রাজবাড়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tanmoy Datta (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Tanmoy Datta (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
| settlement_type = শহর
| settlement_type = শহর
| image_skyline =
| image_skyline =
<gallery>
উদাহরণ.jpg|ক্যাপশন১
উদাহরণ.jpg|ক্যাপশন২
</gallery>
<gallery>
<gallery>



১৭:৫১, ২৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রাজবাড়ী
শহর

রাজবাড়ী শহর(ইংরেজি: Rajbari Town[১]) বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা শহর। পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত এই শহর ঢাকা বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা শহর। রাজবাড়ী শহরের জনসংখ্যা প্রায়

৬০,০০০। এই শহরটি রেলের শহর  নামেও পরিচিত। এখানে দেশের সেরা মিষ্টিজাত দ্রব্য উৎপন্ন হয়।

নামকরণের ইতিহাস

রাজবাড়ী যে কোন রাজার বাড়ীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে কখন থেকে ও কোন রাজার নামানুসারে রাজবাড়ী নামটি এসেছে তার সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলার রেল ভ্রমণ পুস্তকের (এল.এন. মিশ্র প্রকাশিত ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্যালকাটা ১৯৩৫) একশ নয় পৃষ্ঠায় রাজবাড়ী সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খান ঢাকায় সুবাদার নিযুক্ত হয়ে আসেন। এ সময় এ অঞ্চলে পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমনের জন্যে তিনি সংগ্রাম শাহকে নাওয়ারা প্রধান করে পাঠান। তিনি বানিবহতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং লালগোলা নামক স্থানে দুর্গ নির্মাণ করেন। এ লালগোলা দুর্গই রাজবাড়ী শহরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বর্তমানে লালগোলা গ্রাম নামে পরিচিত। সংগ্রাম শাহ্ ও তাঁর পরিবার পরবর্তীকালে বানিবহের নাওয়ারা চৌধুরী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

এল.এন. মিশ্র উক্ত পুস্তকে উল্লেখ করেন যে, রাজা সংগ্রাম শাহের রাজদরবার বা রাজকাচারী ও প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী অফিস বর্তমান রাজবাড়ী এলাকাকে কাগজে কলমে রাজবাড়ী লিখতেন (লোকমুখে প্রচলিত)। ঐ পুস্তকের শেষের পাতায় রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে রাজবাড়ী নামটি লিখিত পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশনটি ১৮৯০ সালে স্থাপিত হয়। ঐতিহাসিক আনন্দনাথ রায় ফরিদপুরের ইতিহাস পুস্তকে বানিবহের বর্ণনায় লিখেছেন - নাওয়ারা চৌধুরীগণ পাঁচথুপি থেকে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে বানিবহে এসে বসবাস শুরু করেন। বানিবহ তখন ছিল জনাকীর্ণ স্থান। বিদ্যাবাগিশ পাড়া, আচার্য পাড়া, ভট্টাচার্য পাড়া, শেনহাটিপাড়া, বসুপাড়া, বেনেপাড়া, নুনেপাড়া নিয়ে ছিল বানিবহ এলাকা। নাওয়ারা চৌধুরীগণের বাড়ি স্বদেশীগণের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত ছিল। মতান্তরে রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ হয়। রাজা সূর্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মচারী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এসে আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সুর্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ করা হয় ১৮৯০ সালে। বিভিন্ন তথ্য হতে জানা যায় যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে করার দাবি তোলা হলে বানিবহের জমিদারগণ প্রবল আপত্তি তোলেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যে স্থানটিতে রাজবাড়ী রেল স্টেশন অবস্থিত উক্ত জমির মালিকানা ছিল বানিবহের জমিদারগণের। তাঁদের প্রতিবাদের কারণেই স্টেশনের নাম রাজবাড়ীই থেকে যায়। এ সকল বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয় যে, রাজবাড়ী নামটি বহু পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল। এলাকার নাওয়ারা প্রধান, জমিদার, প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিগণ রাজা বলে অভিহিত হতেন। তবে রাজা সূর্য কুমার ও তাঁর পূর্ব পুরুষগণের লক্ষীকোলের বাড়ীটি লোকমুখে রাজার বাড়ি বলে সমধিক পরিচিত ছিল। এভাবেই আজকের রাজবাড়ী।

পৌর প্রশাসন

শিক্ষা

চিত্তাকর্ষ‌ক স্থান

১। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন

২। গোদার বাজার (পদ্মানদী)

৩। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় লাল ভবন

৪। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ

৫। মেইন স্ট্রিট

প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী

৬। রাজবাড়ী শিশু পার্ক

৭। রাজবাড়ী অ্যাক্রোবেটিক সেন্টার

৮। কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়াম

বাজার

ঘোষপট্টি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী শহরের বাজার (বড়বাজার) শহরের উত্তর অংশে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে একই ধরণের দোকানগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে গড়ে উঠেছে।

১। ঝালাইপট্টি

২। ঘোষপট্টি

ঘোষপট্টি এলাকা গড়ে এখানে ওঠে মূলত ঘোষেদের মিষ্টি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাণিজ্যের কারণে। এখানকার শংকর সাহার মিষ্টি গোটা অঞ্চলে বিখ্যাত।[২]

৩। পালপট্টি

৪। চামড়াপট্টি

৫। পানবাজার

৬। চালবাজার

৭। শীলপট্টি

৮। খলিফাপট্টি

  1. "Rajbari Town | Facebook"www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৭ 
  2.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)