ব্যবহারকারী:Hasan Rumi/রুটিং (এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রুটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ডিভাইসে চলমান অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সুপার ইউসার বানিয়ে দেয়া হয়। একজন সুপার ইউসার হওয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সকল কাজ নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে, একটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশিষ্ট ডিভাইসকে রুট করার মাধ্যমে লিনাক্স অথবা অন্যান্য ইউনিক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমের মতো সুপার ইউসার হওয়া যায়।  

রুটিং প্রায় সময়ই ফোন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা প্রদানকৃত সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়। কারন, রুট করার মাধ্যমে সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন অথবা সেটিং বদলানো যায়, কিছু বিশেষ অ্যাপ চালানো যায় অথবা এমন কিছু কাজ করা যায় যা রুট করা ছাড়া একজন সাধারন ব্যবহারকারী করতে পারে না। এমনকি রুট করার মাধ্যমে ডিভাইসের বর্তমান অপারেটিং সিস্টেম প্রতিস্থাপন করা বা সম্পূর্ণ ভাবে মুছে ফেলা যেতে পারে।

রুট এক্সেস মাঝে মাঝে জেলব্রেকিং এর সাথে তুলনা করা হয়, যা অ্যাপল এর iOS অপারেটিং সিস্টেম সিস্টেম দ্বারা চালিত ডিভাইস সমুহে করা হয়ে থাকে। যাইহোক, এদের ধারনা আলাদা। জেলব্রেকিং এর মাধ্যমে অ্যাপেল এর দেয়া কিছু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা হয়, যার মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনও রয়েছে (এক্ষেত্রেও বুটলোডার দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হয়) । জেলব্রেকিং এর মাধ্যমে অফিসিয়ালি অনুমোদন দেয়া হয়নি, এমন অ্যাপ ব্যবহার করা যায় (সাইডলোড) এবং ব্যবহারকারীকে সিস্টেম পরিবর্তনের কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের বুট লোডার লক করা থাকে এবং অনেক বিক্রেতারাই যেমন HTC, সনি, আসুস এবং গুগল আনলক করার ক্ষমতা প্রদান করে, এমনকি অপারেটিং সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করে ফেলাও! [১][২][৩] সাইডলোড দ্বারা যেসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার ক্ষমতা পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট করা ছাড়াই পাওয়া যায়।   

সংক্ষিপ্ত বিবরণ[সম্পাদনা]

রুট করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসের স্টক কনফিগারেশনে যে সকল সুবিধা নেই, সেই সকল সুবিধাও পায়। সাধারণের চেয়ে উন্নত এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক অপারেশন সহ, সিস্টেম ফাইল পরিবর্তন বা মুছে ফেলা, পূর্বে ইন্সটল করা অ্যাপ্লিকেশন মুছে ফেলা, এবং নিম্ন-স্তরের হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রন করা (যেমনঃ রিবুট করা, স্ট্যাটাস লাইট নিয়ন্ত্রন করা বা টাচ ইনপুট রিকেলিব্রেট করা)। থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে রুট করা হলে সেই অ্যাপ্লিকেশন রুটের পর একটি সুপার ইউসার অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে দেয়। সেই অ্যাপ্লিকেশন অন্য সকল অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করে এবং চালনার অনুমতি প্রদান করে। অপারেটিং সিস্টেম প্রতিস্থাপন বা মুছে ফেলার ক্ষেত্রে ডিভাইসের বুটলোডার ভেরিফিকেশন আনলক করতে হয়। 

