বানদুং এর পরিবহন ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বানদুং শহরটি জাকার্তাসুরাবায়া থেকে যতাক্রমে ১৫০ কিলোমিটার ও ৭৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এই শহরটি জাকার্তা ও সুরাবায়া শহরের মাঝ পথে অবস্থিত।ফলে এই শহর দুটির মধ্যে যোগাযোগ বানদুং এর মধ্য দিয়ে সম্পর্ন হয়।বানদুং শহরটি রেল , বাস, বিমান পরিসেবা দ্বারা জাভা দ্বীপ এর অন্যান অংশের সঙ্গে যুক্ত।

সড়ক[সম্পাদনা]

এই শহরটি সড়ক পতের দ্বারা সমগ্র জাভা দ্বীপ এর সঙ্গে ভালো ভাবে যুক্ত রয়েছে।এই শহরটি জাকার্তা এর সঙ্গে ১৫০ কিমি দীর্ঘ মহাসড়ক দ্বারা যুক্ত।এছরা ৭৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি মহাসড়ক বানদুং এর সঙ্গে সুরাবায়াকে যুক্ত করেছে

রেল[সম্পাদনা]

বানদুং শহরটি রেলপথ দ্বারক দেশ এর বৃহত্তম শহর ও রাজধানী জাকার্তা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।এই রেলপথটি জাকার্তা থেকে বানদুং হয়ে সুরাবায়া পর্যন্ত গেছে।

উচ্চগতির রেল[সম্পাদনা]

ইন্দোনেশিয়া সরকার দেশের রাজধানী জাকার্তা থেকে বানদুং পর্যন্ত একটি উচ্চগতির রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।এই জাকার্তা- বানদুং হাইস্পিড রেলপথ [১] বা জাকার্তা বানদুং উচ্চ-গতির রেল প্রকল্প [২] হল ইন্দোনেশিয়া এর জাভা দ্বীপ এর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পরিকল্পনাধিন একটি উচ্চ গতির রেলপথ।এই রেলপথটি জাভা দ্বীপ এর পশ্চিমে অবস্থিত দেশের রাজধানী জাকার্তা থেকে জাভা দ্বীপের পূর্বের শহর বানদুং পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।ইন্দোনেশিয়া সরকার ২০১০ সালে প্রথম এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে।কিন্তু পরিকল্পনাটি সফল হয়নি।এর পর ২০১৫ সালে এই প্রকল্প নতুন ভাবে শুরু হয়।এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে চিনজাপান উভয় দেশই আগ্রহ দেখিয়েছে।দেশ দুটি জাকার্তা থেকে বানদুং পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পথে পর্যবেক্ষণ করেছে।এর পর জাপান বানদুং থেকে জাভা দ্বীপের পূর্ব অংশের শহর সরাবায়া পর্যন্ত ৭৩০ কিলোমিটার পথ পর্যবেক্ষণ করেছে।কিন্তু এই রেলপথ নির্মাণের দায়ীত্ব পায় চিন এর চীনা রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল ।২০১৬ সালে এই ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

বিমান পরিবহন[সম্পাদনা]

বানদুং শহরের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে।বিমান বন্দরটি ইন্দোনেশিয়া এর তৃতীয় ব্যস্ত বিমান বন্দর যাত্রী পরিবহনের হিসাবে।এই শহর থেকে জাকার্তা ও সুরাবায়া শহরে বিমান জরিষেবা রয়েছে।এছাড়া দেশের বাইরে বিভিন্ন শহরে বিমান যোগাযোগ রয়েছে।

বাস[সম্পাদনা]

অন্তশহর যাতায়াতের জন্য কিছু অন্য পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে বাস শহরের মধ্যে ও শহরের বাইরের যোগাযোগ রক্ষা করে।বাসের দ্বারা শহরের সল্প দূরত্বের যোগাযোগ রক্ষায় বিরাট উন্নতি ঘটেছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ইন্দোনেশিয়ার উচ্চগতির রেলওয়ে প্রকল্প বাধাগ্রস্ত যাত্রা"। সংগ্রহের তারিখ ২৫-১১-২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Jakarta-Bandung high-speed railway to get chinese loan"। সংগ্রহের তারিখ ২৫-১১-২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)