উইকিপিডিয়া:খেলাঘর ২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট: স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করেছে
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
জন্ম তারিখ বিভ্রাট হতে মুক্তির উপায় !
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->
প্রিয় বৃষ্টি নীরস হয়ে অঝোরে ঝরে চললো অবিরাম ধারায় দুপুর অবধি; দিনাজপুরকে নিবিড়ভাবে দেখার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিলো। ক্ষণিকের জন্য হলেও বিকালে বৃষ্টিতে সদ্যস্নাত প্রকৃতি ও মাটির সেদা গন্ধের মাঝে রাম সাগর, রাজবাড়ী ও প্রমোদ তরীসহ শহরকে দেখার সুযোগ হলো। নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের রাজপথের পরিক্ষিত সাথী বিপ্লব এর আন্তরিকতা ও প্রয়াত তোফাজ্জেল চাচার ভালাবাসার টানে ভ্রমণপ্রেমী মনকে ফেলে রেখে আর ক্রিকেটে আমাদের ঝিনাইদহের অসফলতা মাথায় নিয়ে ১৭ এপ্রিল ১৭ সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে ভোরে এসে পৌঁছলাম নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর অব্যবস্থাপনা মোকাবেলা করে যার জলন্ত সাক্ষী সঙ্গে থাকা বন্ধু মাহমুদ।

তোফাজ্জেল চাচার স্মরণ সভা হতে নতুন করে আবার উপলব্ধি করেছি অর্থবিত্ত ক্ষণস্থায়ী, সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ কাজের ফসল মানুষের ভালোবাসা যা স্থায়ী; তার প্রতিফলন ঘটেছে অ্যাডভোকেট তোফাজ্জেল হোসেন স্মৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত ১৮ এপ্রিল ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ডাঃ কে, আহম্মেদ পৌর কমিউনিটি সেন্টার আর বোদ্ধাজনদের স্মৃতি কথার মধ্যে দিয়ে।

লাল ভাইয়ের সাবলীল উপস্থাপনায় ঝিনাইদহের অনেক বিজ্ঞ আইনজীবীসহ গুণীজনেরা আলোচনা করেছেন। আলোচনা করেছেন প্রয়াত চাচার শিক্ষক বহু ভাষাবিদ সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহাকবি মোঃ আবু বকর তাঁর বক্তব্য আমি সব সময় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। অ্যাডভোকেট আজিজ ভাই বলেছেন, “তোফাজ্জেল ভাই ও মতিয়ার ভাই ছিলেন নেতাদের নেতা।” আসলে এক সময় নিস্বার্থ, সৎ, আদর্শিক ও আপোষহীন জাতীয় নেতাদের নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানীর মতো মজলুম জননেতারা বলেই হয়তো দেশের সর্বস্তরে তোফাজ্জেল চাচাদের মতো ত্যাগী নেতাদের নেতা সৃষ্টি হয়েছিল; যার বড্ড অভাব এখন, তাইতো মেধাবী ও প্রকৃত নেতার আকাল চলছে।

ঝিনাইদহের এক সময়ের দায়রা জজ ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিকদার মকবুল হক দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন। অনেকে তিক্ত-বিরক্ত হয়ে সভা ছেড়ে চলে গেছেন। আমারও ঘাড়ের উপর একগাদা কাজ কড়া নাড়ছিল। দিনাজপুরে রেখে আসা তোফাজ্জেল, মাসুদ, “কান্তজির মন্দির”দেখে অভিভূত হয়ে বারবার ফোন দিচ্ছিল। ছোটবেলা হতে অনেকবার দেখা ঐ স্থাপনাটি যতবার দেখেছি নতুনরূপে আবিষ্কার করেছি, এ সব প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার বৈশিষ্ঠ হয়তো এমন, এ সমস্ত সাত-পাঁচের মধ্যে কিছু সময় ডুবে যেয়ে নিজের কাছে নিজেই লজ্জা পেলাম, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ ঢাকা থেকে এসে আমাদের প্রিয় মানুষটির জন্য দীর্ঘ সময় আলোচনা করে ক্লান্ত হচ্ছেন না আর আমরা শুনতে বিরক্ত হচ্ছি, অন্য চিন্তা করছি ..। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিকট হতে নতুনভাবে আবার শিখলাম উনি যখন বললেন, “সবাই মিলে আসুন দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করি, এতে ধর্মীয় কোনো বাঁধা নেই।”

