সেরাম দ্বীপ
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Indonesia Maluku" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Indonesia Maluku" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়। | |
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | ওসেনিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩°০৮′ দক্ষিণ ১২৯°৩০′ পূর্ব / ৩.১৩৩° দক্ষিণ ১২৯.৫০০° পূর্ব |
দ্বীপপুঞ্জ | মালুকু দ্বীপপুঞ্জ |
আয়তন | ১৭,১০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৬০০ বর্গমাইল) |
আয়তনে ক্রম | 52nd |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৩,০২৭ মিটার (৯,৯৩১ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | বিনাইয়া |
প্রশাসন | |
ইন্দোনেশিয়া | |
রাজ্য | মালুকু |
প্রশাসনিক অঞ্চল | কেন্দ্রীয় মালুকু, পূর্ব সেরাম, পশ্চিম সেরাম |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৪৩৪১১৩ (২০১০) |
জনঘনত্ব | ২৫.৪ /বর্গ কিমি (৬৫.৮ /বর্গ মাইল) |
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহ | মানুসেলা, নুয়াওলু |
অতিরিক্ত তথ্য | |
সময় অঞ্চল |
সেরাম দ্বীপ (আগে সেরান অথবা সেরাং নামেও ডাকা হতো) ইন্দোনেশিয়ার মালুকু রাজ্যের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় দ্বীপ। যদিও একই রাজ্যে আম্বন দ্বীপের যথেষ্ট ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। তবুও আম্বন দ্বীপ প্রধান দ্বীপ নয়। তাছাড়াও এটি ছোট আকৃতির দ্বীপ। আম্বন দ্বীপের উত্তর দিকে সেরাম দ্বীপের অবস্থান। সেরাম দ্বীপের আশপাশে আরো কিছু দ্বীপ রয়েছে যেমন হারুকু, নুসালাউত, বান্ডা এবং সাপুয়ারা।
ভূগোল এবং ভূতত্ত্ব
[সম্পাদনা]দ্বীপটির পুরোটাই পর্বত শ্রেণী দ্বারা আবৃত। সবচেয়ে বড় পর্বতটির নাম বিনাইয়া। আর এটি ঘন অতিবৃষ্টি অরণ্য দিয়ে আবৃত। সেরাম দ্বীপ যে জায়গায় অবস্থিত সেই জায়গাটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল জায়গাগুলোর একটি বলা হয়।[১][২] কারণ ঠিক এই জায়গাতেই অনেকগুলো টেকটোনিক মাইক্রোপ্লেট একসাথে এসে যুক্ত হয়েছে। দ্বীপটির সওয়াই পর্বতের হাতু সাকা নামে একটি গুহা রয়েছে। এই গুহাটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে গভীরতম গুহা (-৩৮৮ মি)। আবার দ্বীপটির উত্তর সৈকতের কাছে, তানিওয়েল জেলাতে, সাপালেয়া নামে একটি ভূগর্ভস্থ নদী রয়েছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ নদী।[৩][৪][৫]
২০১০ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী দ্বীপটির জনসংখ্যা ছিল ৪,৩৪,১১৩ জন।[৬]
বাস্তুসংস্থান
[সম্পাদনা]সেরাম দ্বীপে অনেক প্রজাতির পাখির বসবাস লক্ষ্য করা গেছে।[৭] দ্বীপটিতে প্রায় ১১৭ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ টি প্রজাতির পাখি শুধুমাত্র এই দ্বীপটিতেই পাওয়া যায়।[৮]
এই দ্বীপে বেশ কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ঘর নেঙটি ইঁদুর এবং অস্ট্রেলিয়ার মারসুপিয়ালস অন্যতম। দ্বীপটির পর্বতশ্রেণীতে ৩৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৯টি প্রজাতি শুধুমাত্র এই দ্বীপটিতেই পাওয়া যায়।[৯]
দ্বীপটির বিভিন্ন নদীতে লোনা পানির কুমিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। বিশেষ করে সালাওয়াই নদীতেও এ জাতীয় কুমির খুঁজে পাওয়া গেছে।
১৯৯৭ সালে দ্বীপটির পূর্বাঞ্চলে মানুসেলা জাতীয় উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আয়তন ১৮৯০ বর্গ কিলোমিটার। যা দ্বীপটির মোট আয়তনের ১১%।
প্রসাশন
[সম্পাদনা]সেরাম দ্বীপটি মালুকু রাজ্যের অন্তর্গত। দ্বীপটিকে মোট তিনটি প্রধান প্রসাশনিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে পশ্চিম সেরাম। এর রাজধানীর নাম দেতারান হুনিপপু। ২০০৩ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ১৪০৬৫৭। দ্বিতীয় প্রশাসনিক অঞ্চলটির নাম পূর্বাঞ্চলীয় সেরাম। এর রাজধানীর নাম দেতারান হুনিমোয়া। ২০০৩ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ৭৮৩৩৬। দ্বীপটির মধ্যখানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মালুকু প্রশাসনিক অঞ্চল। এর রাজধানীর নাম মাসোহি। সেরাম দ্বীপের আশপাশে আরো ক্ষুদ্রাকৃতি দ্বীপও এর অংশবিশেষ।
