মেসোপটেমিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Mesopotamia.PNG|thumb|right|প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার মানচিত্র।]]
[[চিত্র:Mesopotamia.PNG|thumb|right|প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার মানচিত্র।]]
প্রাচীন '''মেসোপটেমিয়া''' বর্তমান ইরাকের [[টাইগ্রিস]] ও [[ইউফ্রেটিস]] নদী-বিধৌত উপত্যকায় দোয়ার অঞ্চলে অবস্থিত। অধুনা ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ, তুরষ্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চল গুলোই প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয় । '''মেসোপটেমিয় সভ্যতা''' পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতার উম্মেষ ঘটেছিল। [[সভ্যতার আঁতুড়ঘর]] হিসেবে পরিচিত এই অঞ্ছলে ব্রোঞ্জ যুগে আক্কাদীয়, ব্যবিলনীয় এবং অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল । পরে লৌহ যুগে নব্য-অ্যাসিরীয় এবং নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য গড়ে উঠে সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল [[পারস্য|পারসিক]] শাসনে থাকে, এরপর মুসলিম শাসনামল শুরু হয় মুসলিম খিলাফত শাসনে এই অঞ্চল পরবর্তীতে [[ইরাক]] নামে পরিচিতি লাভ করে
'''মেসোপটেমিয়া'''(প্রাচীন গ্রীকঃ Μεσοποταμία অর্থ-দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমি, আরবিঃ بلاد الرافدين‎ ) বর্তমান ইরাকের [[টাইগ্রিস]] বা দজলা ও [[ইউফ্রেটিস]] বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। অধুনা [[ইরাক]], [[সিরিয়া|সিরিয়ার]] উত্তরাংশ, [[তুরষ্ক|তুরষ্কের]] উত্তরাংশ এবং [[ইরান|ইরানের]] খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চল গুলোই প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয় । '''মেসোপটেমিয় সভ্যতা''' পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতার উম্মেষ ঘটেছিল। [[সভ্যতার আঁতুড়ঘর]] হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চল মিশরীয় সভ্যতার থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিল এবং বহিঃশত্রুদের থেকে খুব একটা সুরক্ষিত ছিলনা বলে বারবার এর উপর আক্রমন চলতে থাকে এবং পরবর্তীতে এখান থেকেই ব্রোঞ্জ যুগে আক্কাদীয়, ব্যবিলনীয়, এসিরীয় লৌহ যুগে নব্য-এসিরীয় এবং নব্য-ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে উঠে।<br>
খৃষ্টপূর্ব ১৫০ সালের দিকে মেসোপটেমিয়া পার্সিয়ানদের নিয়ন্ত্রনেই ছিল কিন্তু পরে এই ভূখন্ডের আধিপত্ত নিয়ে রোমানদের সাথে যুদ্ধ হয় এবং রোমানরা এই অঞ্চল ২৫০ বছরের বেশি শাষন করতে পারে নি। । দ্বিতীয় শতকের শুরুর দিকে [[পারস্য|পার্সিয়ানরা]] এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় এবং সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল তাদের শাসনেই থাকে, এরপর মুসলিম শাসনামল শুরু হয় । মুসলিম খিলাফত শাসনে এই অঞ্চল পরবর্তীতে [[ইরাক]] নামে পরিচিতি লাভ করে ।
==ভৌগোলিক পটভূমি==
আধুনিক [[ইরাক|ইরাকের]] [[টাইগ্রিস]] ও [[ইউফ্রেটিস]] নদীদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে সভ্যতার আবির্ভাব ঘটেছিল সেটাই মূলত মেসোমটেমিয়া সভ্যতা নামে পরিচিত। [[তুরষ্ক|তুরষ্কের]] আনাতোলিয়া ([[আর্মেনিয়া]])) পর্বতমালা হতে [[টাইগ্রিস]] ও [[ইউফ্রেটিস]] দক্ষিন পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পরেছে। প্রকৃতপক্ষে পলিসমৃদ্ধ নদীদুটির এই অঞ্চলে এরূপ সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করেছিল। মূলত এই উর্বরা অঞ্চলটি ([[টাইগ্রিস]] ও [[ইউফ্রেটিস]]) উত্তরে প্রলম্বিত হয়ে পশ্চিমে বাঁক নিয়ে আবার দক্ষিন-পশ্চিম দিকে নেমে গিয়ে প্রায় ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হয়। বাঁক বিশিষ্ট এই অঞ্চলটিকে "উর্বরা অর্ধচন্দ্রাকৃতিক" হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ইতিহাস বিক্ষাত এই অঞ্চলটি উত্তর আর্মেনিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, দক্ষিন ও পশ্চিমে আরব মরুভূম ও পূর্বে জাগরাস পার্বত্য অঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত।


