বাবা হাউস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাবা হাউস
মানচিত্র
স্থাপিতসেপ্টেম্বর ২০০৮
অবস্থান১৫৭ নীল রোড
(১°১৬′৩৭″ উত্তর ১০৩°৫০′১৪.৩২″ পূর্ব / ১.২৭৬৯৪° উত্তর ১০৩.৮৩৭৩১১১° পূর্ব / 1.27694; 103.8373111)
সিঙ্গাপুর
ধরনপিরানাকান হেরিটেজ
পরিচালকমিসেস ক্রিস্টিন খোর
তত্ত্বাবধায়কফু সু লিং
পিটার লি
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধাআউটরাম পার্ক এমআরটি স্টেশন
(১°১৬′৫০″ উত্তর ১০৩°৫০′২২″ পূর্ব / ১.২৮০৫৬° উত্তর ১০৩.৮৩৯৪৪° পূর্ব / 1.28056; 103.83944)
সিঙ্গাপুর

বাবা হাউস (এটি এনইউএস বাবা হাউস নামেও পরিচিত) সিঙ্গাপুরের একটি জাদুঘর যা পেরানাকান ইতিহাস, স্থাপত্য ওঐতিহ্য প্রদর্শন করে। এটি ঐতিহ্যবাহী পেরানাকান প্রাক-যুদ্ধের টেরেস-হাউজ যা পূর্বের ১৯ শতকের শিপিং টাইকুন উই বিনের পরিবারের মালিকানাধীন ছিল যা দক্ষিণ চীনা প্রদেশ ফুজিয়ান থেকে আসার পরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করেছিল। বাবা হাউসটি সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (এনইউএস) যাদুঘরের একটি ফাঁড়ি এবং এনইউএস সেন্টার ফর আর্টস এর সহ-পরিচালিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৯০-এ নির্মিত, ১৫৭ নীল রোড হল আবাসিক ঐতিহাসিক ব্লেয়ার প্লেইন জেলাতে অবস্থিত একটি আবাসিক টেরেস বাড়ি। ১৯৯১ সালে সিঙ্গাপুরের আরবান রিডেভেলপমেন্ট অথরিটি কর্তৃক গৃহ এবং আশেপাশের অঞ্চল সংরক্ষণের জন্য গেজেট করা হয়েছিল।[২]

২০০৫ সালের এপ্রিলে মালয়েশিয়ার চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত টুন টান চেং লকের শেষ কন্যা মেস অ্যাগনেস টান সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে (এনএসএস) ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। নীল রোড বরাবর ওয়ে পরিবারের ঐতিহ্যবাহী পেরানাকান বাড়ি অর্জনের জন্য এই অনুদানটি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হয়েছিল।

১৯১০ সালে বাড়ীটি এই ওয়ে পরিবারের কাছে আসে যখন পরিবারের একজন কর্ত্রী তার নাতি ওয়ে ইং চেংয়ের জন্য বাড়িটি কিনে।

ঘরটি সর্বশেষ জনাব উই লিনের মালিকানাধীন ও পরিচালিত হয় ছিল, যিনি উই বিন পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্মের বংশধর।[১][৩]

মালাক্কার জালান টুন টান চেং লক আরও দুটি দোকানঘর অধিগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরও ১.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। এই অধিগ্রহণকৃত বাড়িগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে এবং পেরানাকান ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করার জন্য ব্যবহার করা হবে, এবং মালাক্কার দুটি ঘর ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণের কৌশল বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। অনুদানের প্রশংসা করার ইঙ্গিতে, বিশ্ববিদ্যালয় সিঙ্গাপুর হাউসের নামকরণ করেছিল ট্যান চেং লক বাবা হাউস[৪]

বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি মিঃ এসআর নাথানকে ৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৮-এ বাবা হাউস হিসাবে খোলা হয়েছিল এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮-এ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। এনইউএস এর স্কুল অফ ডিজাইন অ্যান্ড আর্কিটেকচার এবং ফেকাল্টি অব আর্টস এন্ড সোসিয়াল সাইন্স সাউথ-ইস্ট এশিয়া স্টাডিজ প্রোগ্রামের স্টাফ এবং শিক্ষার্থীরা পুনরূদ্ধার কাজে জড়িত ছিল, যারা কাঠের জানালা, দরজা এবং পার্টিশনের পর্দা প্রশস্ত ও জটিলভাবে খোদাই করেছে। বাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশ আসবাব উই এস্টেটের, অন্য বাকী জিনিসপত্র সিঙ্গাপুর ও মালাক্কার পেরেনাকান পরিবার থেকে নেওয়া হয়েছিল। বাড়ির প্রথম দুটি তলা পেরেনাকান গার্হস্থ্য অভ্যন্তর হিসাবে প্রদর্শিত হয়, অন্যদিকে শিল্পীরা তৃতীয় তলায় প্রদর্শনী গ্যালারীটির মাধ্যমে পেরানাকান সংস্কৃতির আধুনিক ব্যাখ্যা প্রদর্শন করে। একই সাথে, হাউসটি পেরানকান রন্ধনসম্পর্কীয় এবং এনইউএস জাদুঘর আয়োজিত একটি নৈপুণ্য কর্মশালা।[১]

প্রদর্শন[সম্পাদনা]

পেরানাকান যাদুঘরের বিপরীতে, বাবা হাউস দর্শকদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম করে যে ১৯২০-এর দশকে সিঙ্গাপুরের পেরানাকান সংস্কৃতির স্বর্ণযুগের সাধারণ প্যারানাকান বাড়িগুলো দেখতে কেমন ছিল ও কি কাজের ছিল। এটি সেই সময়কার চীনা পেরানাকানগণ দ্বারা ব্যবহৃত দুর্দান্ত নকশাকৃত প্রাচীনকালের আসবাব এবং আইটেমগুলোর একটি প্রদর্শনী।

স্থানটি অভিজ্ঞতা তৈরির প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে সাংস্কৃতিকভাবে প্রাসঙ্গিক ইভেন্টগুলোর জন্য বুক করা যেতে পারে।[৫]

হাউসটি কেবল পূর্বানুমতির মাধ্যমে পরিদর্শন করা যেতে পারে এবং সাপ্তাহিক গাইডেড ট্যুরগুলোর জন্য বুকিং করা যেতে পারে (ভ্রমণ প্রতি ১৪ জন সীমাবদ্ধ) ট্যুরগুলো এনইউএস যাদুঘরের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Tay, Suan Chiang (২০০৮-০৯-০৩)। "Peranakan Pride"। Straits Times। 
  2. "URA-NUS demonstration project : No. 157 Neil Road - The richness of Straits-Chinese architecture restored"Urban Redevelopment Authority। ৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  3. Yusof, Helmi (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "The gift of space"The Business Times। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৬ 
  4. Davie, Sandra (২০০৫-১০-০৮)। "Daughter of late businessman wants the young to learn the legacy"। Singapore: Straits Times। 
  5. Shetty, Deepika (২০০৮-০৯-০৪)। "Telling Baba story differently"। Straits Times। ২০১২-০৩-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।