অ্যাপল স্টোরে যে সকল অ্যাপ্লিকেশন নেই, সেই সকল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য ডিভাইসে জেলব্রেক করতে হয়। যা সাইডলোডিং (sideloading) নামেও পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড এ এটি আর সহজ উপায়ে করা হয়। এক্ষেত্রে ডিভাইসের Settings মেনু থেকে "Unknown sources" অপশনটা চালু করে দিতে হবে। তবে অ্যামেরিকার কিছু ফোন ক্যারিয়ার কোম্পানি, যেমনঃ AT&T, ফোনে প্লে স্টোরের বাইরের কোন এপ ইন্সটল করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে।[৪]  কিন্তু কিছু ডিভাইস এ নিয়মের আওতায় পড়ে না। যেমনঃ Samsung Infuse 4G। [৫] ২০১১ সালের দিকে AT&T বেশির ভাগ ডিভাইসের জন্যই এ নিয়ম অকার্যকর করে দেয়। [৬]

২০১১ সাল থেকে আমাজন কিন্ডল ফায়ার গুগল প্লে এর বদলে আমাজন অ্যাপস্টোর ব্যবহার করা শুরু করে, অন্যান্য এন্ড্রয়েড ডিভাইসের মতোই কিন্ডল ফায়ার অপরিচিত উৎস থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করতে দেয়, [৭] "ইজি ইন্সটলার" এ ব্যাপারটিকে আর সহজ করে তুলেছে। অন্যান্য ফোন বিক্রেতারা ভবিষ্যতে হয়তো অন্য কোন উপায় ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারেন। বাড়তি কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য হয়তো রুট করার দরকার হতে পারে, তবে রুটিং সব সময়ই প্রয়োজনীয় নয়। 

একটি এন্ড্রয়েড ফোন রুট করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোন সিস্টেম ফাইল যুক্ত করা, সম্পাদনা করা অথবা মুছে ফেলতে পারেন, যা তাদের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে দেয়। এসব অ্যাপ্লিকেশন রুট বিহীন ফোনে ব্যবহার করা যায় না। [৮]

সুবিধা সমূহ [সম্পাদনা]

রুটিং এর উপকারিতা এর মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ ডিভাইসের নিয়ন্ত্রন হাতে নিয়ে আসার সম্ভাবনা। একজন সুপার ইউসার ডিভাইসের সিস্টেম ফাইলে প্রবেশাধিকার রয়েছে। সুপার ইউসার অপারেটিং সিস্টেম এর সকল কিছুই নিয়ন্ত্রন করতে পারবে, এক্ষেত্রে একমাত্র সীমাবদ্ধতা ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামিং দক্ষতা। [৯] অবিলম্বে রুট করা ডিভাইস থেকে নিচের সুবিধাগুলো পাওয়া যেতে পারে:[১০][১১]

  • থিমের জন্য সাপোর্ট দেয়া। ব্যাটারি আইকনের রং পরিবর্তন থেকে শুরু করে ফোন অন বা অফ হওয়ার সময়ের স্ক্রিন পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায়। আরো নানা রকমের সুবিধা তো আছেই। 
  • কার্নেলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, উদাহরণস্বরূপ, সিপিউ এবং জিপিউ এর অভারক্লকিং ও আন্ডারক্লকিং নিয়ন্ত্রন। 
  • সকল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রন করা যায়। যেমন ব্যাকআপ করার সক্ষমতা, কোন কিছু রিষ্টর করা, অনেক অ্যাপ্লিকেশন একসাথে সম্পাদনা করা অথবা এমন কোন অ্যাপ্লিকেশন মুছে ফেলা, যা প্রস্তুত কারক দ্বারা স্থায়ি ভাবে ইন্সটল করা থাকে। 
  • থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সিস্টেমের বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করা। [১২]
  • কাস্টম রম বা কাস্টম ফার্মওয়্যার ইন্সটল করার সুযোগ দেয়, যা রুট করা ডিভাইসে আরো কিছু অতিরিক্ত মাত্রার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রদান করে। 

পদ্ধতি[সম্পাদনা]

