আল-বাঈদা মসজিদ
আল-বাঈদা মসজিদ | |
---|---|
جامع البيضاء (আরবি) ⵎⴻⵣⴳⵉⴷⴰ ⴰⵛⵎⵔⴰⵔ (বার্বার) | |
![]() আল-বাঈদা মসজিদের মিনার | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম (মালিকি) |
অবস্থান | |
অবস্থান | ![]() |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°০৩′২১.৫″ উত্তর ৪°৫৯′২৪.৯″ পশ্চিম / ৩৪.০৫৫৯৭২° উত্তর ৪.৯৯০২৫০° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মরক্কান, ইসলামি |
বিনির্দেশ | |
মিনার | ১ |
মিনারের উচ্চতা | ১২.৮৫ মিটার (প্রায়) |
উপাদানসমূহ | ইট, কাঠ |
আল-বাঈদা মসজিদ (আরবি: جامع البيضاء, বার্বার: ⵎⴻⵣⴳⵉⴷⴰ ⴰⵛⵎⵔⴰⵔ) মরক্কোর ঐতিহাসিক পুরনো শহর ফেজের ফেস আল-জেদীদে অবস্থিত একটি মসজিদ।[১][২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
মসজিদটি নিকটবর্তী আল-হামরা মসজিদের পরে এবং সম্ভবত মেরিনিড যুগের পরে নির্মিত হয়।[৩] বরিস মাসলো (বিশ শতকের লেখক যিনি ফেজের অনেক মসজিদ নথিভুক্ত করেছেন) বিশ্বাস করেন ভবনের গঠন ইঙ্গিত দেয় এটি একটি ছোট অভ্যন্তরীণ স্থান (বর্তমানে মিহরাবের নিকটে) হিসেবে শুরু হয় এবং পরবর্তীতে সম্প্রসারণ করা হয়।[৪] সম্ভবত এই সম্প্রসারণে প্রাঙ্গণ ও এর চারপাশের বারান্দা যুক্ত করা হয় যা মূল প্রার্থনা কক্ষের চেয়েও প্রশস্ত। মসজিদটির মিনারটিও এই সম্প্রসারণের সময় থেকেই আছে।[৪]
স্থাপত্য[সম্পাদনা]
বহির্ভাগ[সম্পাদনা]
মসজিদের প্রবেশদ্বারটি ফেস আল-জেদীদের প্রধান সড়কে অবস্থিত। এটিতে নাল আকৃতির খিলান রয়েছে যার উপরে কাঠের একটি ছোট চাঁদোয়া আছে। প্রবেশপথের পাশে একটি ঐতিহাসিক ফোয়ারা আছে যা জেলিজ মোজাইক টালি দিয়ে সজ্জিত। মসজিদের মিনারটি প্রবেশপথ ও ফোয়ারার কিছুটা ডানদিকে (বা দক্ষিণ) ও পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।[৪]
অভ্যন্তর[সম্পাদনা]
মসজিদের প্রবেশপথটি খিলানযুক্ত বারান্দা দিয়ে ঘেরা প্রায় বর্গাকার একটি প্রাঙ্গণের অগ্রগামী।[৪] প্রাঙ্গণের মেঝে জেলিজ টালি দিয়ে আবৃত এবং এর মাঝখানে মার্বেল বেসিনের সাথে একটি ফোয়ারা আছে। প্রাঙ্গণের দক্ষিণ দিকের বারান্দাটি প্রধান প্রার্থনা কক্ষের সাথে সংযুক্ত যা প্রাঙ্গণের বারান্দাটির চেয়ে কম প্রশস্ত (সম্ভবত এটি ভবনের অন্যান্য অংশের চেয়ে পুরনো এবং এটিকে প্রসারিত করার জন্য প্রাঙ্গণটি যুক্ত করা হয়)।[৪] এই প্রার্থনার স্থানটি প্রায় সমান খিলানগুলোর একটি সারি দিয়ে বিভক্ত। মিহরাবটির গঠন ঐতিহ্যবাহী মরক্কান মিহরাবগুলোর অনুরূপ হলেও এটি তুলনামূলক সরল ও অনলঙ্কৃত।[৪]
প্রার্থনা কক্ষ, প্রাঙ্গণ ও মিনারটির মাঝের কোণে একটি অজুখানা রয়েছে। অজুখানাটিতে আয়তকার জলের বেসিন আছে এবং এর চারপাশে সাতটি ছোট কক্ষ রয়েছে যা ল্যাট্রিন হিসেবে কাজ করে।[৪]
মিনার[সম্পাদনা]
মিনারটি বর্গাকার এবং সামগ্রিকভাবে মরক্কান মিনারগুলোর অনুরূপ। এর প্রধান স্তম্ভটি ১২.৬ মিটার উঁচু এবং এর প্রতিপার্শ্বের প্রস্থ ২.৮২ মিটার। এর উপরে ছোট গৌণ স্তম্ভটি ৩.২৫ মিটার উঁচু এবং শীর্ষে একটি ছোট গম্বুজ আছে।[৪] মিনারের পৃষ্ঠ সাদা রঙে আচ্ছাদিত এবং এর সরু জানালাগুলোর চারদিকে অপেক্ষাকৃত সরল জ্যামিতিক নকশা ও কারুকাজ আছে।[৪]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- মসজিদের তালিকা
- মরক্কোর মসজিদের তালিকা
- আফ্রিকার মসজিদের তালিকা
- আল ফাস মসজিদ
- ঔজদার বড় মসজিদ
- আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়
- মেকনেস গ্র্যান্ড মসজিদ
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Beida Mosque"। Archnet। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৮।
- ↑ Alaoui, Richard (২০১৫)। DK Eyewitness Travel Guide: Morocco (নতুন সংস্করণ)। আইএসবিএন 1-336-12479-2। ওসিএলসি 934042007।
- ↑ Le Tourneau, Roger (১৯৪৯)। Fès avant le protectorat: étude économique et sociale d'une ville de l'occident musulman (French ভাষায়)। Casablanca: Société marocaine de librairie et d'édition। ওসিএলসি 761131028।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ Maslow, Boris (১৯৩৭)। Les mosquées de Fès et du Nord du Maroc। Les Éditions d'Art et d'Histoire। ওসিএলসি 954521986।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Archnet-এ আল-বাঈদা মসজিদ (ইংরেজি)