বেরিয়া ওঙ্গার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাকিয়ে বেরিয়া ওঙ্গার
জন্ম১৯২১
কানাক্কালে, তুরস্ক
মৃত্যু১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ (বয়স ৯৩–৯৪)
মাতৃশিক্ষায়তনআঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, ল স্কুল
উপাধিতুরস্কের প্রগ্রেসিভ উইমেনস অর্গানাইজেশনের সভাপতি
মেয়াদ১৯৭৫–১৯৭৯
রাজনৈতিক দলতুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি

বাকিয়ে বেরিয়া ওঙ্গার (১৯২১ – ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) ছিলেন একজন তুর্কি নারীবাদী কর্মী ও লেখক এবং তুরস্কের প্রগতিশীল নারী আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৯৮০ সালের অভ্যুত্থানের সময় তুরস্কের প্রগতিশীল মহিলা সংগঠন নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত তিনি এটির নেতৃত্ব দেন। ওঙ্গার ১৯৭৯ সালে তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে সিনেট নির্বাচনে অংশ নেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

বেরিয়া ওঙ্গার ১৯২১ সালে তুরস্কের কানাক্কালের বাকিয়ে বেরিয়া হানামে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২]

তিনি ১৯৪১ সালে স্নাতক হয়ে আঙ্কারা ইউনিভার্সিটি, ল স্কুলে আইনজীবী হওয়ার জন্য পড়াশোনা করেন। তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন, এরপর ১৯৫৭ সালে স্বাধীনভাবে আইন চর্চা শুরু করেন।[১]

সক্রিয়তা[সম্পাদনা]

ওঙ্গার ১৯৬৫ সালে নারী কর্মীদের একটি ছোট সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর, ১৯৭৫ সালে, তিনি তুরস্কের প্রগ্রেসিভ উইমেনস অর্গানাইজেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন, যা মহিলাদের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের জন্য লড়াই করেছিল।[৩]

তিনি সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন, কুমহুরিয়েত পত্রিকা এবং আকাম সহ ট্রেড ইউনিয়ন ম্যাগাজিনগুলিতে তিনি নারী অধিকার রক্ষায় নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন, তখন এটি তুর্কি ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের মালিকানাধীন ছিল। তিনি প্রগ্রেসিভ উইমেনস অর্গানাইজেশন এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কাদানলারন সেসি (নারীদের কণ্ঠ) পত্রিকারও মালিক ছিলেন।[৪] ওঙ্গার তুরস্কে নারীদের মুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকটি বই এবং পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলেন।[৫]

তিনি প্রগ্রেসিভ উইমেনস অর্গানাইজেশন পরিচালনা করতেন যা ১৯৭৯ সালে সরকার বন্ধ করে দেয়।

ওঙ্গার পিস অ্যাসোসিয়েশন অব তুরস্ক এর একজন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও ছিলেন, যা ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল।

১৯৭৯ সালের নির্বাচনে, তিনি তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত একটি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিনেট প্রজাতন্ত্রের একটি আসনের জন্য লড়েছিলেন। তিনি ইস্তাম্বুলে ২২,০০০ ভোট পেয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচিত হননি।[৬]

১৯৮০ সালের তুর্কি অভ্যুত্থানের পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন, কিন্তু পরে তিনি তুরস্কে ফিরে আসেন।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ওঙ্গার ১৯৪৬ থেকে ১৯৭১ সালে লেখক এবং সমালোচক ফাহির ওঙ্গারের সাথে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতিটির দুটি সন্তান ছিল।[২]

তিনি ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্তাম্বুলে মারা যান এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে রবিবারে তাকে জিনসির্লিকু কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "İstanbul Bağımsız Senatör Adayı Kalan Beria Onger'i Tanıtıyoruz"" (পিডিএফ)Kadınların Sesi 
  2. Sözlüğü, Türk Edebiyatı İsimler। "Fahir Onger"teis.yesevi.edu.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  3. Pervan, Muazzez; İlerici Kadınlar Derneği (২০১৩)। İlerici Kadınlar Derneği (1975-1980): kırmızı çatkılı kadınlar'ın tarihi (Turkish ভাষায়)। আইএসবিএন 978-975-333-289-7ওসিএলসি 874163425 
  4. "KADINLARIN SESİ"TÜSTAV (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  5. Gazetesi, Evrensel। "Beria Onger'in ardından"Evrensel.net (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  6. "TKP'nin bağımsız adayı Bakiye Beria Onger'in Sultanahmet Mitingi 1979" 
  7. "Bakiye Beria Onger yaşamını yitirdi"www.cumhuriyet.com.tr (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