বিষয়বস্তুতে চলুন

বিন্দু থেকে বিন্দু গঠন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৩০-এর দশকের শেষের একটি আসল অস্ট্রেলিয়ান রেডিও, যেখানে উপাদানের মাঝে বিন্দু থেকে বিন্দু গঠন দেখা যাচ্ছে

বিন্দু থেকে বিন্দু গঠন হলো ইলেকট্রনিক বর্তনী গঠনের সবচেয়ে ব্যবহৃত উপায় যা ১৯৫০-এর দশকের আগে ব্যবহার করা হত।বিন্দু থেকে বিন্দু গঠন এখনও ব্যবহৃত হয় প্রোটো টাইপ যন্ত্রপাতির গঠন করতে কম বা ভারী ইলেকট্রনিক উপাদানের সাথে। বিন্দু থেকে বিন্দু সংযোগের আগে, বৈদ্যুতিক সমাবেশ ব্যবহার করত স্ক্রু বা তারের নাট তারকে ধরে রাখতে একটি অপরিবাহী বা সিরামিক বোর্ডের সাথে।ফলাফল থেকে পাওয়া যন্ত্রের প্রবণতা হলো জরাজীর্ণ সংযোগ থেকে ব্যর্থ হওয়ার প্রবণতা বা সংযোগের যান্ত্রিক নড়বড়ে সংযোগ।প্রাথমিক প্রিমিয়াম মেরিন রেডিওতে, বিশেষভাবে যা মার্কনী থেকে পাওয়া গেছে, মাঝে মাঝে বাস বার সংযোগের বর্তনীতে ওয়েল্ডিং করা কপার ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটা ব্যয়বহুল।

বিন্দু থেকে বিন্দু গঠনে ব্যবহৃত হয় প্রান্তীয় স্ট্রীপ (যাদের মাঝে মাঝে ট্যাগ বোর্ডও বলা হয়ে থাকে) বা টাররেট বোর্ড।গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো বৈদ্যুতিক সমাবেশে সোল্ডারিং ব্যবহার করা।সোল্ডারিং-এ টিন ও লেডের মিশ্রণ বা পরে বিসমাথ এবং অন্যদের সাথে টিন গলিয়ে ও লাগিয়ে, অগলিত ধাতু, যেমন কপার বা টিন মিশ্রিত স্টীল।সোল্ডার একটি শক্ত বৈদ্যুতিক এবং যান্ত্রিক সংযোগ তৈরি করে।

প্রান্তীয় স্ট্রীপ গঠন

[সম্পাদনা]
সামরিক রেডিও যন্ত্রের বিন্দু থেকে বিন্দু গঠন
১৯৪৮ মটরোলা ভিতি-৭১ ৭” টেলিভিশনের চেসিসের উপরের অংশ, যেখানে বিন্দু থেকে বিন্দু তারের জটিল অংশ দেখা যাচ্ছে

বিন্দু থেকে বিন্দু গঠন ব্যবহার করে প্রান্তীয় স্ট্রীপ (যাকে ট্যাগ বোর্ডও বলা হয়ে থাকে)।একটি প্রান্তীয় স্ট্রীপ হলো কপারের টিন প্লেটের লুপের স্ট্যাম্পড স্ট্রীপ।এটা বসানো হয় এমন উপায়ে যেন প্রতিটি লুপ প্রতিটি থেকে বৈদ্যুতিক ভাবে অন্তরীত থাকে।ধাতুর লুপগিলো একটা চিপের ওপরে বসানো হয় যা তাপ রোধকও, সাধারণত সিন্থেটিক রেসিনে মোড়ানো কাগজ (এফ আর-২) বা ব্যাকেলাইট সুতার সাথে লাগানো হয়, বা মাঝে মাঝে প্যাক্সোলিন ব্যবহৃত হয়। অন্তরকের থাকে একটি পূর্নাঙ্গ বসানো বন্ধনী, মাঝে মাঝে একটি বা অধিক স্ট্যাম্পড লুপের সাথে এগুলোকে গ্রাউন্ড করা হয় চেসিসের সাথে।