কিছু রুট করার পদ্ধতি কমান্ড প্রম্পট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিবাগ ব্রিজ (এডিবি) নামক ডেভেলপমেন্ট ইন্টারফেস ব্যবহার করে।অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করেও রুট করা যেতে পারে, বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে একটি ক্লিকের মাধ্যমেই করা যায়। এক্ষেত্রে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হয়। একই ডিভাইসের ভিন্ন হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে একটি ডিভাইসের রুট করার পদ্ধতি যদি অন্য ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তবে ডিভাইসটি নষ্ট করে ফেলার ঝুকি রয়েছে। [১৩]

কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে রুট করাকে "সফট রুট" বলা হয়। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা থাকতে পারে। মাঝে মাঝে "সফট রুট" করা ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবনতা দেখা যায়।  su বাইনারি ফ্লাসিং করার মাধ্যমে রুট করা হলে তাকে "হার্ড রুট" বলা হয়।[১৪]

বৈচিত্র্যের[সম্পাদনা]

রুট করার প্রক্রিয়া ডিভাইস অনুযায়ী ভিন্ন হয়, কিন্তু সাধারনত ফার্মওয়ারে থাকা এক বা তার অধিক সিকিউরিটি বাগ কাজে লাগানোও এর অন্তর্ভুক্ত।  একবার একটি সিকিউরিটি বাগ কাজে লাগানো আবিষ্কৃত হলে, কাস্টম রিকভারি ইমেজ ফ্লাশ করা যাবে, যা ফার্মওয়্যার আপডেটের ডিজিটাল স্বাক্ষর চেক এড়িয়ে যাবে। তারপর একটি পরিবর্তিত ফার্মওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা যাবে, যা সাধারণত রুট করা ডিভাইসে অ্যাপ চালানোর জন্য প্রয়োজন হবে। উদাহরণস্বরূপ, su বাইনারি (যেমন একটি ওপেন সোর্স Superuser এর সাথে জোটবদ্ধ করা [১৫] বা SuperSU অ্যাপ্লিকেশন[১৬]) থেকে কপি করা যাবে বর্তমান চলমান প্রক্রিয়ার একটি স্থানে (যেমন /system/xbin/) এবং মঞ্জুরকৃত এক্সিকিউট করা যায় এমন অনুমতির সাথে chmod কমান্ড। Superuser বা SuperSU এর মতো থার্ড পার্টি সুপারভাইসর অ্যাপ এরপর অন্যান্য অ্যাপ থেকে অনুমতির আবেদন নিয়ন্ত্রন এবং দেখাশুনা করতে পারে। দ্রুত এবং সহজ ভাবে এন্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার জন্য অনেক গাইড, টিউটোরিয়াল, এবং স্বয়ংক্রিয় প্রসেস রয়েছে। 

একটি রুট করার প্রক্রিয়া কখনো কঠিন হতে পারে আবার কখনো সহজ, এবং এটা তখনকার সুবিধার উপরও নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, এইচটিসি ড্রিম (HTC G1) মুক্তি পাওয়ার পর আবিষ্কৃত হয় যে, যা কিছুই লিখার চেষ্টা করা হতো তা ব্যাখ্যা হয়ে যেত। এর কারন ছিল একটি রুট শেলে একটি ভুল কমান্ড। যাইহোক, গুগল দ্রুত এ সমস্যা ঠিক করতে একটি প্যাঁচ মুক্ত করে। কিন্তু পুরনো ফার্মওয়ারের একটি সাইনড ইমেজ প্রকাশিত হয়ে যায়, ফলে ব্যবহার কারীরা রুট করার জন্য বাড়তি সুবিধা পেয়ে যায়। 

প্রস্তুতকারকের সমর্থন[সম্পাদনা]

কিছু নির্মাতারা যেমন, এলজি, এইচটিসি এবং মটোরোলা বুট-লোডার আনলক করার জন্য অফিশিয়াল সাপোর্ট প্রদান করে। এতে কোন ক্রুটি কাজে লাগানো ছাড়াই রুট করা যায়। [১৭] তবে এ সমর্থন শুধু মাত্র কিছু নির্দিষ্ট ফোনের জন্যই সীমিত থাকে - উদাহরণস্বরূপ, এলজি তাদের বুট-লোডার আনলক টুল শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু মডেলের জন্য মুক্ত করে। [১৮]