ধর্ম
[সম্পাদনা]প্রাচীনকালে সেরামের বসবাসরত মানুষ প্রকৃতিপূজাতেই বিশ্বাস করত। বাইরের মানুষের আগমন কিংবা ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে হোক, বর্তমানে সেরামের বেশিরভাগ মানুষ হয় খ্রিস্টান নয়তো বোদ্ধ।[১০] ১৯৯৮ সালে ধর্মীয় দাঙ্গার কারণে এখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়। ২০০২ সালে দ্বিতীয় মালিনো ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়। সেরামে ধর্মীয় কারণে দাঙ্গা-হাঙ্গামা খুব একটা ছিল না। তবে মাসোহি শহরে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের মধ্যে বিদ্বেষ ছিল। এছাড়াও এই দ্বীপে মানুসেলা উপজাতীদের মধ্যে ৭০০০ মানুষ হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করে।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]নারিকেলের শুষ্ক আঁশ, রজন, সাগো এবং মাছ এই দ্বীপের প্রধান উৎপাদন সামগ্রী। দীপের উত্তর-পূর্ব দিকে তেল উৎপাদন করা হয়।[১১][১২] ২০০৬ সাল পর্যন্ত কে ইউএফপইসি তেল উৎপাদন করতো। পরবর্তীতে সিটিক সেরাম এনার্জি এই দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০১০ সাল পর্যন্ত দ্বীপটিতে প্রায় ৯৭ লক্ষ ব্যারেল তেল সংরক্ষিত ছিল।[১৩][১৪]
See also
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Cooper, Ian। "Seram Geology"। ৬ জানুয়ারি ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Linthout, Kees; Hendrik Helmers (জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪)। "Pliocene obducted, rotated and migrated ultramafic rocks and obduction-induced anatectic granite, SW Seram and Ambon, Eastern Indonesia"। Journal of Southeast Asian Earth Sciences। 9 (1–2): 95–109। ডিওআই:10.1016/0743-9547(94)90068-X। বিবকোড:1994JAESc...9...95L।
- ↑ Baroncini-Turricchia, Guido; Benassi, Andrea (২০১২), Cave and Karst Prospecting within Seram Island (Maluku Province) Indonesia, সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৫
- ↑ Benassi, Andrea (২০১৫), Seram 2015: Seram Barat, Maluku, Indonesia Sapalewa
- ↑ Benassi, Andrea; Pasquini, Thomas, Seram l'isola dei fiumi perduti, সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২০
- ↑ "Hasil Sensus Penduduk 2010 : Agregat Data per Kecamatan" (পিডিএফ)। Sp2010.bps.go.id। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-২১।
- ↑ BirdLife International: Saving Asia's threatened birds ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ নভেম্বর ২০১০ তারিখে, 2003, retrieved 19 May 2010
- ↑ "Manusela National Park"। Inonesian Ministry of Forestry। ২০১০-১২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১০।,
- ↑ "Seram rain forests"। Terrestrial Ecoregions। World Wildlife Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১০।
- ↑ "Indonesia"। Human Rights Watch। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-২০।
- ↑ "Oil"। Seram Non-Bula Block, Indonesia। CITIC Resources Holdings Limited। ২০১৩-০৪-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Indonesia"। Kuwait Foreign Petroleum Exploration Company। ৯ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Hu xueyan (মে ২০১১)। "The application of seismic anisotropy technology in fractured carbonate reservoir" (পিডিএফ)। 73rd EAGE Conference & Exhibition। LandOcean Energy Services। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Seram (non-Bula) projects"। Lion Energy Limited। ২০০৭-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।