ব্যবহারকারী:Anupamdutta73/খেলাঘর/কলকাতা অঞ্চল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভূগোল[সম্পাদনা]

কলকাতা ভারতের পূর্ব অংশে অবস্থিত এবং হুগলি নদীর পূর্ব তীরে বিস্তৃত। কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের এলাকার আয়তন ১৮৬.০৮ বর্গ কিমি। মাদার টেরেসা সরণি (যা পার্ক স্ট্রিট নামে ইংরেজ শাসনের সময় পরিচিত ছিল) বরাবর প্রায় দুইটি বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে শহরটিকে। পার্ক স্ট্রিটের উত্তর দিকের শহর আরো ঘনবসতিপূর্ণ। পার্ক স্ট্রিটের দক্ষিণ দিকে শহরটির সামান্য উন্নত পরিকল্পনা দ্বারা নির্মিত। দক্ষিণ কলকাতা চওড়া সড়ক পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে এবং আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনী সজ্জিত। দক্ষিণ কলকাতার আরও ভালো পরিকল্পনার কারণ এটি অনেক পরে নির্মিত হয়েছিল। শহরের উত্তর অংশটি আসল, পুরনো কলকাতা এবং প্রাচীনতম পরিবার এবং ভবনগুলি বেশিরভাগই এখানে অবস্থিত। গত কয়েক বছরে শহরটি দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়েছে।

অঞ্চল[সম্পাদনা]

{{


| regionmap=Kolkata Wikivoyage map PNG.png | regionmaptext=কলকাতার অঞ্চল | regionmapsize=400px

| region1name=এসপ্ল্যানেড | region1color=#4f93c0 | region1description=পুরনো কলকাতার এই ঔপনিবেশিক শাসনকেন্দ্রটি আজও কলকাতার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক অঞ্চল। এই এলাকাটিকেই অনেকে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র মনে করেন। এসপ্ল্যানেড, চৌরঙ্গির উত্তর দিকের কিছুটা এলাকা, মাদার টেরিজা সরণি (পার্ক স্ট্রিট), মির্জা গালিব স্ট্রিট (ফ্রি স্কুল স্ট্রিট), বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ (ডালহৌসি স্কোয়ার), চাঁদনি চক, বড়োবাজার ও সদর স্ট্রিট নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত।

| region2name=ময়দান | region2color=#71b37b | region2description=কলকাতার কেন্দ্রস্থল, হুগলি নদীর তীরপ্রান্ত, একটি বিশাল মাঠ এবং তার আশেপাশের এলাকাগুলি নিয়ে ময়দান অঞ্চলটি গঠিত। ফোর্ট উইলিয়াম, স্ট্র্যান্ড রোড, ডাফরিন রোড এবং চৌরঙ্গির উত্তর দিকের বাকি এলাকা এই অঞ্চলের অন্তর্গত।

| region3name=দক্ষিণ কলকাতা | region3color=#ac5c91 | region3description=কলকাতার অভিজাত জনবসতি। বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, ভবানীপুর, আলিপুর, চেতলা, নিউ আলিপুর, খিদিরপুর, রাসবিহারী, পার্ক সার্কাস ও এন্টালি এই অঞ্চলের অন্তর্গত।

| region4name=দক্ষিণ শহরতলি | region4color=#578e86 | region4description=কলকাতার দক্ষিণভাগে দ্রুতগতিতে বিস্তৃত হওয়া অঞ্চলগুলি। টালিগঞ্জ, বেহালা, জোকা, পৈলান, বজবজ, যাদবপুর, গড়িয়া, নরেন্দ্রপুর এবং আরও দক্ষিণে নতুন গড়ে ওঠা উপনগরীগুলিকে নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত। বেশ কয়েকটি বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে অবস্থিত। এটি অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালে গড়ে উঠেছে এবং নগরায়নের কাজ এখানে এখনও চলছে।

| region5name=উত্তর কলকাতা | region5color=#d09440 | region5description=কলকাতার প্রাচীনতম জনবসতি। রবীন্দ্র সরণি (চিৎপুর রোড), বাগবাজার, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, শোভাবাজার, মানিকতলা, জোড়াসাঁকো ও কলেজ স্ট্রিট চত্বর নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত। এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যই হল অজস্র সরু গলিপথ এবং শতাধিক শতাব্দী-প্রাচীন প্রাসাদোপম অট্টালিকা। শিয়ালদহ রেল স্টেশন ও কলকাতা রেল স্টেশন এই অঞ্চলেই অবস্থিত। উল্লেখ্য, শিয়ালদহ স্টেশনটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে বড়ো রেল টার্মিনাসগুলির একটি।

| region6name=উত্তর শহরতলি | region6color=#8a84a3 | region6description=শহরের উত্তরে নৈহাটি ও বারাসাত পর্যন্ত প্রসারিত সুবিশাল শিল্পাঞ্চল। কাশীপুর, দমদম, বেলগাছিয়া, খড়দহ, পানিহাটি, টিটাগড়, ব্যারাকপুর, বরানগর মধ্যমগ্রাম ইত্যাদি এলাকা নিয়ে এই অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে। এখানে পাটজাত দ্রব্য, কাগজ, সূতিবস্ত্র, অস্ত্রশস্ত্র ও রাসায়নিক দ্রব্যের একাধিক কলকারখানা অবস্থিত। দমদম হল কলকাতার প্রধান পরিবহন কেন্দ্র। এই এলাকাটি একদিকে যেমন মেট্রোরেল, চক্ররেল ও সাধারণ রেল পরিষেবা দ্বারা শহরের সঙ্গে যুক্ত, অন্যদিকে এখানকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বহির্বিশ্বের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ রক্ষা করে চলেছে।

| region7name=পূর্ব কলকাতা | region7color=#d56d76 | region7description= বিধাননগর, রাজারহাট, চিনার পার্ক, লেক টাউন ও ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস নিয়ে গঠিত এবং দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করা এই অঞ্চলটি মূলত তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর এবং শহরের পরিকল্পিত উপনগরী অঞ্চল। একাধিক বিলাসবহুল শপিং মল, পাঁচ-তারা হোটেল, থিম পার্ক, অভিজাত হাউজিং এস্টেট ও টেকনো পার্ক এবং বেশ কয়েকটি বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে অবস্থিত।

| region8name=হাওড়া | region8color=#d5dc76 | region8description=হাওড়া একটি আলাদা শহর। কিন্তু কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলেরই অংশ। হাওড়া রেল স্টেশনটি কলকাতার অন্যতম প্রবেশদ্বার। }}