এই গুগল-ব্র্যান্ডেড অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুগল নেক্সাস এর ডিভাইস গুলোর বুট-লোডার আনলক করা যায় ডিভাইসটি কেবল একটি কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দেয়ার মাধ্যমেই। বুট-লোডার মোড চালিয়ে এবং Fastboot প্রোটোকলে কমান্ডটি রান করাতে হবে  fastboot oem unlock[১৯]  কমান্ড গ্রহণ করার পর, একটি সতর্কবার্তার মাধ্যমে বুট-লোডার আনলক হয়ে যাবে। তারপর একটি নতুন সিস্টেম ইমেজ সরাসরি ফ্ল্যাশে লেখা যাবে। এক্ষেত্রে কোন ক্রুটি কাজে লাগানোর প্রয়োজন হবে না। 

অসুবিধা[সম্পাদনা]

অতীতে অনেক নির্মাতারাই রুট করা যায় না সাথে আরো বেশি নিরাপত্তা সম্বলিত ফোন তৈরি করতে চেয়েছিলেন (যেমনঃ Droid X), কিন্তু সেসব ফোনও কিছু উপায়ে রুট করা যায়। কিছুদিন আগে আপডেট করা হয়েছে এমন ফোনের জন্যে সাময়িক ভাবে রুট করার উপায় থাকে না, কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানেই কিছু উপায় হাজির হয়ে পড়ে। [২০]

শিল্প প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

২০১০ সাল পর্যন্ত, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন নির্মাতারা সেইসাথে মোবাইল ক্যারিয়ার কোম্পানি গুলো থার্ড পার্টি ফার্মওয়ার ডেভেলপমেন্টকে সমর্থন করতো না। অফিশিয়াল সফটওয়্যার ছাড়া অন্যান্য সফটওয়্যার চালালে ডিভাইস ঠিক ভাবে কাজ করবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত ছিল, [২১] তাছাড়া ছিল এ সম্পর্কিত খরচ। কিছু ফার্মওয়ার, যেমন OmniROM এবং CyanogenMod কখনও কখনও বৈশিষ্ট্য প্রস্তাব করে, ক্যারিয়ার কোম্পানি চার্জ কাটবে; যেমন টিথারিং। এ কারনেই, কিছু প্রযুক্তিগত বাধা, যেমন লক করা বুট-লোডার এবং সিমাবদ্ধ প্রবেশ এড়াতে রুট পারমিশনের সাথে সকলকে পরিচিত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১১ সালের শেষ দিকে বার্নস এন্ড নোবেল এবং Amazon.com, Inc. নুক ট্যাবলেট এর জন্য ফার্মওয়্যার আপডেট ১.৪.১ এবং কিন্ডল ফায়ার এর জন্য ফার্মওয়্যার আপডেট ৬.২.১ ওভার দ্য এয়ার প্রকাশ করে। এতে রুট করার একটি পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে পড়ে। নুক ট্যাবলেট ১.৪.১ এ ব্যবহারকারীদের অন্য উৎস থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করার সুবিধা মুছে ফেলে। এর ফলে অফিশিয়াল বার্নস এন্ড নোবেল অ্যাপস্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ইন্সটল দেয়া যেত না। (মোড ছাড়া) [২২][২৩]

তবে, ২০০৯ এর শেষের দিক থেকে ২০১০ সালের প্রথম দিকে কমিউনিটি-ডেভেলপড সফটওয়্যার জনপ্রিয়তা পেতে থাকে, [২৪][২৫] এবং নিম্নলিখিত একটি বিবৃতি দ্বারা কপিরাইট অফিস এবং কংগ্রেসের (মার্কিন) গ্রন্থাগারিক জেলব্রেক করা ফোন ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করে, [২৬] ফলে নির্মাতা ও ক্যারিয়ার কোম্পানি গুলো CyanogenMod এবং অন্যান্য আনঅফিশিয়াল ফার্মওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে নিজেদের অবস্থান নরম করতে বাধ্য হয়। কিছু নির্মাতারা যেমন, এইচটিসি,[২৭] স্যামসাং,[২৮] মটোরোলা[২৯] এবং সনি মোবাইল কমিউনিকেশনস[৩০] সক্রিয় ভাবে সমর্থন প্রদান এবং উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করে। 

