বেসকিহ মন্দির
বেসকিহ মন্দিরবা বালির মাতৃমন্দির ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের বেশাকিহ গ্রামে অবস্থিত। মন্দিরটি অগুং পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত। এই মন্দিরটি বালি দ্বীপের হিন্দুদের নিকট সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ,পবিত্র এবং আকৃতিতে সব থেকে বড় মন্দির।[১] এই স্থানে প্রথম মহাঋষি মার্কণ্ডেয় (যিনি বালিতে হিন্দু ধর্মের অগ্রদূত) ঈশ্বরের দেখা পান। এখানে ৮৬ টি মন্দির আছে।কমপ্লেক্সে অন্তর্ভুক্ত সকল মন্দিরগুলির মধ্যে পাতারটান আগুং মন্দির বৃহত্তম মন্দির। পাতারটান আগুং মন্দিরটিতে রয়েছে ত্রিদেব ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব মূর্তি। বেসকিহ মন্দির, পাতারটান মন্দির , দালিম পুরি মন্দির হল পুশেহ মন্দির, দেশ মন্দির, এবং দলেম মন্দির সহ গ্রামের সব মন্দিরগুলির মা । [২] ১৯৯৫ সালে এ মন্দিরটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মন্দিরটি কবে নির্মিত হয় সে সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যায় না। তবে মন্দিরের পাথর গুলো থেকে বলা যায় মন্দির কমপ্লেক্সটি প্রিহিস্টোরিক যুগের। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো হতে পারে এই মন্দির। তবে এটির হিন্দু মন্দিরের স্বীকৃতি সম্ভবত ১২০০ সাল থেকে।[৪] ৮ম শতাব্দীতে এখানে ভারতীয় মহাঋষি মার্কণ্ডেয়র আবির্ভাব হয়েছিল।তিনি ও তার অনুসারীদের জন্য এখানে বসতি স্থাপন করেন। এই প্রক্রিয়ার সময় অসুস্থতা ও দুর্ঘটনার কারণে তার অনেক অনুসারী মারা যান। এর পড়ে এ স্থানকে 'বাসুকি' বলা হত।নাগরাজ বাসুকির নামে ।যিনি অগুং পর্বত এ বাস করতেন। এই নামটি শেষে 'বেসকিহ' তে পরিণত হয়।১৩৪৩ খ্রিষ্টাব্দে অন্যান্য মন্দিরগুলি ধীরে ধীরে নির্মিত হয়েছিল এবং মাজাপাহিত সাম্রাজ্যের দ্বারা বালি জয়ের সময় বেসকিহ প্রধান মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল।[২]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]মন্দির কমপ্লেক্সে ২২ টি মন্দিরের সমান্তরাল বিন্যাস রয়েছে। প্রধান মন্দিরটি পদ্মাসনের ন্যায়। এটি ১৭ শতকে নির্মিত।১৯৬৩ সালে অগুং পাহাড় থেকে লাভা নির্গত হয় ফলে প্রায় ১৭০০ মানুষ মারা যায়। কিন্তু আশ্চর্য ভাবে মন্দির কমপ্লেক্সটি রক্ষা পায়।[৫]
উৎসব
[সম্পাদনা]প্রতি বছরে এই মন্দির কম্পেক্সে প্রায় ৭০ টির মত উৎসব-পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়।[৫]
দর্শনার্থী
[সম্পাদনা]প্রতিবছর হাজার হাজার দর্শনার্থী মন্দিরটি দেখতে আসেন। ২০১৩ সালে ৮৪,৩৬৮ জন এই মন্দিরটি দেখতে আসেন।[৬]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
মূল বেসকিহ মন্দির
-
বেসকিহের মূল মন্দির
-
বেসকিহ মন্দির
-
বেসকিহ মন্দির
-
বেসকিহ মন্দির
-
বেসকিহ মন্দিরে প্রার্থনা
-
মাতৃমন্দিরের প্রধান দরজা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Mount Agung and Pura Besakih"। Sacred Destinations। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১০।
- ↑ ক খ "Besakih Temple in Bali - Pura Besakih - Bali Attractions"। bali-indonesia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬।
- ↑ "Besakih — UNESCO World Heritage Centre". Tentative Lists. United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization. 19 October 1995. Retrieved 27 April 2009.
- ↑ Lonely Planet: Bali and Lombok, April 2009, p 215
- ↑ ক খ Davison, Julian (2003). Introduction to Balinese architecture. Tuttle Publishing. p. 60. আইএসবিএন ০-৭৯৪৬-০০৭১-৯.
- ↑ "Karangasem Perlu Ciptakan Objek Wisata Baru"। জুন ১৫, ২০১৪। ২৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]- I Nyoman Darma Putra and Michael Hitchcock (2005) Pura Besakih: A world heritage site contested in Indonesia and the Malay World, Volume 33, Issue 96 July 2005, pages 225 - 238
- Stuart-Fox, David J.(2002) Pura Besakih: temple, religion and society in Bali KITLV, Original from the University of Michigan (Digitized 5 September 2008 into Google Books) আইএসবিএন ৯০-৬৭১৮-১৪৬-৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-৬৭১৮-১৪৬-৪ . 470 pages