মূলত: যে কারণে আমার এ লিখতে বসা সে প্রসঙ্গে আসি। দীর্ঘদিন একটি বিষয় আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তা আবার উক্ত সভার সভাপতি খোন্দকার হাফিজ ফারুক স্যার উস্কে দিলেন; তোফাজ্জেল চাচার প্রকৃত ও সনদের জন্ম তারিখের বিষয়টি উপস্থাপন করে। আমরা দেখেছি বড় দাদার ডাইরিতে দাদাদের, দাদার ডাইরিতে বাবার, বাবার ডাইরিতে আমাদের জন্ম তারিখ ও ক্ষণ তাঁদের নিজ হাতে লিপিবদ্ধ করা।

আমাদের মা পরম মমতায় সূই-সুতা দিয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের জন্ম তারিখ খোদায় করে লিখে গেছেন; বকুলের তখনও জন্ম হয়নি অর্থাৎ ৪৩ বছর ধরে যা সযত্নে আমাদের মনের আঙ্গিনায় টাঙানো আছে কিন্তু বিদ্যালয়ের অতি উৎসাহী কেরানী চাচা অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নিজের সন্তানতুল্য ছাত্রের আর একটি নতুন জন্ম তারিখ খেয়াল খুশি মতো সৃষ্টি করেছিলেন। তাইতো মাত্র এক বছর বয়স চুরির ফাঁদে পড়ে প্রকৃত জন্ম তারিখ ও সনটি গেল হারিয়ে।

এ যন্ত্রনায় ভুগতে দেখেছি অধিকাংশ মানুষের আমাদের বাপ-দাদাদের, ভুগছি আমরাসহ পরবর্তী প্রজন্ম। অবশ্য অঙ্গন এ দ্বন্দ্ব হতে মুক্ত কিন্তু আমরা অধিকাংশ অভিভাবক শিশুকাল হতে অবলীলায় সন্তানকে অসৎ হবার শিক্ষা দিচ্ছি আর ধ্বংস করছি তাদের মূলকে আর মুখে বলছি মানুষের মতো মানুষ হও! এ কেমন রসিকতা? এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি কারোর জানা আছে? আমাদের প্রকৃত জন্ম তারিখে সনদ প্রাপ্তির উপায় কি নেই ? তাহলে আসুন ভুক্তভোগিরা জোট বাঁধি; আর মিথ্যার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে মূল জন্মতারিখে ফিরে আসি।

০৩:০৭, ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রিয় বৃষ্টি নীরস হয়ে অঝোরে ঝরে চললো অবিরাম ধারায় দুপুর অবধি; দিনাজপুরকে নিবিড়ভাবে দেখার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিলো। ক্ষণিকের জন্য হলেও বিকালে বৃষ্টিতে সদ্যস্নাত প্রকৃতি ও মাটির সেদা গন্ধের মাঝে রাম সাগর, রাজবাড়ী ও প্রমোদ তরীসহ শহরকে দেখার সুযোগ হলো। নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের রাজপথের পরিক্ষিত সাথী বিপ্লব এর আন্তরিকতা ও প্রয়াত তোফাজ্জেল চাচার ভালাবাসার টানে ভ্রমণপ্রেমী মনকে ফেলে রেখে আর ক্রিকেটে আমাদের ঝিনাইদহের অসফলতা মাথায় নিয়ে ১৭ এপ্রিল ১৭ সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে ভোরে এসে পৌঁছলাম নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর অব্যবস্থাপনা মোকাবেলা করে যার জলন্ত সাক্ষী সঙ্গে থাকা বন্ধু মাহমুদ।

তোফাজ্জেল চাচার স্মরণ সভা হতে নতুন করে আবার উপলব্ধি করেছি অর্থবিত্ত ক্ষণস্থায়ী, সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ কাজের ফসল মানুষের ভালোবাসা যা স্থায়ী; তার প্রতিফলন ঘটেছে অ্যাডভোকেট তোফাজ্জেল হোসেন স্মৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত ১৮ এপ্রিল ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ডাঃ কে, আহম্মেদ পৌর কমিউনিটি সেন্টার আর বোদ্ধাজনদের স্মৃতি কথার মধ্যে দিয়ে।