২০১১ সালে, আনলক করা যায় এমন ডিভাইস (নেক্সাস সিরিজের ফোন গুলোর মতো) জনপ্রিয়তা লাভের কারনে আনঅফিশিয়াল ফার্মওয়ার ইন্সটলের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। ডিভাইস প্রস্তুতকারক এইচটিসি ঘোষণা করেছে যে, সব নতুন ডিভাইসে বুট-লোডার আনলক করার পদ্ধতি দেয়া থাকলে তা আফটার মার্কেট সফটওয়্যার ডেভেলপারদের করবে।  তবে কিছু ক্যারিয়ার কোম্পানি, যেমন ভেরাইজন ওয়্যারলেস এবং আরো সম্প্রতি AT&T, OEMs কে একটানা অবরোধ করে চলেছে। HTC এবং মটোরোলা বুট-লোডার আনলক করা যায় এমন ফোনের বদলে ফোনের "ডেভেলপার সংস্করণ" মুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এসব ডিভাইস ভর্তুকিহীন এবং চুক্তি ছাড়া বিক্রি করা হয়। এসব চর্চা নেক্সাস ডিভাইসের মতোই, কিন্তু একটি প্রিমিয়াম এবং কোন চুক্তি ছাড় নেই।  

২০১৪ সালে, স্যামসাং নক্স নামে একটি নিরাপত্তা সেবা চালু করে। এই টুলটি সিস্টেম এবং বুট ফাইলে যেকোনো ধরণের পরিবর্তনে বাধা প্রদান করত। রুট করার যেকোনো প্রচেষ্টার কারনে ওয়ারেন্টি আইন ভঙ্গ হতো। [৩১]

Legality[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক চুক্তি গুলো রুট করাকে প্রভাবিত করে এমন আইন গুলোর উন্নয়ন প্রভাবিত করছে। ১৯৯৬ বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংস্থা (WIPO) কপিরাইট চুক্তি -র জাতির সন্ধিতে ডিআরএম প্রতারণার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে। আমেরিকার বাস্তবায়ন হল ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্ট (DMCA), যা একটি রুটিং এর মতো কপি রাইট অলঙ্ঘনকারী  প্রক্রিয়ার অব্যাহতি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রক্রিয়ার উল্লেখ রাখে। ২০০১ ইউরোপিয়ান কপিরাইট নির্দেশিকা ইউরোপে একটি চুক্তি বাস্তবায়ন করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর প্রয়োজন প্রযুক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা জন্য আইনি সুরক্ষা বাস্তবায়ন করা। কপিরাইট নির্দেশিকায় কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। এতে বিকল্প সফটওয়্যার চালানোর মতো কপিরাইট অলঙ্ঘনকারী বিষয়ের জন্য ছাড় রয়েছে। [৩২] কিন্তু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারতম্য দেখা যায়। 

অস্ট্রেলিয়া[সম্পাদনা]

২০১০ সালে, Electronic Frontiers Australia বলে যে, এটি স্পষ্ট নয় যে রুটিং আইনি ভাবে বৈধ কিনা এবং বিরোধী প্রতারণা আইন প্রযোজ্য হতে পারে.[৩৩] এই আইন কপিরাইট সংশোধনী আইন, ২০০৬ দ্বারা জোরদার করা হয়েছিলো।  

কানাডা[সম্পাদনা]

