বুমেরাং নীহারিকা
টেমপ্লেট:Protoplanetary nebula বুমেরাং নীহারিকা একটি প্রোটোপ্লানেটারি নীহারিকা[১] যা পৃথিবী থেকে ৫,০০০ আলোকবর্ষ দূরে সেন্টারাস নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত। একে বো টাই নীহারিকাও বলা হয়ে থাকে এবং পিজিসি ৩০৭৪৫৪৭ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এর তাপমাত্রা হিসেব করা হয়েছে ১ K (−২৭২.১৫ °সে; −৪৫৭.৮৭ °ফা) যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রাকৃতিক স্থানগুলোর মধ্যে শীতলতম।[২]
বুমেরাং নীহারিকা একটি নক্ষত্র ব্যবস্থা হিসেবে ধরা হয় যা প্ল্যানেটারি নীহারিকা গ্রহের দশার চতুর্দিকে পাক খাচ্ছে। এর অভ্যন্তরীন গ্যাসের নিঃসরণের ফলে এর গঠন প্রক্রিয়া চলছে যেখানে একজন নক্ষত্র পরবর্তী জীবনে ভর হারিয়ে আলো বিকিরিত করতে থাকে। এই গ্যাসের বহির্গমনের বেগ প্রায় ১৬৪ কিমি/সেকেন্ড এবং ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে কারণ তা মহাশূন্যে হারিয়ে যাচ্ছে; এই গ্যাসের বহির্গমনই নীহারিকার এত কম তাপমাত্রা কারণ।
কেইথ টেইলর ও মাইক স্কারট ১৯৮০ সালে সিডিং স্প্রিং অবজারভেটরি থেকে অ্যাংলো-অস্ট্রেলীয় নভোবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে একে পর্যবেক্ষণপূর্বক 'বুমেরাং নীহারিকা' নাম দেন। স্বচ্ছতার সাথে একে দেখতে অক্ষম হয়ে জ্যোতির্বিদেরা বাঁকানো বুমেরাং-এর ন্যায় নীহারিকাটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। ১৯৯৮ সালে হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে একে পরিষ্কার দেখা যায় এবং তখন একে অনেকটা প্রতিসম বালিঘড়ি আকৃতির ন্যায় দেখায়।
১৯৯৫ সালে চিলিতে ১৫-মিটারের সুইডিশ-ইএসও সাবমিলিমিটার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা বুঝতে পারেন যে বিজ্ঞানাগারে তৈরি ব্যতীত এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া বিশ্বের শীতলতম স্থান। এর তাপমাত্রা -২৭২ °সে., যা পরম শূন্য (যেকোন তাপমাত্রার সর্বনিম্ন ধাপ) এর চেয়ে মাত্র ১ °সে. উষ্ণ। এমনকি মহাবিস্ফোরণের ব্যাকগ্রাউন্ড গ্লোর তাপমাত্রা -২৭০ °সে পর্যন্ত এই তাপমাত্রার চাইতে উষ্ণ ছিল। সিএমবি শীতল স্থান ব্যতীত এটিই একমাত্র বস্তু যা ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের চেয়ে কম তাপমাত্রাধারী।[২]
২০১৩ সালে এএলএমএ রেডিও ইন্টারফেরোমিটার-এর পর্যবেক্ষণ বুমেরাং নীহারিকা সম্পর্কে আরেকটি তথ্য উদ্ঘাটন করেন।[৩] বুমেরাং নীহারিকার দৃশ্যমান দ্বৈত লোব একটি বৃহৎ ঠান্ডা গ্যাসের বর্তুল ভলিউম দ্বারা বেষ্টিত যা কেবল সাব-মিলিমিটার রেডিও তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করেই দেখা যায়। নীহারিকার বহিঃর্পাশ্ব ধীরে ধীরে উষ্ণ হচ্ছে বলেই ধারণা করা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "APOD: 2007 December 28 - A Beautiful Boomerang Nebula"। Apod.nasa.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-০৯।
- ↑ ক খ Cauchi, Stephen (ফেব্রুয়ারি ২১, ২০০৩)। "Coolest bow tie in the universe"। The Sydney Morning Herald। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২, ২০০৭।
- ↑ "ALMA reveals ghostly shape of 'coldest place in the universe'"। Phys.Org। Omicron Technology Limited। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Sahai, Raghvendra; Nyman, Lars-Åke (১৯৯৭)। "The Boomerang Nebula: The Coolest Region of the Universe?"। The Astrophysical Journal। 487 (2): L155–L159। ডিওআই:10.1086/310897। বিবকোড:1997ApJ...487L.155S।
- Browne, Malcolm W. (জুন ২৪, ১৯৯৭)। "The Chilliest of Stars"। New York Times।
- The Boomerang Nebula - The Coolest Place in the Universe?, ESA, 20 February 2003
- Hubble's View of the Boomerang Nebula, 13 September 2005; see also Scattered Light from the Boomerang Nebula
- ESA/Hubble-Boomerang Nebula ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে
- SIMBAD, Coordinates and Scientific data. January 4, 2007.