চেসিসকে প্রথম গঠন করা হয়, স্টীল মেটাল বা কাঠ থেকে।অন্তরীত প্রান্তীয় স্ট্রীপ গুলোকে গজাল মারা হয়,পেরেক মারা হয় বা স্ত্রু প্যাচানো হয় নিচের সাথে বা চেসিসের অভ্যন্তরের সাথে।ট্রান্সফরমার, বড় ধারক, টিউব সকেট এবং অন্যান্য বড় উপাদানকে চেসিসের উপরের দিকে বসানো হয়।এদের তারগুলো হোলের মধ্য দিয়ে নিচে বা অভ্যন্তরে চলে যায়।ইলেকট্রনিক উপাদানের তারগুলো কুন্ডলী পাকানো থাকে প্রান্তের সাথে এবং সোল্ডারড করা থাকে এদের সাথে।ছোট ইলেক্ট্রনিক উপাদানগুলো বসানো থাকে এদের তারগুলো প্রান্তের চারিদিকে মোচড় দিয়ে এবং সোল্ডারিং করে। পেশাদার ইলেকট্রনিক সংযোগকারী ব্যবহার করে আলোকচিত্রের একটি বই এবং সঠিক সংযোগ নির্দেশাবলী মেনে চলে এটা নিশ্চিত করতে যে কোন উপাদান তারা বাদ দেবেন না।যদিও এই প্রক্রিয়া অনেকটা ত্রুটি প্রবণতাযুক্ত এবং প্রায় অসম্ভব মাঝে মাঝে, এটা বেশ ভালো ছোট আকারের ইউনিটগুলো যুক্ত করতে যখন শ্রমিকের খরচ কম থাকবে।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট গঠন চালিয়ে যাওয়া হয় উচ্চমানের টিউব ইলেকট্রনিক্সের জন্য এমনকি প্রিন্টেড বর্তনী বোর্ড আবিষ্কারের পরেও।টিউবের তাপ বর্তনী বোর্ডকে নিম্নমানের করতে পারে এবং তাদের ভঙ্গুর ও ভেঙ্গে ফেলতে পারে।বর্তনী বোর্ডের নিম্নমান মাঝে মাজ়হে দেখা যায় সস্তা টিউব রেডিওতে যা ৬০-এর দশকে তোইরি হয়েছিল, বিশেষকরে গরম আউটপুট ও রেকটিফায়ার টিউবের মাঝে।আমেরিকান প্রস্তুতকারী কোম্পানী জেনিথ বিন্দু থেকে বিন্দু তারের সংযোগ চালিয়ে যায় এর টিউব ভিত্তিক টেলিভিশন সেটে ৭০-এর দশকের প্রথম দিক পর্যন্ত।

মৃত ছারপোকা গঠন

[সম্পাদনা]

শৌখিন কাজে, গঠনমুক্ত কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সব ক্ষেত্রে যেখানে একটি পিসিবি খুব বড় বা একটা খুব ছোট সংখ্যক উপাদানের জন্য বেশি মাত্রার কাজ এমন ক্ষেত্রে।এটাকে মাঝে মাঝে বলা হয় মৃত ছারপোকা ধরনের যেহেতু আইসিগুলো বসে পিনের উপরে-নিচে এমন ভাবে যাকে একটা মৃত ছারপোকার মতো মনে হয়।যখন এটাকে মাঝে মাঝে বিশৃংখল, ত্রুটি প্রবণতা সম্পন্ন মনে হয় এবং মেরামত করা কঠিন মনে হয়, এবং এটা ব্যবহৃত হতে পারে আরো নিবিড় বর্তনী তৈরি করতে অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে। এটি মাঝে মাঝে ব্যবহৃত হয় বিম রোবোটিকসে এবং আর এফ বর্তনীতে যেখানে উপাদানগুলোকে ছোট আকারের থাকতে হয়।একটি সুবিধা হলো এটি অনায়াস সাধ্য যেখানে তার মোড়ানো সংযোগ উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয় যখন রোধ এবং ধারক ব্যবহৃত হয় ইউ আকারের মতো বাকাতে এবং আঠারো মতো লাগাতে।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]