বিষয়বস্তুতে চলুন

বীমাগাণনিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বিমা-গাণনিক থেকে পুনর্নির্দেশিত)
একচুয়ারি
হারিকেন ক্যাটরিনায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। একচুয়ারি পেশাজীবিদের সুদূর ভবিষ্যতের জন্য এই ধরনের ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাব্যতা অনুমান করতে হয় যাতে করে সঠিক প্রিমিয়ামের মাধ্যমে এই জাতীয় সম্পদের বীমা করে ঝুকি কমানো যায়।
পেশা
পেশার ধরন
পেশা
প্রায়োগিক ক্ষেত্র
বীমা, পুনঃবীমা, পেনশন প্লান, সামাজক নিরাপত্তা
বিবরণ
যোগ্যতাগণিত, ফাইন্যান্স, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যাবসায়িক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে পেশাগত অভিজ্ঞতা
কর্মক্ষেত্র
বীমা কোম্পানি, সরকারী নিতীনির্ধারনী, কনসাল্টেন্সি ফার্ম

একচুয়ারি বা বীমা-গাণনিক বা আহিলকারী হল একটি ব্যবসা সংক্রান্ত পেশাজীবি যারা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করে। গণিত এবং জটিল অর্থনৈতিক হিসাবনিকাশের সাহায্যে একচুয়ারিগণ প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন।

অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে একচুয়ারিগণ গানিতিকভাবে হিসাবনিকাশ করে একটি দুর্ঘটনা কিংবা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করেন। সব ধরনের ক্ষতির ক্ষতিপূরণ হয় না। যেমন কোনো মানুষের মৃত্যু হলে কোনোভাবেই এর ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তবে এই ধরনের সম্ভাব্যতা নিরূপণের উদ্দেশ্য হলো ঐ লোকটির মৃত্যুর ফলে যে ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া। ব্যবসার সম্ভাব্য ঝুঁকির হিসাব করতে হলে অবশ্যই হিসাবকারীকে ব্যবসা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়া উচ্চমাত্রার একচুয়ারি দক্ষতাও এই ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ইউএস নিউজ এন্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের ২০০৬ সালের এক জরিপে একচুয়ারি পেশাটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা ২৫টি জনআকাঙ্ক্ষিত পেশার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে যার চাহিদা ভবিষ্যতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। ক্যারিয়ার কাস্ট নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি জব সার্চ ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০১০ সালে একচুয়ারি পেশাটি এক নম্বর স্থানে, ২০১২ সালে দুই নম্বর এবং ২০১৩ সালে আবারো এক নম্বর স্থানে ছিল। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ, আয়, চাকরির সুযোগ, চাহিদা এবং কাজের চাপ এই পাঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই র‍্যাংকিং করা হয়েছিল।

একচুয়ারির বিষয়বস্তু

[সম্পাদনা]

একচ্যুয়ারিদের বীমা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গঠিত যেমন জীবন বীমা, স্বাস্থ্য, পেনশন স্কিম, এনুইটি এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সমাজ কল্যাণমূলক প্রোগ্রাম, সম্পদ, দুর্ঘটনা কিংবা মহামারি, সাধারণ বীমা এবং পূনঃবীমা। জীবন,স্বাস্থ্য এবং পেনশন একচ্যুয়ারীরা সাধারণত মৃত্যহার, রোগাক্রান্ত হওয়ার হার, মৃত্যুর ঝুঁকি, মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস, একজন মানুষ কি ধরনের ঔষধ সেবন করে এবং বিনিয়োগ ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করে থাকেন। এছাড়া বীমা কোম্পানি জীবন বীমা, এনুইটি, পেনশন স্কিম মর্টগেজ ক্রেডিট ইন্সিওরেন্স বা অন্য নতুন কোন স্কিম চালু করার কথা ভাবলে একচ্যুয়ারীগন জটিল সব গাণিতিক হিসাব নিকাশের মাধ্যমে তার সম্ভাব্যতা যাচাই করেন।

আইএফআরএস ১৭ অনুযায়ী বীমা চুক্তির ভবিষ্যৎ দায় নির্ধারণে জটিল গাণিতিক ও পরিসংখ্যানগত মডেল ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, যা কেবল প্রশিক্ষিত একচুয়ারির মাধ্যমে কার্যকরভাবে বিশ্লেষণযোগ্য। একচুয়ারি হওয়ার জন্য বাংলাদেশে সরকারি স্কলারশীপ প্রদান করে থাকে বীমা উন্নয়ন ‍ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "একচুয়ারি কি?"ইন্সুরেন্সনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]