বাণ্ডা সাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Tanay barisha (আলোচনা | অবদান) অ হালনাগাদ, সংশোধন |
|||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
| type = [[সাগর]] |
| type = [[সাগর]] |
||
| outflow = [[প্রশান্ত মহাসাগর]], [[টিমর সাগর]], [[মলুক্কা সাগর]], [[সেরাম সাগর]] |
| outflow = [[প্রশান্ত মহাসাগর]], [[টিমর সাগর]], [[মলুক্কা সাগর]], [[সেরাম সাগর]] |
||
| length = {{ |
| length = {{রূপান্তর|1000|km|mi|abbr=on}} |
||
| width = {{ |
| width = {{রূপান্তর|500|km|mi|abbr=on}} |
||
}} |
}} |
||
১৭ নং লাইন: | ১৭ নং লাইন: | ||
[[আন্তর্জাতিক জল সর্বেক্ষণ সংগঠন]] (ইং: International Hydrographic Organization বা IHO বা আইএইচও) বান্ডা সাগরকে [[পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ]] অঞ্চলের জল হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। আইএইচও নিম্নোলিখিত ভাবে বান্ডা সাগরের সীমানা নির্ধারন করেছে:<ref> |
[[আন্তর্জাতিক জল সর্বেক্ষণ সংগঠন]] (ইং: International Hydrographic Organization বা IHO বা আইএইচও) বান্ডা সাগরকে [[পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ]] অঞ্চলের জল হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। আইএইচও নিম্নোলিখিত ভাবে বান্ডা সাগরের সীমানা নির্ধারন করেছে:<ref> |
||
{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
||
| |
|ইউআরএল=http://www.iho.int/iho_pubs/standard/S-23/S-23_Ed3_1953_EN.pdf |
||
| |
|শিরোনাম=Limits of Oceans and Seas, 3rd edition |
||
| |
|বছর=১৯৫৩ |
||
| |
|প্রকাশক=International Hydrographic Organization |
||
| |
|সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুন ২০১৮ |
||
|df=dmy }} |
|df=dmy }} |
||
</ref> |
</ref> |
||
২৭ নং লাইন: | ২৭ নং লাইন: | ||
''উত্তরে'' মোলুক্কা সাগরের দক্ষিণ সীমান্ত এবং সেরাম সাগরের পশ্চিম এবং দক্ষিণ সীমান্ত। |
''উত্তরে'' মোলুক্কা সাগরের দক্ষিণ সীমান্ত এবং সেরাম সাগরের পশ্চিম এবং দক্ষিণ সীমান্ত। |
||
</blockquote><blockquote> |
</blockquote><blockquote> |
||
''পূর্বে'' নোয়েহোয়ে তিয়োএত কাই বেসারের উত্তর বিন্দু তগ বোরাং থেকে এই দ্বীপ বরাবর দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর এই দ্বীপ বরাবর ফোরদাতার উত্তর-পূর্ব বিন্দু অবধি, এবং লারাতের এর উত্তরপূর্ব বিন্দু টানিম্বার দ্বীপ ({{ |
''পূর্বে'' নোয়েহোয়ে তিয়োএত কাই বেসারের উত্তর বিন্দু তগ বোরাং থেকে এই দ্বীপ বরাবর দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর এই দ্বীপ বরাবর ফোরদাতার উত্তর-পূর্ব বিন্দু অবধি, এবং লারাতের এর উত্তরপূর্ব বিন্দু টানিম্বার দ্বীপ ({{স্থানাঙ্ক|7|06|S|131|55|E|display=inline}}) দিয়ে য়ামদেনা দ্বীপের পূর্ব উপকূল বরাবর তার দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর আঙ্গারমাসার মধ্যে দিয়ে সেলারোয়ের উত্তর বিন্দু অবধি, এবং তারপর এই দ্বীপের মধ্যে দিয়ে তার দক্ষিণ বিন্দু তগ আরো ওয়েসোয়ে ({{স্থানাঙ্ক|8|21|S|130|45|E|display=inline}}) অবধি। |