[[বিষয়শ্রেণী:মেসোপটেমিয় সভ্যতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মেসোপটেমিয় সভ্যতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন ইতিহাস]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন ইতিহাস]]

'''পাথর যুগের মেসোপটেমিয়া'''

নগরসভ্যতা গড়ার আগেও মেসোপটেমীয় অঞ্চলে মানুষের বসতি ছিল। সভ্যতার আগের এই অংশটিকে বলা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগ। এ যুগের মানুষ সব কাজে প্রধানত পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতো। এই যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগটির নাম পুরোনো পাথরের যুগ। আর শেষেরটি নতুন পাথরের যুগ।
নতুন পাথরের যুগে ফোরাত নদীর উর্বর তীরে মানুষ বসবাস শুরু করেছিলো। আল ইউবেইদ নামের অঞ্চলে প্রথম গ্রাম গড়ে উঠে। তাই এই যুগের মানুষের সংস্কৃতিকে বলা হয় '''ইউবেইদ সংস্কৃতি'''। আজ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বছর আগে গড়ে ওঠা এই সংস্কৃতির মানুষেরা গাছগাছালি আর কাদামাটি দিয়ে ঘর বানাতো।
ইউবেইদ অঞ্চলের আরো দক্ষিণে আরেকটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিলো। এই অঞ্চলের নাম ওয়ারকা। এই জন্য সংস্কৃতিটির নাম দেয়া হয়েছে '''ইউরুক সংস্কৃতি'''।

০৬:৫৪, ১৩ মে ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার মানচিত্র।

মেসোপটেমিয়া(প্রাচীন গ্রীকঃ Μεσοποταμία অর্থ-দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমি, আরবিঃ بلاد الرافدين‎ ) বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। অধুনা ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ, তুরষ্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চল গুলোই প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয় । মেসোপটেমিয় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতার উম্মেষ ঘটেছিল। সভ্যতার আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চল মিশরীয় সভ্যতার থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিল এবং বহিঃশত্রুদের থেকে খুব একটা সুরক্ষিত ছিলনা বলে বারবার এর উপর আক্রমন চলতে থাকে এবং পরবর্তীতে এখান থেকেই ব্রোঞ্জ যুগে আক্কাদীয়, ব্যবিলনীয়, এসিরীয় ও লৌহ যুগে নব্য-এসিরীয় এবং নব্য-ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে উঠে।
খৃষ্টপূর্ব ১৫০ সালের দিকে মেসোপটেমিয়া পার্সিয়ানদের নিয়ন্ত্রনেই ছিল কিন্তু পরে এই ভূখন্ডের আধিপত্ত নিয়ে রোমানদের সাথে যুদ্ধ হয় এবং রোমানরা এই অঞ্চল ২৫০ বছরের বেশি শাষন করতে পারে নি। । দ্বিতীয় শতকের শুরুর দিকে পার্সিয়ানরা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় এবং সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল তাদের শাসনেই থাকে, এরপর মুসলিম শাসনামল শুরু হয় । মুসলিম খিলাফত শাসনে এই অঞ্চল পরবর্তীতে ইরাক নামে পরিচিতি লাভ করে ।

ভৌগোলিক পটভূমি

আধুনিক ইরাকের টাইগ্রিসইউফ্রেটিস নদীদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে সভ্যতার আবির্ভাব ঘটেছিল সেটাই মূলত মেসোমটেমিয়া সভ্যতা নামে পরিচিত। তুরষ্কের আনাতোলিয়া (আর্মেনিয়া)) পর্বতমালা হতে টাইগ্রিসইউফ্রেটিস দক্ষিন পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পরেছে। প্রকৃতপক্ষে পলিসমৃদ্ধ নদীদুটির এই অঞ্চলে এরূপ সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করেছিল। মূলত এই উর্বরা অঞ্চলটি (টাইগ্রিসইউফ্রেটিস) উত্তরে প্রলম্বিত হয়ে পশ্চিমে বাঁক নিয়ে আবার দক্ষিন-পশ্চিম দিকে নেমে গিয়ে প্রায় ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হয়। বাঁক বিশিষ্ট এই অঞ্চলটিকে "উর্বরা অর্ধচন্দ্রাকৃতিক" হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ইতিহাস বিক্ষাত এই অঞ্চলটি উত্তর আর্মেনিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, দক্ষিন ও পশ্চিমে আরব মরুভূম ও পূর্বে জাগরাস পার্বত্য অঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত।