বটুকেশ্বর দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
== জেল জীবন == |
== জেল জীবন == |
||
গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক আইন ভঙ্গ ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রহসন করে ব্রিটিশ সরকার। জেলে তিনি এবং [[ভগৎ সিং]] ভারতীয় রাজনৈতিক জেলবন্দিদের সাথে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দীর অধিকারের দাবীতে এক ঐতিহাসিক [[অনশন|অনশনের]] উদ্যোগ নেন শুরু করেন এবং তাদের জন্য কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হন।<ref>[http://www.shahidbhagatsingh.org/index.asp?link=hunger_strike Bhagat Singh Documents] ''Hunger-strikers' Demands''</ref> এই অনশনে শহীদ হন বিপ্লবী যতীন দাস। ১৯৩৮ |
গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক আইন ভঙ্গ ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রহসন করে ব্রিটিশ সরকার। জেলে তিনি এবং [[ভগৎ সিং]] ভারতীয় রাজনৈতিক জেলবন্দিদের সাথে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দীর অধিকারের দাবীতে এক ঐতিহাসিক [[অনশন|অনশনের]] উদ্যোগ নেন শুরু করেন এবং তাদের জন্য কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হন।<ref>[http://www.shahidbhagatsingh.org/index.asp?link=hunger_strike Bhagat Singh Documents] ''Hunger-strikers' Demands''</ref> এই অনশনে শহীদ হন বিপ্লবী যতীন দাস। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বটুকেশ্বর মুক্তি পেলেও বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ তার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়। ১৯৪২ সালে আবার গ্রেপ্তার করে তাকে অন্তরীন রাখা হয় ৩ বছর। তিনি [[হিন্দুস্তান সমাজপ্রজাতান্ত্রিক সংস্থা|হিন্দুস্তান সমাজপ্রজাতান্ত্রিক সংস্থার]] একজন সদস্য ছিলেন। |
||
== প্রারম্ভিক জীবন == |
== প্রারম্ভিক জীবন == |
১৬:২৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বটুকেশ্বর দত্ত | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২০ জুলাই ১৯৬৫ নয়াদিল্লী, ভারত | (বয়স ৫৪)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
প্রতিষ্ঠান | হিন্দুস্তান সমাজপ্রজাতান্ত্রিক সংস্থা, নওজোয়ান ভারত সভা |
পরিচিতির কারণ | ভারতীয় মুক্তি যোদ্ধা |
বটুকেশ্বর দত্ত ⓘ ছিলেন উনিশ শতকের শূন্য দশকের একজন বাঙালি ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী এবং ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা।[২] ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল ভগৎ সিংয়ের সাথে নয়া দিল্লীর কেন্দ্রীয় সংসদ ভবনে বোমা ফাটানোর জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তারা পরিকল্পনা মোতাবেক দুটি বোমা ফেলেন, যাতে কারো কোনো ক্ষতি না হয়। ফরাসী নৈরাজ্যবাদী বিপ্লবী বৈলেয়ন্টের মতোই ভগৎ সিংহের বক্তব্য ছিল 'বধিরকে শোনাতে উচ্চকণ্ঠ প্রয়োজন'। বটুকেশ্বর দত্ত ও তিনি ইস্তাহার ছড়িয়ে দেন নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে, স্লোগান দেন এবং শান্তভাবে গ্রেপ্তারবরণ করেন।
জেল জীবন
গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক আইন ভঙ্গ ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রহসন করে ব্রিটিশ সরকার। জেলে তিনি এবং ভগৎ সিং ভারতীয় রাজনৈতিক জেলবন্দিদের সাথে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দীর অধিকারের দাবীতে এক ঐতিহাসিক অনশনের উদ্যোগ নেন শুরু করেন এবং তাদের জন্য কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হন।[৩] এই অনশনে শহীদ হন বিপ্লবী যতীন দাস। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বটুকেশ্বর মুক্তি পেলেও বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ তার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়। ১৯৪২ সালে আবার গ্রেপ্তার করে তাকে অন্তরীন রাখা হয় ৩ বছর। তিনি হিন্দুস্তান সমাজপ্রজাতান্ত্রিক সংস্থার একজন সদস্য ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
কানপুরে কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ ও ভগৎ সিং এর সংস্পর্শে আসেন এবং বিপ্লবী রাজনীতিতে যোগ দেন। বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি.কে নামে পরিচিত ছিলেন বটুকেশ্বর দত্ত।
মৃত্যু
এই সর্বস্বত্যাগী বিপ্লবীর শেষ জীবন বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। টিবি রোগাক্রান্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি পেলেও স্বাধীন ভারতে তার মূল্যায়ন হয়নি, দারিদ্রের সাথে লড়াই করে জীবন কেটেছে। স্বাধীনতার পর বিবাহ করে বিহারের পাটনায় বসবাস করতেন। সরকারি সাহায্য বা সম্মান বিশেষ কিছু পাননি। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পরিবহন ব্যবসা করতেন। ২০ জুলাই ১৯৬৫ দিল্লীর একটি হাসপাতালে প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Dutt DOB"।
- ↑ Śrīkr̥shṇa Sarala (১৯৯৯)। Indian Revolutionaries: A Comprehensive Study, 1757-1961। Ocean Books। পৃষ্ঠা 110–। আইএসবিএন 978-81-87100-18-8। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১২।
- ↑ Bhagat Singh Documents Hunger-strikers' Demands