২০১২ সালের নভেম্বরে কানাডা তাদের কপিরাইট আইনে ডিজিটাল লকের সাথে গরমিল করা নিসিদ্ধ করে। তবে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়, যায় মধ্যে সফটওয়্যার সম্পর্কিত রয়েছে। [৩৪] একটি ডিভাইসে বিকল্প সফটওয়্যার ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে রুট করা ডিজিটাল তালা বা লকের ভেদ করার চেষ্টা করার অন্য একটি রূপ। 

২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কপিরাইট আইন (বিল সি-৬০, বিল সি-৬১, এবং বিল সি-৩২) সংশোধন করার জন্য বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে ডিজিটাল লকের সঙ্গে গরমিল করা বন্ধ করার জন্য। প্রাথমিক প্রাথমিক প্রস্তাব গুলোর সাথে সি-১১ ছিল আরো নিয়ন্ত্রণমূলক। [৩৫] কিন্তু সেসব বিল পরবর্তীতে নাকচ করা হয়। ২০১১ সালে মাইকেল গেইস্ট, একজন কানাডিয়ান কপিরাইট পণ্ডিত, আইফোন জেলব্রেকিং কে একটি কপিরাইট অলঙ্ঘঙ্কারি কাজ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। [৩৬]

ইউরোপীয় ইউনিয়ন[সম্পাদনা]

ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন ইউরোপ যুক্তি দেখিয়েছে, কোন ডিভাইস রুট অথবা ফ্লাস করা আইনি ভাবে বৈধ। ইউরোপীয় নির্দেশিকা 1999/44/CE অনুযায়ী আসল অপারেটিং সিস্টেম অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা প্রতিস্থাপন করলে তা প্রস্তুতকারক কতৃক প্রদানকৃত হার্ডওয়্যার ওয়ারেন্টি ভঙ্গ করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্রেতা প্রমান করতে পারে যে ব্যবহারকারীর সফটওয়্যার জনিত পরিবর্তনের কারনেই হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হয়েছে। [৩৭]

যুক্তরাজ্য[সম্পাদনা]

Copyright and Related Rights Regulations 2003 আইন আন্তক্রিয়া সম্পন্নের উদ্দেশ্যে সুরক্ষা ভেদ করাকে আইনি ভাবে বৈধ কিন্তু কপিরাইট করলে তা অবৈধ করে। রুটিং হতে পারে এক ধরণের ভেদ করা, যা সে আইনের আওতায় পড়ে। কিন্তু এটি এখনো আদালতে পরীক্ষা করা হয়নি। [৩৮] প্রতিযোগিতার আইনও হতে পারে প্রাসঙ্গিক.[৩৯] আরও দেখুন উপরে "ইউরোপীয় ইউনিয়ন" বিভাগে। 

ভারত[সম্পাদনা]

ভারতের কপিরাইট আইন, কপিরাইট লঙ্ঘনকারী করে না এমন ক্ষেত্রে ডিআরএম ভেদ করার অনুমতি প্রদান করে। [৪০][৪১] ভারতীয় সংসদে এই ডিআরএম সংক্রান্ত একটি বিল ২০১০ সালে সকলের সামনে আনা হয় এবং ২০১২ সালে পাস করা হয় কপিরাইট (সংশোধন) বিল ২০১২ নামে.[৪২] ভারত ডব্লিওআইপিও কপিরাইট চুক্তি সাক্ষর করে নি। এ চুক্তিতে ডিআরএম সংক্রান্ত প্রতারনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মার্কিন স্পেশাল 301 রিপোর্ট এর "পিরিওটি ওয়াচ লিস্ট" এ তালিকাভুক্ত হওয়ায় তাদের কপিরাইট সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আরো কঠোর হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। 

নিউজিল্যান্ড[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ড এর কপিরাইট আইন প্রযুক্তিগত সুরক্ষা পরিমাপ (TPM) বিধি পদ্ধতি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়, যতক্ষণ পর্যন্ত তা কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে না। [৪৩][৪৪] এই আইন কপিরাইট আইন ১৯৯৪ কপিরাইট (নতুন প্রযুক্তি) সংশোধনী আইন ২০০৮ এর অংশ হিসাবে যুক্ত করা হয়।  

