প্রবাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ r2.7.2) (বট মুছে ফেলছে: hu:Virágállatok |
Hopeoflight (আলোচনা | অবদান) বিরাম চিহ্ন, বানান ও উইকিসংযোগ |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:Brain_coral.jpg|thumb|সমুদ্রের তলদেশে প্রবাল]] |
[[চিত্র:Brain_coral.jpg|thumb|সমুদ্রের তলদেশে প্রবাল]] |
||
'''প্রবাল''' হল অ্যান্থজোয়া শ্রেনীভূক্ত সামূদ্রিক প্রানী। এদের নিকটাত্মীয় হল [[সাগর কুসুম]]। এরা সাগর কুসুমের মতই পলিপ তৈরি করে, তবে সাধারণত এরা কলোনি তৈরি করে বসবাস |
'''প্রবাল''' হল অ্যান্থজোয়া শ্রেনীভূক্ত সামূদ্রিক প্রানী। এদের নিকটাত্মীয় হল [[সাগর কুসুম]]। এরা সাগর কুসুমের মতই পলিপ তৈরি করে, তবে সাধারণত এরা কলোনি তৈরি করে বসবাস করে। কলোনির সমস্ত পলিপ জিনগত ভাবে (জেনেটিক্যালি) অভিন্ন হয়। এরা প্রাণী হলেও, জীবনের পূর্ণবয়ষ্ক অবস্থায় সাগরতলে কোন দৃঢ় তলের উপর গেড়ে বসে বাকি জীবন পার করে দেয় নিশ্চল হয়ে। প্রতিটি প্রবাল পলিপ যেখানে গেড়ে বসে সেখানে নিজের দেহের চারপাশে ক্যালসিয়াম কার্বনেট নিঃসরণের মাধ্যমে শক্ত পাথুরে খোলস বা বহিঃকঙ্কাল তৈরি করে। একটা প্রবাল পলিপের মৃত্যুর পরেও খোলসটি রয়ে যায় এবং তা অস্মীভূত হয়ে যেতে পারে। এরকম অস্মীভূত প্রবালের দেহাবশেষের উপর নতুন করে আবার প্রবাল বসতে পারে। এভাবে একটা কলোনি বহু প্রজন্ম ধরে চলার ফলে বড়সড় পাথুরে আকৃতি ধারন করে। এভাবেই তৈরি হয় বড় প্রবাল দ্বীপ এবং প্রবাল প্রাচীর। [[অস্ট্রেলিয়া|অস্ট্রেলিয়ার]] সন্নিকটে [[গ্রেট ব্যারিয়ার]] দ্বীপপুঞ্জ [[পৃথিবী|পৃথিবীর]] বৃহত্তম [[প্রবালপ্রাচীর]]। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[নারিকেল জিঞ্জিরা]] দ্বীপটি একটি [[প্রবালদ্বীপ]]। |
||
ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রবাল কলোনি গুলোকে ''প্রবাল মস্তক'' বলা |
ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রবাল কলোনি গুলোকে ''প্রবাল মস্তক'' বলা হয়। প্রচলিত ধারণায় সমস্ত মস্তকটিকেই একটি প্রবাল বলে মনে করা হলেও, তা আসলে বহু প্রবাল পলিপ নিয়ে গঠিত, পলিপ গুলো প্রত্যেকেই জিনগত ভাবে অভিন্ন। পলিপ গুলোর দেহের ব্যাস মাত্র কয়েক মিলিমিটার হয়ে থাকে। কয়েক হাজার প্রজন্ম ধরে প্রবালের জীবনচক্র চলার ফলে একটি প্রবাল কলোনিতে তাদের প্রজাতীর বৈশিষ্ট্যসূচক একটি কঙ্কাল গঠন করতে পারে। প্রবাল মস্তক গুলো বেড়ে ওঠে পলিপগুলোর অযৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের মাধ্যমে। তবে প্রবালেরা বংশবিস্তারে যৌন প্রজননেরও আশ্রয় নেয় প্রজনন ঋতুতে পূর্ণিমার রাতে বা তার কাছাকাছি সময়ে কয়েক রাত ধরে সাগরের পানিতে শুক্রানু এবং ডিম্বানু ছেড়ে দিয়ে। |
||
১৫:৫৮, ১৭ নভেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
প্রবাল হল অ্যান্থজোয়া শ্রেনীভূক্ত সামূদ্রিক প্রানী। এদের নিকটাত্মীয় হল সাগর কুসুম। এরা সাগর কুসুমের মতই পলিপ তৈরি করে, তবে সাধারণত এরা কলোনি তৈরি করে বসবাস করে। কলোনির সমস্ত পলিপ জিনগত ভাবে (জেনেটিক্যালি) অভিন্ন হয়। এরা প্রাণী হলেও, জীবনের পূর্ণবয়ষ্ক অবস্থায় সাগরতলে কোন দৃঢ় তলের উপর গেড়ে বসে বাকি জীবন পার করে দেয় নিশ্চল হয়ে। প্রতিটি প্রবাল পলিপ যেখানে গেড়ে বসে সেখানে নিজের দেহের চারপাশে ক্যালসিয়াম কার্বনেট নিঃসরণের মাধ্যমে শক্ত পাথুরে খোলস বা বহিঃকঙ্কাল তৈরি করে। একটা প্রবাল পলিপের মৃত্যুর পরেও খোলসটি রয়ে যায় এবং তা অস্মীভূত হয়ে যেতে পারে। এরকম অস্মীভূত প্রবালের দেহাবশেষের উপর নতুন করে আবার প্রবাল বসতে পারে। এভাবে একটা কলোনি বহু প্রজন্ম ধরে চলার ফলে বড়সড় পাথুরে আকৃতি ধারন করে। এভাবেই তৈরি হয় বড় প্রবাল দ্বীপ এবং প্রবাল প্রাচীর। অস্ট্রেলিয়ার সন্নিকটে গ্রেট ব্যারিয়ার দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর। বাংলাদেশের নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপটি একটি প্রবালদ্বীপ।
ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রবাল কলোনি গুলোকে প্রবাল মস্তক বলা হয়। প্রচলিত ধারণায় সমস্ত মস্তকটিকেই একটি প্রবাল বলে মনে করা হলেও, তা আসলে বহু প্রবাল পলিপ নিয়ে গঠিত, পলিপ গুলো প্রত্যেকেই জিনগত ভাবে অভিন্ন। পলিপ গুলোর দেহের ব্যাস মাত্র কয়েক মিলিমিটার হয়ে থাকে। কয়েক হাজার প্রজন্ম ধরে প্রবালের জীবনচক্র চলার ফলে একটি প্রবাল কলোনিতে তাদের প্রজাতীর বৈশিষ্ট্যসূচক একটি কঙ্কাল গঠন করতে পারে। প্রবাল মস্তক গুলো বেড়ে ওঠে পলিপগুলোর অযৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের মাধ্যমে। তবে প্রবালেরা বংশবিস্তারে যৌন প্রজননেরও আশ্রয় নেয় প্রজনন ঋতুতে পূর্ণিমার রাতে বা তার কাছাকাছি সময়ে কয়েক রাত ধরে সাগরের পানিতে শুক্রানু এবং ডিম্বানু ছেড়ে দিয়ে।
প্রবাল | |
---|---|
স্তম্ভ প্রবাল, Dendrogyra cylindricus | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | Cnidaria |
শ্রেণী: | Anthozoa Ehrenberg, 1831 |
Extant Subclasses and Orders | |
Alcyonaria |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |