বিষয়বস্তুতে চলুন

বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর
श्री ३ वीर शमशेर जङ्गबहादुर राणा
১১তম নেপালের প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২২ নভেম্বর ১৮৮৫ – ৫ মার্চ ১৯০১
সার্বভৌম শাসকপৃথ্বী বীর বিক্রম শাহ
পূর্বসূরীরণদীপ সিংহ বাহাদুর রানা
উত্তরসূরীদেব শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১০ ডিসেম্বর ১৮৫২
কাঠমান্ডু, নেপাল অধিরাজ্য
মৃত্যু৫ মার্চ ১৯০১ (৪৮ বছর বয়সে)
কাঠমান্ডু, নেপাল অধিরাজ্য
পিতাধীর শমশের রানা

শ্রী শ্রী শ্রী মহারাজ বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা জিসিএসআই (১০ ডিসেম্বর ১৮৫২ – ৫ মার্চ ১৯০১) হলেন নেপালের ১১তম[] এবং রাণা রাজবংশের ৩য় প্রধানমন্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাধন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকারী রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের গাহাওয়ায় একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন, যেটিকে তাঁর নামে নামকরণ করা হয় বীরগঞ্জ। বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা বাল্যকালে কাইলায় নামে পরিচিত ছিলেন। জঙ্গ বাহাদুর তাকে এই নতুন নামে ভূষিত করেন। জন্মের সময় তার মা মারা যান, তাই তিনি জঙ্গ বাহাদুর রাণার স্ত্রী পুতলি মহারাণীর কাছে লালিত পালিত হন। থাপাথলি দরবারে তাঁর বাল্যকাল কাটে।

সেনাপতি ধীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণার (জঙ্গ বাহাদুর রাণার ছোট ভাই) ঘরে বীর জন্ম নেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৮৮৫ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৯ সালে তাঁকে তুং-লিং-পিং-মা-কুও-কাং-ওয়াং অর্পণ করা হয়। তাঁর শাসনামলে তিনি ক্লারেন্সের ডিউক প্রিন্স আলবার্ট ভিক্টর এবং হতভাগ্য আর্কডিউক ফ্রানয ফার্ডিনান্ডকে গ্রহণ করেন। ১৯০১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রগতিশীল ভাই দেব শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা তিন মাসের জন্য দায়িত্ব পালন করেন।

শ্রী শ্রী শ্রী মহারাজা বীর শমশের

বীর শমশেরের আমলে বেশ কিছু সংস্কার ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। নাগরিক সুবিধার জন্য পানির পাইপ বসান, বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষা চালু করেন এবং বেশ কিছু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভূমি কর ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করেন এবং তুলনামূলক ভালো প্রশাসন গঠন করেন। ব্রিটিশদের জন্য তিনি বেশ ভালো সংখ্যক সেনা প্রেরণ করেন। এই কারণে রাণী ভিক্টোরিয়ার সিংহাসন আরোহণের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে ব্রিটিশরা তাঁকে অর্ডার অব দ্যা স্টার অব ইন্ডিয়ার নাইট গ্র‍্যান্ড কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি একজন আন্তরিক শাসক, একজন মহান স্থপতি ও সঙ্গীতপ্রেমী ছিলেন।

বীর শমশের নেপালের প্রধানমন্ত্রিত্বের উত্তরাধিকারের নতুন ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি কেবলমাত্র ধীর শমশেরের বৈধ সন্তানদের উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। তিনি দরবার উচ্চ বিদ্যালয়, বীর হাসপাতাল, বীর টাওয়ার (ঘণ্টাঘর) পাঠশালা (বিদ্যালয়) এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তিনি ১৮৯১ সালে কাঠমান্ডু এবং ১৮৯৫ সালে ভাদগাঁওয়ে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। ভারতের সাথে বাণিজ্যের সুবিধার্থে ১৮৯৭ সালে নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে গাহাওয়া শহর প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে তার নামানুসারে বীরগঞ্জ নামে পরিচিত। মূল্যবান বই এবং পান্ডুলিপি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বীর গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। নেপালের ডাক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করেন এবং কাঠমান্ডুর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ করেন।

মহারাজ বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা ১৫ বছর দেশ শাসনের পর ১৯০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্বসুরী

[সম্পাদনা]
বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা-এর পূর্বপুরুষ
১৬. রাম কৃষ্ণ কুঁবর
৮. রণজীত কুঁবর
৪. বাল নরসিংহ কুঁবর
২. ধীর শমশের রাণা
২০. অমর সিংহ থাপা (সানুকাজী)
১০. নয়ন সিংহ থাপা
২১. সত্যরূপা মায়া
৫. গণেশ কুমারী থাপা
২২. রণজীত পান্ডে
১১. রণ কুমারী পান্ডে
১. বীর শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
রণদীপ সিংহ বাহাদুর
নেপালের প্রধানমন্ত্রী
১৮৮৫–১৯০১
উত্তরসূরী
দেব শমশের জঙ্গ বাহাদুর রাণা