বাচেহা-ইয়ে আসমান
বাচেহা-ইয়ে আসমান ফার্সি ভাষায় (بچههای آسمان) | |
---|---|
![]() ইউএসএ-তে মুক্তিপ্রাপ্ত পোষ্টার | |
পরিচালক | মাজিদ মাজিদি[১] |
প্রযোজক | আমির এসফানদিয়ারী মোহাম্মদ এসফানদিয়ারী |
রচয়িতা | মাজিদ মাজিদি |
শ্রেষ্ঠাংশে | আমির ফারুক হাশেমী বাহার সিীদ্দক |
সুরকার | কেইভান জাহানশাহী |
চিত্রগ্রাহক | পারভেজ মালেকজাদি |
সম্পাদক | হাসান হাসানদোস্ট |
প্রযোজনা কোম্পানি | দ্য ইনষ্টিটিউট ফর দ্য ইন্টেলেকচুয়াল ডেবলপমেন্ট অফ চিলড্রেন এন্ড ইয়ং অ্যাডাল্টস |
পরিবেশক | মীরামেক্স ফিল্মস |
মুক্তি | ২২ এপ্রিল, ১৯৯৮ (সিঙ্গাপুর) ২২ জানুয়ারি, ১৯৯৯ (ইউএসএ) |
দৈর্ঘ্য | ৮৯ মিনিটস |
দেশ | ইরান[১] |
ভাষা | ফার্সি |
নির্মাণব্যয় | $১৮০,০০০ (মার্কিন ডলার) |
আয় | $১,৬২৮,৫৭৯ (মার্কিন ডলার) |
বাচেহা-ইয়ে আসমান , এটি ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইরানী চলচ্চিত্র। ছবিটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মাজিদ মাজিদি। ছবিটি তৈরী করা হয়েছে ইরানের একটি পরিবারের ছোট দুই ভাই বোনের জুতা হারানোর কাহিনি এবং তাদের জীবনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের দু:সাহসিকতা, হাসি এবং কান্নার মধ্য দিয়ে।[১] ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির ফারুক হাশেমী, বাহার সিীদ্দক, হাসিমিয়ান। ছবিটি ১৯৯৮ সালে বিদেশী ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।[২]
কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]
এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলী ও জারা নামে দুই ভাই বোন। আলী তার ছোট বোন জারার জুতা মেরামত করার জন্য একদিন বাজারে মুচির কাছে যায় । কিন্তু আলী যখন জুতাটি রেখে একটি দোকানে আলু কিনতে যায় তখনই ঘটে বিপত্তি । এক বৃদ্ধ অন্ধ ভিক্ষুক আলীর জুতা নিয়ে চলে যায়। জুতা হারিয়ে আলী মহা বিপদে পড়ে যায় । কারণ জুতাটি তার ছোট বোন জারার । জুতা হচ্ছে মাজিদ মাজিদির ছবির গুরুত্বপুণ একটি চরিত্র ।
আলীদের সংসার অর্থ কষ্টে জর্জরিত । প্রায় ৫ মাসের বাসা ভাড়া বাকী পড়ে আছে । এছাড়াও মুদি দোকানের বাকী টাকাও দেওয়া হচ্ছে না কয়েকমাস ধরে । আলীর বাবা স্বল্প আয়ের কর্মচারি । অসু্স্থ আলীর মা সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকে । জুতা হারানোর ঘটনা আলী জারাকে খুবই অনুনয় বিনয়েল সাথে বলে এবং জারাকে অনুরোধ করে যাতে জারা তার মা-বাবাকে না বলে দেয় । জারা কথা দেয় যে সে জুতা হারানোর কথা কাউকে বলবে না । অভাবের সংসারে কেটে যায় আলী ও জারার পড়াশোনা । কিন্তু আলী ভাবে জারা কিভাবে স্কুলে যাবে কারণ আলীর বিশাল সাইজের ছেড়া একজোড়া সাদা জুতো আছে যা জারা পায়ে কোন ভাবেই ফিট হবে না । অন্যকোন উপায় না পেয়ে জারা সেই জুতাটি পড়তে রাজি হয় কারণ সে আলীকে কথা দিয়েছে কাউকে কিছু বলবে না এবং কয়েকদিন পড়েই জারা একটি গোলাপী রংয়ের নতুন জুতা পেতে যাচ্ছে এই আশায় ।
শুরু হয় একই জুতা পড়ে দুই ভাই-বোনের স্কুলে যাওয়া এবং আসার যুদ্ধ । প্রতিদিন সকালে জারা সেই জুতো পড়ে স্কুলে যায় এবং স্কুল ছুটির পর জারার বন্ধুরা যখন স্কুলের মাঠে খেলাধুলায় মেতে উঠে জারা তখন তার ভাই আলীর কথা ভেবে এক দৌড়ে ছুটে আসে বাড়ি কারণ আলী তার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে । জারা তার পা থেকে সেই ছেড়া বিশাল সাইজের নোংরা জুতোটি যখন খুলে আলীকে দেয় আলী সেটি পড়ে দেয় এক দৌড় কারণ আলীর ক্লাস শুরু হয়ে গেছে । স্কুলে আসা যাওয়ার এই দৌড়াদৌড়িতে আলী প্রায় প্রতিদিনই দেরি করে স্কুলে প্রবেশ করে কারণ জারা আসলেই আলী একই জুতো পড়ে স্কুলে আসার সুযোগ পায় । স্কুলের মাস্টার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে এবং আলীকে বিষয়টি সম্পর্কে কঠোর দিকনির্দেশনা দেয় । আলী বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে সে এ ব্যাপারটি সামাল দেবে । অন্যদিকে জারা আলীর উপড় বিরক্ত হয়ে তার বাবাকে বলে দিতে চায় কিন্তু জারা বলতে পারে না কারণ আলী জারাকে নতুন একটি গোলাপী রংয়ের জুতা দেওয়ার আশ্বাস দেয় ।
একদিন আলীর হাতে একজোড়া জুতো জিতে নেওয়ার একটি সুযোগ আসে । আলী স্কুলে দৌড় প্রতিযোগীতায় নাম লেখায় । এই দৌড় প্রতিযোগীতায় জিততে পারলে আলী পাবে ৩য় পুরস্কার হিসেবে এক জোড়া জুতো । সুতরাং আলীর টার্গেট ৩য় স্থান দখল করা । কারণ জারাকে সে কথা দিয়েছে এক জোড়া জুতে কিনে দেবে । এই প্রতিযোগীতায় জেতার জন্য আলী জীবন বাজি রেখে এক দৌড় দেয়। দৌড়ে জেতার জন্য আলীর টার্গেট ছিল ৩য় স্থান কিন্তু আলী প্রথম হয়ে যায় । ছবির শেষ দিকে দেখা যায় আলীর বাবার একটি নতুন সাইকেল, দুজোড়া নতুন জুতো।
শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]
- আমির ফারুক - আলী
- বাহারি সিদ্দিকি - জারা
- হাসিমিয়ান - আলীর বাবা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে বাচেহা-ইয়ে আসমান
(ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে চিলড্রেন অব হেভেন (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে চিলড্রেন অব হেভেন (ইংরেজি)