তাঁহার পূর্বপুরুষদের অবদান এবং তাঁহার ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ[সম্পাদনা]

শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সবন্দী (রহঃ) এর পূর্ব পুরুষ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহঃ) এর অধস্তন পুরুষ হযরত শেখ মীনা মুহাম্মদ খাঁ আল নক্সবন্দী (রহঃ) ১৫০০ খ্রীস্টাব্দে গোঁড়ে বসবাস করতেন। তাহাঁর পূর্ব পুরুষগন ইয়েমেন হতে ভারতের মুর্শিদাবাদে আগমন করেন। দ্বীন ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে নকশাবন্দীয়ায়ে মৌল্ভিয়া তরিকার প্রচার প্রসারে কাজ করেন। পূর্বপুরুষের ধারা মতে সকলেই খানকাহ প্রতিষ্ঠিত করে উক্ত তরিকা ও ইসলাম প্রচারের কাজে মনোনিবেশ করেন। তারই ধারামতে শেখ বশির মুহাম্মদ খান আল নকশবন্দী (রহঃ) আরাকান রাজ্যে ইসলাম প্রচারের কাজে আঞ্জাম দেন। নবাব খান বাহাদুর তাহাঁর হাতে বায়াত গ্রহন করেন। নবার খান বাহাদুর তাহাঁর পীর শেখ বশির মুহাম্মদ খান আল নকশবন্দী (রহঃ) কে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য নিষ্কর সম্পত্তি হিসেবে আট কুড়ি দৌণ (১৬০ দৌণ)পরগনাভূমি তরফদারি উপহার দেন। যাহা একমাত্র পুত্র হিসেবে শেখ সাচী মুহাম্মদ আল নক্সাবন্দি (রহঃ) লাভ করেন। এই ব্যাপারে গাউসুল অলি শাহসুফি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ) তাঁহার আগম তৃতীয় খন্ড "শাহনামা" গ্রন্থে লিখেনঃ

শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সাবন্দি (রহ:) বৌদ্ধ ও সনাতন ধর্মালম্বীদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় এনে তাহাদের মধ্যে ঐ সম্পত্তি হতে ৮০ দৌণ সম্পত্তি দান করেন। এই ব্যাপারে গাউসুল অলি শাহসুফি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ) তাঁহার আগম তৃতীয় খন্ড "শাহনামা" গ্রন্থে লিখেনঃ

সাধক শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সাবন্দি (রহঃ) এবং তাঁহার শিষ্য[সম্পাদনা]

শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সাবন্দি (রহঃ) একজন উচ্চ মকামের সুফি সাধক ছিলেন। তিনি খান্দানে নক্সাবন্দিয়ায়ে মৌলভিয়া ও সরওয়ার্দিয়ার উচ্চ স্তরের পীর ও বুজুর্গ ছিলেন। মাহফিলে ছেমা শুনতেন এবং করতেন। এই ব্যাপারে গাউসুল অলি শাহসুফি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ) আগম তৃতীয় খন্ড "শাহনামা" গ্রন্থে লিখেন,

শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সাবন্দি (রহ:) এর অসংখ্য ভক্ত, মুরিদ ও খলিফা ছিল। তাঁহার খলিফাদের মধ্যে অলি খাজা ও বুয়ে খোয়াজা অন্যতম। তাঁহার প্রাণাদিক শিষ্য বুয়ে খোয়াজা (রহঃ) পীরের খেদমতে একটা দীঘি খনন করেন, যা বুয়ে খোয়াজার দীঘি প্রচলিত বেজার ডি নামে পরিচিত। তাঁহার শিষ্যদের ব্যাপারে গাউসুল অলি শাহসুফি আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রহঃ) আগম তৃতীয় খন্ড "শাহনামা" গ্রন্থে লিখেন,

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

শেখ সাচী মুহাম্মদ নক্সাবন্দি (রহঃ) আউলাদে গাউসে পাক (ক.) খাজা আব্দুর রহমান মাগফুরী (রহঃ) এর খলিফা সৈয়দ বংশীয় অগ্নীকন্যা সৈয়দা জোবায়দা খানম প্রকাশ মা পরান বিবি (রহ:) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গন্তব্য জোয়ারে (সবুজগ্রামে) বসতি করেন। তাঁহাদের সংসারে জগতবিখ্যাত অলিয়ে কামেল তাপসমুকুট সাধক আঠারো শতকের শ্রেষ্ঠ কবি পীর সৈয়দ আলী রজা (রহঃ) ভূমিষ্ঠ হন। তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে মাত্র ১৩ বছর বয়সে খেলাফত ও খিলকা দিয়ে যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে মনোনিত করেন।

ইন্তেকাল[সম্পাদনা]

নবাব শেখ সাচী নক্সাবন্দি (রহঃ) ১১৪২ মঘী ২৯শে পৌষ ১৪ই মহররম ১১৯৪ হিজরী ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দ ১৩ই জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন। তাহারই ইচ্ছানুযায়ী বুয়ে খোয়াজার দীঘির পূর্বপাশে তাঁহাকে দাফন করা হয়।

মৃত্যুবার্ষিকী পালন[সম্পাদনা]

প্রতি বৎসর ১৩ই জানুয়ারি গাউসিয়া রহমানিয়া মাওলা মঞ্জিল, ওষখাইন দরবার শরীফ, আনোয়ারা , চট্টগ্রামে তাঁহার বার্ষিক ফাতেহা ও ওরশ উদযাপিত হয়।