||
</blockquote><blockquote> |
</blockquote><blockquote> |
||
''দক্ষিণে'' তানজং আরো ওয়েসোয়ে বরাবর, তারপর সেরমাটার মধ্যে দিয়ে লাকোর ''sic'' (লাকোভ), মোয়া এবং লেতি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব বিন্দু তানজং নজাদোরা থেকে লেতির পশ্চিম বিন্দু তানজং তোয়েত পাতেহ অবধি, তারপর [[তিমুর|তিমুরের]] পূর্ব সীমান্তে তানজং সেউইরাওয়া বরাবার, এবং উত্তর উপকূল বরাবর ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবধি। |
''দক্ষিণে'' তানজং আরো ওয়েসোয়ে বরাবর, তারপর সেরমাটার মধ্যে দিয়ে লাকোর ''sic'' (লাকোভ), মোয়া এবং লেতি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব বিন্দু তানজং নজাদোরা থেকে লেতির পশ্চিম বিন্দু তানজং তোয়েত পাতেহ অবধি, তারপর [[তিমুর|তিমুরের]] পূর্ব সীমান্তে তানজং সেউইরাওয়া বরাবার, এবং উত্তর উপকূল বরাবর ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবধি। |
||
</blockquote><blockquote> |
</blockquote><blockquote> |
||
''পশ্চিমে'' ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে তিমুরের উত্তর উপকূলের এক বিন্দু থেকে আলোর দ্বীপ অবধি, তারপর আলোর, পান্তার, লোমব্লেন এবং আদোয়েনারা দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব দিক ঘুরে উত্তর উপকূল বরাবর, তারপর ফ্লোরেস প্রনালীর উত্তর প্রান্তের মধ্যে দিয়ে ফ্লোরেসের পূর্ব সীমান্ত তানজং সেরবেতে অবধি, তারপর তার উত্তর বিন্দুর ({{ |
''পশ্চিমে'' ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে তিমুরের উত্তর উপকূলের এক বিন্দু থেকে আলোর দ্বীপ অবধি, তারপর আলোর, পান্তার, লোমব্লেন এবং আদোয়েনারা দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব দিক ঘুরে উত্তর উপকূল বরাবর, তারপর ফ্লোরেস প্রনালীর উত্তর প্রান্তের মধ্যে দিয়ে ফ্লোরেসের পূর্ব সীমান্ত তানজং সেরবেতে অবধি, তারপর তার উত্তর বিন্দুর ({{স্থানাঙ্ক|8|04|S|122|52|E|display=inline}}) এক সীমারেখা থেকে কালাওতোয়া দ্বীপ ({{স্থানাঙ্ক|7|24|S|121|52|E|display=inline}}) অবধি, এবং পুলো সালায়ার এবং এর অন্তবর্তী দ্বীপমালার মধ্যে দিয়ে, এই দ্বীপের মধ্যে দিয়ে প্রনালী বরাবর সেলেবেসের তাজং লাস্সা ({{স্থানাঙ্ক|5|37|S|120|28|E|display=inline}}) অবধি, তারপর বোনির উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর সেলেবেসের পূর্ব উপকূল হয়ে তানজং বোতোক ({{স্থানাঙ্ক|1|04|S|123|19|E|display=inline}}) অবধি। |
||
</blockquote> |
</blockquote> |
||
৫০ নং লাইন: | ৫০ নং লাইন: | ||
উত্তর-পূর্বে রয়েছে [[পশ্চিম পাপুয়া]]র ''পক্ষীশীর'' পাতের নিম্নস্খলনীয় অঞ্চলের উপর অবস্থিত [[সেরাম দ্বীপ]]।<ref name="UN"> |
উত্তর-পূর্বে রয়েছে [[পশ্চিম পাপুয়া]]র ''পক্ষীশীর'' পাতের নিম্নস্খলনীয় অঞ্চলের উপর অবস্থিত [[সেরাম দ্বীপ]]।<ref name="UN"> |
||
{{বই উদ্ধৃতি |
{{বই উদ্ধৃতি |
||
| |
|শিরোনাম=Atlas of mineral resources of the ESCAP region Volume 17 Geology and Mineral Resources of Timor-Leste |
||
| |
|প্রকাশক=United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific |
