বিষয়বস্তুতে চলুন

বিদর্ভ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিদর্ভ
প্রাক্তন রাজ্য এবং ঐতিহাসিক অঞ্চল
'গাঢ় নীল': নাগপুর জেলা, ''নীল': নাগপুর বিভাগ, ধূসর': অমরাবতী জেলা, 'সামুদ্রিক সবুজ': অমরাবতী বিভাগ
'গাঢ় নীল': নাগপুর জেলা, ''নীল': নাগপুর বিভাগ, ধূসর': অমরাবতী জেলা, 'সামুদ্রিক সবুজ': অমরাবতী বিভাগ
লাল রঙে বিদর্ভ সহ ভারতের মানচিত্র
লাল রঙে বিদর্ভ সহ ভারতের মানচিত্র
দেশভারত
রাজ্যমহারাষ্ট্র
সরকার
 • শাসকমহারাষ্ট্র সরকার
আয়তন[]
 • মোট৯৭,৩২১ বর্গকিমি (৩৭,৫৭৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২,৩০,০৩,১৭৯
 • জনঘনত্ব২৪০/বর্গকিমি (৬১০/বর্গমাইল)
বিশেষণবৈদর্ভীয়
ভাষা
 • দাপ্তরিকমারাঠি
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
যানবাহন নিবন্ধনMH-
বৃহত্তম শহরনাগপুর

বিদর্ভ (উচ্চারণ: [ʋid̪əɾbʱə]) হল একটি ভৌগোলিক অঞ্চল এবং মধ্য ভারতের একটি প্রস্তাবিত রাজ্য এবং বর্তমানে নাগপুর বিভাগ এবং অমরাবতী বিভাগ নিয়ে গঠিত ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পূর্বাঞ্চল। অমরাবতী বিভাগের পূর্বের নাম বেরার (মারাঠি ভাষায় ভর্হদ)।[][] এটি মোট এলাকার ৩১.৬% দখল করে এবং মহারাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ২১.৩% ধারণ করে। এর উত্তরে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য, পূর্বে ছত্তিশগড়, দক্ষিণে তেলঙ্গাণা এবং পশ্চিমে মহারাষ্ট্রের মরাঠওয়াড়া ও উত্তর মহারাষ্ট্র অঞ্চলের সীমানা। এটি মধ্য ভারতে অবস্থিত। বিদর্ভের বৃহত্তম শহর হল নাগপুর তারপর অমরাবতী, অকোলা এবং চন্দ্রপুর। বৈদর্ভীয়দের অধিকাংশই মারাঠি ভাষার ভার্হদী এবং ঝাদী উপভাষায় কথা বলে।[]

নাগপুর অঞ্চল কমলাতুলা চাষের জন্য পরিচিত। বিদর্ভ মহারাষ্ট্রের খনিজ সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ এবং তার বনজ সম্পদের তিন-চতুর্থাংশ ধারণ করে, এবং শক্তির মহত্বপূর্ণ উৎপাদক।[]

ইতিহাস জুড়ে, বিদর্ভ বাকি ভারতের তুলনায় অনেক শান্ত ছিল, বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সময়। তবে সেখানে যথেষ্ট দারিদ্র্য[] এবং অপুষ্টি রয়েছে।[] মহারাষ্ট্রের বাকি অংশের তুলনায় এটি অর্থনৈতিকভাবে কম সমৃদ্ধ।[] সমগ্র ভারতের তুলনায় এই অঞ্চলের কৃষকদের জীবনযাত্রার অবস্থা খারাপ। এক দশকে মহারাষ্ট্রে ২০০,০০০-এরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে, যার ৭০% বিদর্ভ অঞ্চলের ১১টি জেলায়।[]

মহারাষ্ট্র সরকারের উপেক্ষা এবং বিদর্ভের অদক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে সম্প্রতি একটি পৃথক বিদর্ভ রাজ্যের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে মহারাষ্ট্রের বাকি অংশ থেকে আলাদা হওয়ার কারণে, একটি পৃথক রাজ্যের আহ্বান তখনই প্রাধান্য পায় যখন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই অঞ্চলের নেতাদের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা উপেক্ষা করেছিলেন।[১০] রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দল শিবসেনার বিরোধিতার কারণে রাজ্যত্বের দাবি পূরণ হয়নি।[১১]


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Population"। ৩১ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১১ 
  2. Asian Review। ১৮৯৮। 
  3. Journal of the Royal Asiatic Society of Great Britain & Ireland By Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland—page-323
  4. "Dialects in Maharashtra | Buzzalive"। ২৩ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. "Nagpur (Urban) pincode - sindhindia"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২২ 
  6. "Vidarbha profile on rediff"। In.rediff.com। ১২ অক্টোবর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  7. "WHO declares Melghat as India's most malnutrition-hit area"। ৩০ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. Sanjiv Phansalkar। "PM 2003 Schedule Irr Pov"IWMI-TATA Water Policy Research Program। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  9. "Opinion / News Analysis : Maharashtra: 'graveyard of farmers'"The Hindu। Chennai, India। ১৪ নভেম্বর ২০০৭। ১৬ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  10. "Interview of Maharashtra Pradesh Congress Committee President-Mr. Ranjeet Deshmukh"Rediff.com। ১৮ আগস্ট ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  11. "Very few takers for a separate State"The Hindu। Chennai, India। ২৩ মার্চ ২০০৪। ২৩ জুন ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০