বামবাঙ্গান কাকিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বামবাঙ্গান কাকিল
বামবাঙ্গান কাকিল নৃত্য-নাটিকা
স্থানীয় নাম꧋ꦧꦩ꧀ꦧꦔꦤ꧀ꦕꦏꦶꦭ꧀ (জাভাই)
Tari Klasik Bambangan Cakil (ইন্দোনেশীয়)
উৎসইন্দোনেশিয়া

বামবাঙ্গান কাকিল ( জাভানীয়: ꧋ꦧꦩ꧀ꦧꦔꦤ꧀ꦕꦏꦶꦭ꧀ ) হল একটি ধ্রুপদী নৃত্য-নাট্য শৈলী [১] যা জাভানিজ লোকেদের —বিশেষ করে— সেন্ট্রাল জাভা, ইন্দোনেশিয়ার লোকেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। [২] এই নৃত্য-নাটিকা ওয়েয়াং পরিবেশনার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। এই নৃত্য-নাটিকা ওয়েয়াং কুলিত পরিবেশনার একটি বিশেষ অংশের দৃশ্যপট উপস্থাপনা ও সেই দৃশ্যের বিশেষ অঙ্গ সঞ্চালন থেকে অনুপ্ররিত হয়েছে। সেই বিশেষ দৃশ্যটি হল পেরাং কেমবাং দৃশ্য। [৩] পেরাং কেমবাং -এর দৃশ্যে রাক্ষসের বিরুদ্ধে কেশত্রিয়ার বা ক্ষত্রিয়র যুদ্ধের কথা বর্ণনা করা হয়। কেশত্রিয়া হল নরম এবং কোমল চরিত্র, অন্যদিকে রাক্ষসকে রুক্ষ এবং হিংস্র চরিত্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়।

রাকাসা বা রাক্ষস ( কাকিল ) -এর বিরুদ্ধে কেশত্রিয়া ( বামবাঙ্গান ) -র যুদ্ধের বর্ণনা বামবাঙ্গান কাকিল নৃত্য-নাট্য -এর মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। [৪]

জাভানিজ সংস্কৃতিতে, কেশত্রিয়া বা ক্ষত্রিয়কে সর্বদা এক ভাল ও সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সে সত্যকে রক্ষা করতে ইচ্ছুক, সে পরোপকারি ও অন্যদের সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত। [৫] কেশ্ত্রিয়া বা ক্ষত্রিয় উপাধি বংশানুক্রমিকভাবে দেওয়া হয়না, উপরন্তু উল্লিখিত গুনাগুন সম্পন্ন যোগ্য ব্যক্তিই এই উপাধির অধিকারী হয়। উদাহরণস্বরূপ, মহাভারতের গল্পে, পাণ্ডবের মতো একই পূর্বপুরুষের বংশধর হলেও কৌরবদের চরিত্রে দোষ থাকায় তাদের কেশত্রিয়া উপাধি দেওয়া হয়না।

অন্যদিকে রাক্ষসদের রুক্ষ, হিংস্র এবং গতিশীল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

বামবাঙ্গান কাকিল নৃত্য-নাট্যে, অর্জুনকে কেশত্রিয়া হিসাবে চিত্রিত করা হয়, আর কাকিলকে রাক্ষস হিসাবে চিত্রিত করা হয়। [৬] একজন নর্তক ক্ষত্রিয় অর্জুনের চরিত্রে অভিনয় করে আর আরেকজন নর্তক রাক্ষসের চরিত্রে অভিনয় করে নাটিকা পরিবেশন করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Widiarto, Bambang (২৭ জুন ১৯৯১)। "Tari Klasik"Bambangan Cakil""। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০ 
  2. "Tari Bambangan Cakil Tarian Tradisional dari Jawa Tengah"Negeriku Indonesia। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০ 
  3. Murtiyoso (২০০৯)। Perang Kembang dan Bambangan-Cakil "Tontonan Bermakna Ganda"। ISI Press। 
  4. Handayani, Langlang; Prasetya Aji, Mahardika (২০১৬)। "Bringing Javanesse Traditional Dance into Basic Physics Class: Exemplifying Projectile Motion through Video Analysis": 012073। ডিওআই:10.1088/1742-6596/739/1/012073অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. Murtiyoso (২০০৪)। Pertumbuhan dan Perkembangan Seni Pertunjukan Wayang। ISI Press। 
  6. "Tari Bambangan Cakil"Dinas Kearsipan dan Perpustakaan Provinsi Jawa Tengah। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]