লাল ভাইয়ের সাবলীল উপস্থাপনায় ঝিনাইদহের অনেক বিজ্ঞ আইনজীবীসহ গুণীজনেরা আলোচনা করেছেন। আলোচনা করেছেন প্রয়াত চাচার শিক্ষক বহু ভাষাবিদ সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহাকবি মোঃ আবু বকর তাঁর বক্তব্য আমি সব সময় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। অ্যাডভোকেট আজিজ ভাই বলেছেন, “তোফাজ্জেল ভাই ও মতিয়ার ভাই ছিলেন নেতাদের নেতা।” আসলে এক সময় নিস্বার্থ, সৎ, আদর্শিক ও আপোষহীন জাতীয় নেতাদের নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানীর মতো মজলুম জননেতারা বলেই হয়তো দেশের সর্বস্তরে তোফাজ্জেল চাচাদের মতো ত্যাগী নেতাদের নেতা সৃষ্টি হয়েছিল; যার বড্ড অভাব এখন, তাইতো মেধাবী ও প্রকৃত নেতার আকাল চলছে।

ঝিনাইদহের এক সময়ের দায়রা জজ ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিকদার মকবুল হক দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন। অনেকে তিক্ত-বিরক্ত হয়ে সভা ছেড়ে চলে গেছেন। আমারও ঘাড়ের উপর একগাদা কাজ কড়া নাড়ছিল। দিনাজপুরে রেখে আসা তোফাজ্জেল, মাসুদ, “কান্তজির মন্দির”দেখে অভিভূত হয়ে বারবার ফোন দিচ্ছিল। ছোটবেলা হতে অনেকবার দেখা ঐ স্থাপনাটি যতবার দেখেছি নতুনরূপে আবিষ্কার করেছি, এ সব প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার বৈশিষ্ঠ হয়তো এমন, এ সমস্ত সাত-পাঁচের মধ্যে কিছু সময় ডুবে যেয়ে নিজের কাছে নিজেই লজ্জা পেলাম, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ ঢাকা থেকে এসে আমাদের প্রিয় মানুষটির জন্য দীর্ঘ সময় আলোচনা করে ক্লান্ত হচ্ছেন না আর আমরা শুনতে বিরক্ত হচ্ছি, অন্য চিন্তা করছি ..। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিকট হতে নতুনভাবে আবার শিখলাম উনি যখন বললেন, “সবাই মিলে আসুন দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করি, এতে ধর্মীয় কোনো বাঁধা নেই।”

মূলত: যে কারণে আমার এ লিখতে বসা সে প্রসঙ্গে আসি। দীর্ঘদিন একটি বিষয় আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তা আবার উক্ত সভার সভাপতি খোন্দকার হাফিজ ফারুক স্যার উস্কে দিলেন; তোফাজ্জেল চাচার প্রকৃত ও সনদের জন্ম তারিখের বিষয়টি উপস্থাপন করে। আমরা দেখেছি বড় দাদার ডাইরিতে দাদাদের, দাদার ডাইরিতে বাবার, বাবার ডাইরিতে আমাদের জন্ম তারিখ ও ক্ষণ তাঁদের নিজ হাতে লিপিবদ্ধ করা।

আমাদের মা পরম মমতায় সূই-সুতা দিয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের জন্ম তারিখ খোদায় করে লিখে গেছেন; বকুলের তখনও জন্ম হয়নি অর্থাৎ ৪৩ বছর ধরে যা সযত্নে আমাদের মনের আঙ্গিনায় টাঙানো আছে কিন্তু বিদ্যালয়ের অতি উৎসাহী কেরানী চাচা অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নিজের সন্তানতুল্য ছাত্রের আর একটি নতুন জন্ম তারিখ খেয়াল খুশি মতো সৃষ্টি করেছিলেন। তাইতো মাত্র এক বছর বয়স চুরির ফাঁদে পড়ে প্রকৃত জন্ম তারিখ ও সনটি গেল হারিয়ে।

এ যন্ত্রনায় ভুগতে দেখেছি অধিকাংশ মানুষের আমাদের বাপ-দাদাদের, ভুগছি আমরাসহ পরবর্তী প্রজন্ম। অবশ্য অঙ্গন এ দ্বন্দ্ব হতে মুক্ত কিন্তু আমরা অধিকাংশ অভিভাবক শিশুকাল হতে অবলীলায় সন্তানকে অসৎ হবার শিক্ষা দিচ্ছি আর ধ্বংস করছি তাদের মূলকে আর মুখে বলছি মানুষের মতো মানুষ হও! এ কেমন রসিকতা? এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি কারোর জানা আছে? আমাদের প্রকৃত জন্ম তারিখে সনদ প্রাপ্তির উপায় কি নেই ? তাহলে আসুন ভুক্তভোগিরা জোট বাঁধি; আর মিথ্যার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে মূল জন্মতারিখে ফিরে আসি।