||
| |
|ইউআরএল=http://www.unescap.org/esd/publications/AMRS17.pdf |
||
| |
|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20050520180705/http://www.unescap.org/esd/water/publications/mineral/amrs/vol17/Chapter%20II%28new%29.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=২০ মে ২০০৫ |
||
| |
|অধ্যায়=Chapter II (Geology of Timor-Leste) |
||
| |
|তারিখ=২৪ ডিসেম্বর ২০০৩ |
||
|অকার্যকর-ইউআরএল=yes }} |
|||
|deadurl=yes }} |
|||
</ref> |
</ref> |
||
== ভূকম্পন == |
== ভূকম্পন == |
||
৬৭ নং লাইন: | ৬৬ নং লাইন: | ||
* ১৯৩৮-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ১লা ফেব্রুয়ারী বান্ডা সমুদ্র অঞ্চলে ঘটে। মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেলে এটির মাপ ছিল ৮.৪ এবং মেরকাল্লি তীব্রতা স্কেলে মাপ ছিল VII (অতি তীব্র) । এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছে, কিন্তু কোন মানুষই হারিয়ে যায়নি। এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু কোন প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।<ref name=Engdahl> |
* ১৯৩৮-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ১লা ফেব্রুয়ারী বান্ডা সমুদ্র অঞ্চলে ঘটে। মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেলে এটির মাপ ছিল ৮.৪ এবং মেরকাল্লি তীব্রতা স্কেলে মাপ ছিল VII (অতি তীব্র) । এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছে, কিন্তু কোন মানুষই হারিয়ে যায়নি। এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু কোন প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।<ref name=Engdahl> |
||
{{বই উদ্ধৃতি |
{{বই উদ্ধৃতি |
||
| |
|শিরোনাম=International Handbook of Earthquake & Engineering Seismology |
||
| |
|ধারাবাহিক=Part A, Volume 81A |
||
| |
|অধ্যায়=Global seismicity: 1900–1999 |
||
| |
|প্রথমাংশ=E. R. |শেষাংশ=Engdahl |
||
| |
|প্রথমাংশ২=A. |শেষাংশ২=Vallaseñor |
||
| |
|বছর=২০০২ |
||
| |
|ইউআরএল=https://earthquake.usgs.gov/data/centennial/centennial.pdf |
||
| |
|প্রকাশক=Academic Press |
||
| |
|সংস্করণ=First |
||
| |
|আইএসবিএন=978-0124406520 |
||
| |
|পাতা=৬৭৭}} |
||
</ref> |
</ref> |
||
* ২০০৬-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ২৬শে জানুয়ারি ঘটে। এর মাপ ছিল ৭.৬, এবং এটির উৎপত্তি স্থল ছিল আম্বন দ্বীপের ২০০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পূর্ব তিমুরের ৪৪৫ কি.মি উত্তরে, ভূত্বকের থেকে ৩৯৭ কি.মি. নীচে। এই ভূকম্পনটির কারণ ছিল তিমুর খাতে তিমুর পাতের নীচে অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলন। <ref name=Intensity> |
* ২০০৬-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ২৬শে জানুয়ারি ঘটে। এর মাপ ছিল ৭.৬, এবং এটির উৎপত্তি স্থল ছিল আম্বন দ্বীপের ২০০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পূর্ব তিমুরের ৪৪৫ কি.মি উত্তরে, ভূত্বকের থেকে ৩৯৭ কি.মি. নীচে। এই ভূকম্পনটির কারণ ছিল তিমুর খাতে তিমুর পাতের নীচে অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলন। <ref name=Intensity> |