সিঙ্গাপুর[সম্পাদনা]

সিঙ্গাপুরে রুটিং-এর আইনি ভাবে অনুমোদন রয়েছে যদি আন্তক্রিয়া এবং কপি রাইট আইন ভঙ্গ না করে। তবে এখনো আদালতে পরীক্ষা করা হয়নি। [৪৫]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[সম্পাদনা]

আনলকিং কনজুমার চয়েজ অ্যাণ্ড ওয়্যারলেস কম্পিটিশন আইন নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে ভোক্তারা তাদের ফোন আনলক করতে পারেন বা তাদের ফোন আনলক করতে দিতে পারেন। ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্ট (DMCA) এর অধীনে, রুট করা অবৈধ ছিল শুধুমাত্র অব্যাহতি ছাড়া। মার্কিন কপিরাইট অফিস এই আইনকে অব্যাহতি প্রদান করে কমপক্ষে ২০১৫ পর্যন্ত। [৪৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "HTC Bootloader Unlock Instructions"htcdev.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. "Official Bootloader Unlock instructions"sonymobile.com 
  3. "#unlocking-the-bootloader Google instructions on bootloader unlocking"source.android.co.m। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. "The Official AT&T FAQs"। Wireless.att.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৮, ২০১১ 
  5. "Samsung INFUSE 4G capable of side-loading apps, accessing Amazon Appstore"। MobileBurn। মে ৭, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৮, ২০১১ 
  6. Mike Luttrell (মে ১৯, ২০১১)। "AT&T customers can finally use Amazon's Appstore"। TG Daily। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৭, ২০১২ 
  7. Austin Krause (ডিসেম্বর ৮, ২০১১)। "How to Enable Sideloading on the Kindle Fire"। groovyPost। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৭, ২০১২ 
  8. Gaurav Gahlyan (নভেম্বর ৩, ২০১২)। "What you can do after rooting your Android device"। Droidiser। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১২ 
  9. "Rooting: Advantages and Disadvantages"। ITCSE। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৪ 
  10. "Five Reasons Why Everyone Should "Root" Their Android - Review Lagoon"। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  11. Whitson Gordon। "Top 10 Reasons to Root Your Android Phone"Lifehacker। Gawker Media। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  12. "Advantages of Rooting Your Android Device"spyappsmobile.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  13. "Introduction Guide on How to Root Your Android"Spy Apps Mobile। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  14. Zhang, Hang; She, Dongdong; Qian, Zhiyun (২০১৫-০১-০১)। "Android Root and Its Providers: A Double-Edged Sword"Proceedings of the 22Nd ACM SIGSAC Conference on Computer and Communications Security। CCS '15। New York, NY, USA: ACM: 1093–1104। আইএসবিএন 9781450338325ডিওআই:10.1145/2810103.2813714 
  15. "ChainsDD/su-binary"GitHub। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৮ 
  16. "How to Root Your Android Phone with SuperSU and TWRP"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৮ 
  17. "Everything you need to know about rooting your Android"Android Central। ২০১৬-০৬-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৮ 
  18. "LG Releases Its Long Promised Bootloader Unlock Tool, But It Currently Only Supports The G4 For The EU Open Market (H815)"Android Police। ২০১৫-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৮ 
  19. "Building for devices"Google Git। Google Inc.। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  20. "Everything You Need to Know About Rooting Your Android Phone"। Lifehacker.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২৬ 
  21. "Unlock Bootloader"। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩০, ২০১১ 
  22. Smith, Peter (ডিসেম্বর ২১, ২০১১)। "Kindle Fire and Nook Tablet both get 'upgraded' with reduced functionality"ITworld। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০১২ 
  23. Verry, Tim (ডিসেম্বর ২১, ২০১১)। "Kindle Fire and Nook Tablet Receive Root Access Killing Software Updates"PC Perspective। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০১২ 
  24. Jason Perlow (জানুয়ারি ১৮, ২০১১)। "CyanogenMod CM7: Teach your old Droid New Tricks"। ZDNet। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১২ 
  25. "MIUI firmware is "popular""। AndroidAndMe। আগস্ট ১৬, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১২ 
  26. Sadun, Erica (জুলাই ২৬, ২০১০)। "LoC rules in favor of jailbreaking"। Tuaw.com। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১২ 
  27. "HTC's bootloader unlock page"। Htcdev.com। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১২ 
  28. "CyanogenMod supported by Samsung, gives away Galaxy S2 to devs"ITMag। জানুয়ারি ৫, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  29. "Motorola Offers Unlocked Bootloader Tool"। Techcrunch.com। অক্টোবর ২৪, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১২ 
  30. Dahlström, Karl-Johan। "Sony Ericsson supports independent developers"Sony Mobile Communications। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  31. "All you wanted to know about KNOX Void Warranty 0x1"OmegaDroid। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  32. Duncan Geere (জুলাই ২৮, ২০১০)। "Investigation: Is it legal to jailbreak a UK iPhone?"। Wired UK। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০১২ 
  33. Rosalyn Page (আগস্ট ৫, ২০১০)। "Could jailbreaking your iPhone land you in jail?"। PC & Tech Authority। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২১, ২০১৩ 
  34. Michael Geist (নভেম্বর ৭, ২০১২)। "Canadian Copyright Reform In Force: Expanded User Rights Now the Law"। michaelgeist.ca। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৩, ২০১২ 
  35. "Canada’s C-11 Bill and the Hazards of Digital Locks Provisions"। Electronic Frontier Foundation। ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১২। সংগৃহীত অক্টোবর ১৭, ২০১২
     
