বুকছাং বন্দী শিবির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বুকছাং বন্দী শিবির
হাঙ্গুল북창 제18호 관리소
হাঞ্জা
সংশোধিত রোমানীকরণBukchang Je 18 ho Gwalliso
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়াPukch'ang Che 18 ho Kwalliso
{{{othername1}}}
হাঙ্গুল북창 정치범 수용소
হাঞ্জা
সংশোধিত রোমানীকরণBukchang Jeongchibeom Suyongso
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়াPukch'ang Chŏngch'ibŏm Suyongso

বুকছাং বন্দী শিবির (Hangeul: 북창 제18호 관리소북창 제18호 관리소, কখনো ক্ষনো পুকছাং ও বলা হয়) উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য নির্মিত একটি বন্দী শিবির। কোথাও কোথাও এই শিবিরকে তুকছাং বন্দী শিবির (Hangeul: 득장 제18호 관리소득장 제18호 관리소, উচ্চারণ দুকছাং বা দুকজাং ও করা হয়) বলেও উল্লেখ করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবশ্য এর নামকরণ গোয়ান-লি-সো (পেনাল- লেবর কলোনী) নাম্বার ১৮

অবস্থান[সম্পাদনা]

উত্তর কোরিয়ার পিয়ঙ্গান-নামদো অঞ্চলের তুকছাং জেলার পুকছাং কাউন্টিতে এই বন্দী শিবির স্থাপিত। ত্যাডং নদীর অববাহিকায় এই বন্দী শিবির উত্তর দিকে আর দক্ষিণে সুউচ্চ পর্বতমালা দাঁড়িয়ে। ত্যাডং নদীর অপর পারে কেছন অন্তরন শিবির (গোয়ান-লি-সো নাম্বার ১৪) অবস্থিত।[১]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাক্তন নেতা হোয়াং জাং-ইয়োপের মতে পুকছাং বন্দীশিবির উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন বন্দীশিবির। ১৯৫৮ সালে বন্দীশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] ইয়োদোক বন্দীশিবিরের মতো পুকছাং বন্দীশিবিরে একটি অংশ রাজনৈতিক বন্দীরা সারাজীবনের জন্য কারাভোগ করছে। অপর একটি অংশ পুণঃশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হয়। ধারণা করা হয়, পূর্বে এই দুই অংশ সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে পরিচালিত হত বিধায় এই বন্দীশিবিরটি পুকছাং ও তুকছাং এই দুই নামে পরিচিত।[৩] অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দী শিবিরগুলো উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হলেও, পুকছাং বন্দীশিবির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে।[৪] বন্দীশিবিরটির আয়তন ৭৩ কিমি (২৮ মা) [৫] এবং সম্পূর্ণ শিবির ৪-মিটার (১৩ ফু) উঁচু নিরাপত্তাবেষ্টনী দ্বারা পরিবেষ্টিত।[৬] শাস্তিপ্রাপ্ত আসামীদের জন্য নির্মিত কলোনী ছাড়াও, নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য রয়েছে ব্যারাক। কখনো কখনো নিরাপত্তা রক্ষীদের পরিবারের সদস্যরাও এই ব্যারাকে দিনযাপন করে। পুকছাং রাজনৈতিক বন্দীশিবিরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার জেলবন্দী রয়েছে।[৭] কিম ইয়ং এই বন্দী শিবিরে বিদেশী বন্দী রয়েছে বলে রিপোর্ট করলেও অন্য কোনোসূত্র থেকে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।[৮]

উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

যেসকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে ঠিক বিশ্বাস করা যায় না (যেকোনো সময় বিদ্রোহ ঘটাতে পারে বা যাদের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন আছে), তাদেরকে সমাজ থেকে আলাদা করার জন্যই এই বন্দী শিবির নির্মাণ করা হয়। জেলবন্দীদের দ্বারা অমানবিক পরিশ্রম করানোর জন্য এই শিবির নির্মিত। বন্দীশিবির সংলগ্ন এলাকায় অন্তত পাঁচটি কয়লা খনি রয়েছে।[৯] পুকছাং বন্দী শিবিরের জেলবন্দীরা এই খনিগুলোতে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা কাজ করে। এছাড়াও বন্দী শিবিরেই রয়েছে সিমেন্ট কারখানা সহ আরো কিছু কারখানা যেখানে এই জেলবন্দীরা শ্রম দিতে বাধ্য।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]