বারিমা মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩১°৩৬′৫৯.১″ উত্তর ৭°৫৮′৫৭.৭″ পশ্চিম / ৩১.৬১৬৪১৭° উত্তর ৭.৯৮২৬৯৪° পশ্চিম / 31.616417; -7.982694
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বারিমা মসজিদ
مسجد بريمة (আরবি)
ⵎⴻⵣⴳⵉⴷⴰ ⴱⴰⵔⵉⵎⴰ (বার্বার)
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানমরক্কো মারাক্কেশ, মারাক্কেশ-সাফি, মরক্কো
বারিমা মসজিদ মরক্কো-এ অবস্থিত
বারিমা মসজিদ
মরক্কোতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩১°৩৬′৫৯.১″ উত্তর ৭°৫৮′৫৭.৭″ পশ্চিম / ৩১.৬১৬৪১৭° উত্তর ৭.৯৮২৬৯৪° পশ্চিম / 31.616417; -7.982694
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
প্রতিষ্ঠাতামোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ
প্রতিষ্ঠার তারিখঅষ্টাদশ শতাব্দী
মিনার

বারিমা মসজিদ (আরবি: مسجد بريمة, আমাজিগ: ⵎⴻⵣⴳⵉⴷⴰ ⴱⴰⵔⵉⵎⴰ) মরক্কোর মারাক্কেশে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি কাসবাহ (দুর্গ) এবং শহরের রাজকীয় প্রাসাদের (দার আল-মাখজেন) সাথে সংযুক্ত। মসজিদটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে অ্যালৌউত সুলতান মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ কর্তৃক নির্মিত হয়।[১][২][৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সুলতান মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ তার রাজত্বের জন্য কোন রাজধানী বেছে না নিলেও তিনি মারাক্কেশে নিজেকে অন্যান্য শহরের চেয়েও বেশি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ফলস্বরূপ, তিনি মূল কাসবাহ মসজিদ পুনরুদ্ধারসহ শহরের রাজকীয় দুর্গের (কাসবাহ ও দার আল-মাখজেন) বেশ কয়েকটি পুনঃসংস্কার ও নির্মাণ কাজ চালান।[২] তবে জনশ্রুতি অনুযায়ী তার ছেলে মায়মুন এমন একটি মসজিদ চেয়েছিলেন যা প্রাসাদের নিকটে হবে। তাই তিনি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।[২] এই মসজিদটি রাজকীয় প্রাসাদের মাঠের পূর্ব প্রান্তে ও পুরনো মিল্লার (ইহুদি কোয়ার্টার) পশ্চিম প্রান্তে, শহরের প্রবেশদ্বার "বাব বারিমা" এর নিকটে অবস্থিত। এই রাজকীয় মসজিদটি অনেকটা লাল্লা আউদা মসজিদের অনুরূপ।[২][৪]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

অন্যান্য মরক্কোর মসজিদের তুলনায় বারিমা মসজিদের গঠন ও বিন্যাস আলাদা। মসজিদের বড় বর্গক্ষেত্রাকার শান বা প্রাঙ্গণটির দৈর্ঘ্য ৩৫ মিটার ও ক্ষেত্রফল ১,২২৫ বর্গ মিটার।[২][৪] এই প্রাঙ্গণ ও প্রার্থনা কক্ষের মাঝখানে একটি বারান্দা আছে যার পাশে সুলতান ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার রয়েছে। ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৫ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্রার্থনা কক্ষটি প্রাঙ্গণের চেয়ে ছোট এবং মরক্কোর অন্যান্য মসজিদগুলো প্রার্থনা কক্ষের সাধারণ রূপ অনুসরণ করে না।[২] প্রার্থনা কক্ষের কাঠের ছাদ সুন্দরভাবে সজ্জিত। মসজিদটিতে তিনটি প্রবেশপথ ছিল, যার মধ্যে কেবল উত্তরের প্রবেশপথটি প্রাসাদের বাইরের সাধারণ বাসিন্দাদের জন্য প্রবেশযোগ্য ছিল। সুলতানের নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রবেশপথটি প্রাসাদ থেকে মসজিদের ভিতরে মিহরাবের পাশে সংযুক্ত ছিল।[২] এর মিনারটি কেবল একটি ছোট টাওয়ার যা প্রাসাদের দেয়ালের চেয়েও নিচু (সম্ভবত প্রাসাদের সীমাবদ্ধ এলাকায় কোনও দৃশ্য এড়াতে ইচ্ছাকৃত নকশা)।[৪] প্রথমদিকে মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসাওযুখানা ছিল, তবে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wilbaux, Quentin (২০০২)। La médina de Marrakech : formation des espaces urbains d'une ancienne capitale du Maroc। Impr. Barnéoud)। Paris: L'Harmattan। আইএসবিএন 2-7475-2388-8ওসিএলসি 469979008 
  2. Deverdun, Gaston (১৯৫৯)। Marrakech: des origines à 1912. (French ভাষায়)। Rabat: Ed. Techniques Nord-Africaines। ওসিএলসি 916802820 
  3. Triki, Hamid (১৯৮৬)। "Marrakech" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২১ 
  4. El Mghari, Mina (২০১৭)। "Tendances architecturales de la mosquée marocaine, XVIIe-XIXe siècles"Hespéris-Tamuda52আইএসএসএন 0018-1005ওসিএলসি 1201755195