বেলচেন টানেল

স্থানাঙ্ক: ৪৭°২২′২″ উত্তর ৭°৪৯′২৮″ পূর্ব / ৪৭.৩৬৭২২° উত্তর ৭.৮২৪৪৪° পূর্ব / 47.36722; 7.82444
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেলচেন টানেলের প্রবেশপথ

বেলচ্যান টানেল হলো সুইজারল্যান্ডের একটি মটরওয়ে টানেল এবং টানেলটি এ২ মটরওয়ের একটি অংশ যা বাজেল থেকে চিয়াসোর দিয়ে চলে গিয়েছে। টানেলটি ৩.২ কিমি. দীর্ঘ এবং সুইজারল্যান্ডের উত্তর অংশে (সামান্য পশ্চিম) অবস্থিত। টানেলটি ইপটিনজেনকে বাজেলের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।[১] টানেলটি ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং ২০০৩ সালে পুন:সংস্কার করা হয়েছিল।

সাদা মহিলা-শহুরে কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে গুজব ছড়িয়ে পরে, সাদা একজন মহিলা সম্পূর্ণ সাদা কাপড়ে আবৃত হয়ে হঠাৎ করেই বোলচ্যান টানেলে চালকের পাশে হাজির হত এবং সে মাঝে মাঝে চালকের সাথে কথাও বলত। প্রথম দেখা বেলচ্যানের ভূতকে পুরুষ হিচহাইকার বলে প্রকৃতপক্ষে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত প্রথম লিখিত প্রতিবেদনে (জুন ১৯৮০) উল্লেখ করা হয়েছিল, একজন পুরুষ হিচহাইকার যিনি চালকের উচ্চগতি থাকা স্বত্তেও গাড়িতে উঠে বসত এবং কিছুক্ষণ পর সে ব্যক্তিকে আর গাড়ির ভেতর দেখা যেত না।[১]

১৯৮০ সালের শেষের দিকে মূলত চালকরা অভিযোগ করতে লাগল তারা একজন মহিলাকে দেখেছে। ৬ই জানুয়ারি ১৯৮১ সালে ট্যাবলয়েড ব্লিক প্রথম এই অদ্ভুত মহিলা দর্শন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ও পরবর্তীকালে অন্যান্য মিডিয়াও প্রতিবেদনটি প্রকাশ হতে শুরু করে। বাজেল পুলিস বিভিন্ন সময় অসংখ্য ফোনকল পেতে শুরু করে যাদের কিছু কিছু নথিভুক্ত করা ছিল।

বেলচ্যান ভূত বিষয়টি ১৯৮১-এর স্রোভ টুয়েসডে কার্নিভালে জনপ্রিয় একটি বিষয়ে পরিণত হয়। এছাড়াও সঙ্গীতজ্ঞরাও এই কিংবদন্তি সম্পর্কে গল্প বলা শুরু করে। এছাড়াও সাদা মহিলা দর্শন নিয়ে আরো একটি অদ্ভুত প্রচলিত কাহিনী হলো, দুজন মহিলা আইনজীবী ইপটেনজেন থেকে একজন কদাকার, ফ্যাকাশে, আধবয়সী মহিলাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যখন মহিলাকে তারা জিজ্ঞেস করলেন তিনি কেমন বোধ করছেন, তখন মহিলাটি উত্তর দিয়েছিল, “আমি মোটেও ভালো বোধ করছি না এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ভয়াল কাণ্ড ঘটতে যাচ্ছে”। পরবর্তীতে যখন আইনজীবী দুজন ফিরে তাকালেন তারা মহিলাটিকে আর দেখতে পেলেন না।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Belchentunnel White Lady"। ১৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]