  36. The Canadian Press (অক্টোবর ১৩, ২০১১)। "Phone 'jailbreaking' allows users to hack their phone"। CTV News। সংগৃহীত অক্টোবর ১৭, ২০১২The Canadian Press (অক্টোবর ১৩, ২০১১)। "Phone 'jailbreaking' allows users to hack their phone"। CTV News। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৭, ২০১২ 
  37. Matija Šuklje। "Does rooting your device (e.g. an Android phone) and replacing its operating system with something else void your statutory warranty, if you are a consumer?"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  38. Jim Martin (মার্চ ১৪, ২০১২)। "How to jailbreak your iPhone: Unleash the full potential of your iPhone"। PC Advisor। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২১, ২০১৩ 
  39. Warwick Ashford (জুলাই ৩০, ২০১০)। "iPhone jailbreaking is 'okay under EU law'"Computer Weekly। Electronics Weekly। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২১, ২০১৩ 
  40. Pranesh Prakash (মে ২৩, ২০১২)। "Analysis of the Copyright (Amendment) Bill 2012"Centre for Internet and Society। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০১২ 
  41. Michael Geist (এপ্রিল ১০, ২০০৮)। "New Zealand's Digital Copyright Law Demonstrates Anti-Circumvention Flexibility"। Michael Geist। সংগৃহীত অক্টোবর ২৬, ২০১২
     
  42. Stephen Bell (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১)। "Law changes required before NZ ratifies ACTA"। ComputerWorld New Zealand। সংগৃহীত অক্টোবর ২৬, ২০১২Stephen Bell (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১)। "Law changes required before NZ ratifies ACTA"। ComputerWorld New Zealand। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০১২ 
  43. Kenny Chee (আগস্ট ১২, ২০১০)। "iPhone jailbreak may be legal here, but... But there will be certain legal provisions."DigitalOneAsiaOne। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০১২ 
  44. "Is It Illegal To Unlock a Phone? The Situation is Better - and Worse - Than You Think | Electronic Frontier Foundation"। Eff.org। ২০১৩-০১-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২৬ 

[[বিষয়শ্রেণী:এনড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম)]]