||
{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
||
| |
|শিরোনাম=M7.6 - Banda Sea |
||
| |
|ইউআরএল=https://earthquake.usgs.gov/earthquakes/eventpage/usp000e8ys#general_summary |
||
| |
|লেখক=USGS |
||
| |
|প্রকাশক=United States Geological Survey}} |
||
</ref> |
</ref> |
||
৯৭ নং লাইন: | ৯৬ নং লাইন: | ||
{{সাগরের তালিকা}}--> |
{{সাগরের তালিকা}}--> |
||
{{ |
{{স্থানাঙ্ক|6|S|127|E|type:waterbody_scale:5000000|display=title}} |
||
<!--{{Use dmy dates|date=August 2011}}--> |
<!--{{Use dmy dates|date=August 2011}}--> |
||
[[বিষয়শ্রেণী:উপকূলবর্তী দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া]] |
[[বিষয়শ্রেণী:উপকূলবর্তী দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া]] |
||
<!--[[Category:Tropical and subtropical moist broadleaf forests]]--> |
<!--[[Category:Tropical and subtropical moist broadleaf forests]]--> |
||
[[বিষয়শ্রেণী: |
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলেশীয় বাস্তব্যাঞ্চল]] |
১৬:২৬, ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বান্ডা সাগর | |
---|---|
ধরন | সাগর |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | প্রশান্ত মহাসাগর, টিমর সাগর, মলুক্কা সাগর, সেরাম সাগর |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ১,০০০ কিমি (৬২০ মা) |
সর্বাধিক প্রস্থ | ৫০০ কিমি (৩১০ মা) |
বান্ডা সাগর প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপপুঞ্জের একটি সাগর, যেটি শতাধিক দ্বীপপুঞ্জ, হালমাহেরা সাগর এবং সেরাম সাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০০ কি.মি. (৬২০ মাইল) এবং উত্তর থেকে দক্ষিনে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ কি.মি. (৩১০ মাইল)
ব্যাপ্তি
আন্তর্জাতিক জল সর্বেক্ষণ সংগঠন (ইং: International Hydrographic Organization বা IHO বা আইএইচও) বান্ডা সাগরকে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলের জল হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। আইএইচও নিম্নোলিখিত ভাবে বান্ডা সাগরের সীমানা নির্ধারন করেছে:[১]
উত্তরে মোলুক্কা সাগরের দক্ষিণ সীমান্ত এবং সেরাম সাগরের পশ্চিম এবং দক্ষিণ সীমান্ত।
পূর্বে নোয়েহোয়ে তিয়োএত কাই বেসারের উত্তর বিন্দু তগ বোরাং থেকে এই দ্বীপ বরাবর দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর এই দ্বীপ বরাবর ফোরদাতার উত্তর-পূর্ব বিন্দু অবধি, এবং লারাতের এর উত্তরপূর্ব বিন্দু টানিম্বার দ্বীপ (৭°০৬′ দক্ষিণ ১৩১°৫৫′ পূর্ব / ৭.১০০° দক্ষিণ ১৩১.৯১৭° পূর্ব) দিয়ে য়ামদেনা দ্বীপের পূর্ব উপকূল বরাবর তার দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর আঙ্গারমাসার মধ্যে দিয়ে সেলারোয়ের উত্তর বিন্দু অবধি, এবং তারপর এই দ্বীপের মধ্যে দিয়ে তার দক্ষিণ বিন্দু তগ আরো ওয়েসোয়ে (৮°২১′ দক্ষিণ ১৩০°৪৫′ পূর্ব / ৮.৩৫০° দক্ষিণ ১৩০.৭৫০° পূর্ব) অবধি।
