বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত
সংক্ষেপেইকসিড
প্রতিষ্ঠিত১৪ অক্টোবর ১৯৬৬
ধরন বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান
উদ্দেশ্যবিরোধ নিষ্পত্তি
সদরদপ্তরওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র[১]
সদস্যপদ
১৫৮ দেশ [২]
ওয়েবসাইটicsid.worldbank.org


বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত (ইংরেজি: International Center for Settlement of Investment Disputes; সংক্ষেপে ICSID) আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সালিশী সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগগ্রহীতাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরীর জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা হিসাবে কাজ করে। সংস্থাটি বাংলায় সংক্ষেপে ইকসিড নামেই বেশি পরিচিত। এটি বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের পাঁচটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সরকার ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুঁজি বিনিয়োগজনিত বিরোধ সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করার লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ১৪ অক্টোবর ইকসিড প্রতিষ্ঠিত হয়। ইকসিড কনিভেনশনটি ১৫৮ স্বাক্ষরিত দেশ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।[৪]

বাংলাদেশ ও ইকসিড[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে নাইকো-বাপেক্স যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সুনামগঞ্জের ছাতকের টেংরাটিলায় গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নাইকোর অবহেলায় ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণে দেশের আর্থিক ও পরিবেশগত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ পুঁজি বিনিয়োগজনিত বিরোধ নিষ্পত্তির আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে মামলা দায়ের করে। ইকসিড ট্রাইব্যুনাল নাইকোকে দায়ী করে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক যুগান্তকারী রায় প্রদান করেন। [৫]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Headquarters"worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  2. "Member States"worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  3. "World Bank Group Members"worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  4. "ICSID Convention"worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  5. "নাইকোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]