দক্ষিণে তানজং আরো ওয়েসোয়ে বরাবর, তারপর সেরমাটার মধ্যে দিয়ে লাকোর sic (লাকোভ), মোয়া এবং লেতি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব বিন্দু তানজং নজাদোরা থেকে লেতির পশ্চিম বিন্দু তানজং তোয়েত পাতেহ অবধি, তারপর তিমুরের পূর্ব সীমান্তে তানজং সেউইরাওয়া বরাবার, এবং উত্তর উপকূল বরাবর ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবধি।
পশ্চিমে ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে তিমুরের উত্তর উপকূলের এক বিন্দু থেকে আলোর দ্বীপ অবধি, তারপর আলোর, পান্তার, লোমব্লেন এবং আদোয়েনারা দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব দিক ঘুরে উত্তর উপকূল বরাবর, তারপর ফ্লোরেস প্রনালীর উত্তর প্রান্তের মধ্যে দিয়ে ফ্লোরেসের পূর্ব সীমান্ত তানজং সেরবেতে অবধি, তারপর তার উত্তর বিন্দুর (৮°০৪′ দক্ষিণ ১২২°৫২′ পূর্ব / ৮.০৬৭° দক্ষিণ ১২২.৮৬৭° পূর্ব) এক সীমারেখা থেকে কালাওতোয়া দ্বীপ (৭°২৪′ দক্ষিণ ১২১°৫২′ পূর্ব / ৭.৪০০° দক্ষিণ ১২১.৮৬৭° পূর্ব) অবধি, এবং পুলো সালায়ার এবং এর অন্তবর্তী দ্বীপমালার মধ্যে দিয়ে, এই দ্বীপের মধ্যে দিয়ে প্রনালী বরাবর সেলেবেসের তাজং লাস্সা (৫°৩৭′ দক্ষিণ ১২০°২৮′ পূর্ব / ৫.৬১৭° দক্ষিণ ১২০.৪৬৭° পূর্ব) অবধি, তারপর বোনির উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর সেলেবেসের পূর্ব উপকূল হয়ে তানজং বোতোক (১°০৪′ দক্ষিণ ১২৩°১৯′ পূর্ব / ১.০৬৭° দক্ষিণ ১২৩.৩১৭° পূর্ব) অবধি।
দ্বীপসমূহ
বান্ডা সাগরের সীমান্তবর্তী দ্বীপগুলি হল পশ্চিমে সুলাওয়েসি, পূর্বে বুরু, আমবোন, সেরাম, আরু, বারাট ডায়া, টানিমবার, কাই এবং তিমুর. যদিও ছোট ছোট পাথুরে দ্বীপের জন্য সমুদ্রের সীমানা নৌচালনার জন্য বিপজ্জনক, সমুদ্রের মধ্যবর্তী এলাকা অপেক্ষাকৃত উন্মুক্ত। সমুদ্রের মধ্যে দ্বীপমালাগুলির মধ্যে বান্ডা দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। বান্ডা সাগরের কয়েকটি দ্বীপ, যেমন গুনুং আপি এবং মানুক, সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।
বান্ডা সাগরের ভূত্বকীয় পাতসমূহের ক্রিয়াকলাপ
বান্ডা বৃত্তচাপ তার ১৮০° বক্রতার জন্য বিখ্যাত, তিমুরে অবস্থিত, এবং সর্বজনীনভাবে অনুমোদিত যে অস্ট্রলীয় মহাদেশীয় প্রান্তের সঙ্গে একটি আগ্নেয় বৃত্তচাপের ধাক্কার ফলে এর সৃষ্টি হয়েছিল।[২][৩] বান্ডা সাগরীয় পাতের প্রধান অংশ বান্ডা সাগর দ্বারা পরিব্যাপ্ত। সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত নিম্নস্খলনীয় এলাকার উপরের দ্বীপ বৃত্তচাপ দ্বারা গঠিত। সুন্ডা খাতের পূর্বে তিমুর খাত অবস্থিত, টানিম্বার খাত টানিম্বার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত এবং আরু খাত আরু দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থিত। এই খাতগুলি বান্ডা সাগরীয় পাতের নীচে ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলনীয় অঞ্চল, এবং এখানে ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতটি উত্তরদিকে অপসারিত হয়। ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাত দ্বারা ধীরে উত্তরদিকে বাহিত অগ্র-বৃত্তচাপীয় পলি ভাঁজ এবং চ্যুত হয়ে তিমুর দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর-পূর্বে রয়েছে পশ্চিম পাপুয়ার পক্ষীশীর পাতের নিম্নস্খলনীয় অঞ্চলের উপর অবস্থিত সেরাম দ্বীপ।[৪]
ভূকম্পন
এই অঞ্চলে ইউরেশীয়, প্রশান্ত এবং ইন্দো-অস্ট্রেলীয় ভূত্বকীয় পাতের সংগমস্থল হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে অধিক পরিমানে ভূমিকম্প হয়।
- ১৯৩৮-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ১লা ফেব্রুয়ারী বান্ডা সমুদ্র অঞ্চলে ঘটে। মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেলে এটির মাপ ছিল ৮.৪ এবং মেরকাল্লি তীব্রতা স্কেলে মাপ ছিল VII (অতি তীব্র) । এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছে, কিন্তু কোন মানুষই হারিয়ে যায়নি। এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু কোন প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।[৫]
- ২০০৬-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ২৬শে জানুয়ারি ঘটে। এর মাপ ছিল ৭.৬, এবং এটির উৎপত্তি স্থল ছিল আম্বন দ্বীপের ২০০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পূর্ব তিমুরের ৪৪৫ কি.মি উত্তরে, ভূত্বকের থেকে ৩৯৭ কি.মি. নীচে। এই ভূকম্পনটির কারণ ছিল তিমুর খাতে তিমুর পাতের নীচে অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলন। [৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Limits of Oceans and Seas, 3rd edition" (পিডিএফ)। International Hydrographic Organization। ১৯৫৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮।
- ↑ Carter, D. J., Audley-Charles, M. G. & Barber, A. J. Stratigraphical analysis of island arc-continental margin collision in eastern Indonesia. J. Geol. Soc. Lond. 132, ১৭৯-১৮৯ (১৯৭৬).
- ↑ Hamilton, W. Tectonics of the Indonesian Region Vol. 1078 (US Geol. Soc. Prof. Pap., ১৯৭৯).
- ↑ "Chapter II (Geology of Timor-Leste)"। Atlas of mineral resources of the ESCAP region Volume 17 Geology and Mineral Resources of Timor-Leste (পিডিএফ)। United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific। ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩। ২০ মে ২০০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Engdahl, E. R.; Vallaseñor, A. (২০০২)। "Global seismicity: 1900–1999"। International Handbook of Earthquake & Engineering Seismology (পিডিএফ)। Part A, Volume 81A (First সংস্করণ)। Academic Press। পৃষ্ঠা ৬৭৭। আইএসবিএন 978-0124406520।
- ↑ USGS। "M7.6 - Banda Sea"। United States Geological Survey।
গ্রন্থপঞ্জি
- পন্ডার, এইচ. ডাব্লিউ. (১৯৪৪) ইন জাভানিজ ওয়াটার্স; সাম সাইডলাইটস অন আ ফিউ অফ দ্য কাউন্টলেস লাভলি, লিটল নোন আইল্যান্ডস স্ক্যাটার্ড ওভার দ্য বান্ডা সী অ্যান্ড সাম গ্লীম্পসেস অফ দেয়ার স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড স্টর্মী হিস্ট্রি, লন্ডন, সীলে, সার্ভিস অ্যান্ড কোং লিমিটেড।
- প্যাট্রিক ডি. নান (১৯৯৪), ওশেনিক আইল্যান্ডস, অক্সফোর্ড, গ্রেট ব্রিটেন, ব্ল্যাকওয়েল